ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় খাস জমিতে ফের ভবন নির্মাণ শুরু

প্রকাশিত: ০৪:৫০, ৭ জুলাই ২০১৮

 নওগাঁয় খাস জমিতে ফের ভবন  নির্মাণ শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৬ জুলাই ॥ রাণীনগরে ইউএনওর হস্তক্ষেপে অবৈধভাবে সরকারী খাস জমি জবরদখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করার প্রায় ২ মাস পর ফের কাজ শুরু করেছেন এক স্থানীয় প্রভাবশালী মহিলা। উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়নের বড়গাছা বাজার সংলগ্ন সুকানদিঘি নামকস্থানে এই বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। তবে প্রশাসন বলছে বিয়ষটি তাদের জানা নেই। জানা গেছে, উপজেলার বড়গাছা গ্রামের মোঃ সমসের আলী মোল্লার ছেলে ভূমিহীন ও দিনমজুর মোঃ মনছুর আলী মোল্লাকে বড়গাছা মৌজার ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত ১১৯ দাগে ৫০ শতাংশ খাস জমি (শ্রেণী: মাটিয়াল) ৯৯ বছরের জন্য ১৮৮৮-৮৯ নং চিরস্থায়ী পত্তন দেয়া হয়। পত্তনকৃত জমি মনছুর আলী মোল্লা আইন না মেনে জোর করে নিজের ইচ্ছে মাফিক পুকুর খনন করে। বিষয়টি জানতে পেরে পত্তনকৃত জমিতে পুকুর খনন করায় গত ২৬ ফ্রেরুয়ারি ২০১৩ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম পাটোয়ারী পত্তনকৃত জমির লিজ বাতিল করে দেন। আর তার পর থেকে দিনমজুর মনছুর আলী মোল্লা ও তার প্রভাবশালী স্ত্রী জরিনা বিবি ওরফে হাজারী কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে গায়ের জোরে অবৈধভাবে সেই সরকারী খাস জায়গা জমি ভোগদখল করে আসছে। শুধু তাই নয় জমির পাশ (পুকুরের পাশ) দিয়ে থাকা অনেক টাকার বড় বড় গাছও পেশীবলে বিক্রি করেছেন। এছাড়া পুকুরের মাছও এই পরিবার দীর্ঘদিন যাবত ভোগদখল করে আসছে। হঠাৎ করে গ্রামের স্থানীয় মাতŸরদের সহযোগিতায় ২ মাস আগে এই খাস জায়গার প্রায় ৭-৮ শতাংশ জমির ওপর বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। সরকারী খাস জমিতে ভবন নির্মাণের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া বিনতে তাবিব ভবন নির্মাণ কাজটি বন্ধ করে দেন। এরপর থেকে কাজটি বন্ধই ছিল। সম্প্রতি সেই ভবন নির্মাণের কাজ প্রশাসনকে না জানিয়ে বা অনুমতি না নিয়ে আবারও শুরু করেছেন সেই প্রভাবশালী মহিলাটি। বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এতে সরকার হারাতে বসেছে লাখ লাখ টাকার সম্পদ। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম (সফু) জানান, ওই মহিলা খুবই ভয়ঙ্কর। তার কোন আত্মসম্মান নেই। তার সঙ্গে কথা বলাও বিপজ্জনক। কারণ সে কখন যে কি করে ফেলে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এই পরিবার অবৈধভাবে ওই সরকারী জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। আমি একাধিকবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা আমার নিষেধ অমান্য করে এই ভবন নির্মাণের কাজ করছে। এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া বিনতে তাবিব বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর বাড়ি নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পুনরায় কাজ শুরু করার বিষয়ে আমি জানি না। তারা আবার কার অনুমতি নিয়ে কাজ শুরু করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
×