ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে প্রথম

হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে মাদারস রুম উদ্বোধন

প্রকাশিত: ০৫:০৫, ৭ জুলাই ২০১৮

 হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে মাদারস রুম উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাতুয়াইল, শিশু মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের নবজাতক ইউনিটে ভর্তি বাচ্চাদের মায়েদের জন্য ৩০ বেডের মাদারস রুমের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই মাদারস রুমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হাসপাতাল ও ক্লিনিক স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডাঃ জাহাঙ্গীর হোসেন। উপস্থিত ছিলেন শিশু মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ এম.এ মান্নান ও শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ ওয়াহিদা খানম এবং নবজাতক আইসিইউ (এনআইসি) ইনচার্জ ডাঃ মুজিবুর রহমান (মুজিব)। উদ্বোধনের পর শিশু মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ এম.এ. মান্নান বলেন, বাংলাদেশে প্রথম ৩০ বেডের সুসজ্জিত মাদারস রুম নিয়ে আজ থেকে আমাদের যাত্রা শুরু হলো। এখন থেকে মায়েরা বিশ্রাম নিতে পারবেন এবং নিরাপদে থাকবেন। তাদের সন্তানকে ইনফেকশন হতে রক্ষা করতে পারবেন। এতদিন মায়েদের নবজাতকের বিশেষ পরিচর্যা কেন্দ্রের সামনে সন্তানদের জন্য ফ্লোরে শুয়ে বসে থাকতে হতো সন্তানের জন্য যা সন্তানদের জন্য অস্বাস্থ্যকর একটি পরিবেশ ছিল। মায়েরা যখন সন্তানদের কাছে যেত ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা বেশি হতো। আবার অনেক সময় মায়েরা থাকার অসুবিধার জন্য শিশুদের চিকিৎসা সম্পূর্ণ না করে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেন। এখন থেকে মায়েরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকতে পারবেন এবং সন্তানদের ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতাও দিন দিন কমে আসবে। হাসপাতালের আইসিইউ (এনআইসি) ইনচার্জ ডাঃ মুজিবুর রহমান মুজিব বলেন, আমাদের এখানে নবজাতকের সব ধরনের চিকিৎসা প্রদান করা হয়। আমাদের হাসপাতালের এনআইসিইউ (NICU) বেড সংখ্যা ৫০, ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার (KMC) বেড সংখ্যা ২৫ আর মাদার কেয়ার রুমের বেড সংখ্যা ৩০ এই নিয়ে আজ আমরা যাত্রা শুরু করলাম। আমাদের হাসপাতলে নবজাতকের চিকিৎসার জন্য সব রকমের আধুনিক যন্ত্রপাতিই আছে। লাইফ সাপোর্ট মেশিন যেটাকে ভেন্টিলেটার বলা হয়, সিপেপ মেশিনসহ নবজাতকের জন্য Surfactant থেরাপিও দেয়া হয়। যেটা অপরিণত বাচ্চাদের শ্বাসকষ্টের জন্য প্রয়োজন হয় আর থেরাপি হলো সবচেয়ে আধুনিক চিকিৎসা। আমাদের নবজাতকের মৃত্যুর হার মাত্র ৯ শতাংশ, যা অন্যান্য হাসপাতালের তুলনায় অনেক কম। এনআইসিইউতে আমরা লাইভ টেলিকাস্টের ব্যবস্থাও করেছি যাতে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বাইরে বসে মনিটরে দেখতে পারেন।
×