ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ানস আপন্ এ টাইম বিএনপি ক্ষমতায় ছিল

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ৭ জুলাই ২০১৮

ওয়ানস আপন্ এ টাইম বিএনপি ক্ষমতায় ছিল

ওয়ানস আপন্ এ টাইম বিএনপি (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি) নামে একটি রাজনৈতিক শক্তি বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল। তারপর দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে থাকতে থাকতে বুঝতে পেরেছে যে, পাকিস্তানি পন্থা ত্যাগ না করলে ক্ষমতায় ফেরা যাবে না (দলটি প্রথম দিন থেকেই পরাজিত পাকিস্তানপন্থী এবং মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী প্রতিবেশী ভারতের চরম বিরোধী)। পাকিস্তানী মিলিটারি জান্তাকে পরাজিত করে আমরা বাঙালীরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি এবং সেই স্বাধীনতার জন্য অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ হয়েছে ও ৫ লক্ষাধিক মা-বোনের নির্যাতনের মর্মান্তিক যন্ত্রণা আজও জাতি বয়ে বেড়াচ্ছে। অথচ সেই বর্বর পাকিস্তানেরই বশংবদ হয়ে বিএনপি রাজনীতি করে আসছে। হঠাৎ তাদের বোধোদয় হয়েছে পাকিস্তানের লেজ ছেড়ে ভারতের আশীর্বাদ অর্জন করতে হবে। পাকিস্তানের লেজুড়বৃত্তি করতে করতে তারা আজ দেউলিয়া। পরস্তু আর্থিক দুর্নীতির দায়ে পার্টি চেয়ারপার্সন আদালতের রায়ে কারাদ-প্রাপ্ত হয়ে আলাউদ্দিন রোডের লাল ঘরে অবস্থান করছেন। পার্টির গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নিজের পলাতক ছেলেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানালেও তা অকার্যকর এ জন্য যে, ছেলে তারেক রহমানও আর্থিক দুর্নীতির দায়ে খালেদার চেয়েও তিনগুণ বেশি কারাদ- মাথায় নিয়ে লন্ডনে পলাতক। খালেদা জিয়ার দ- ৫ বছর আর তারেকের ৭+১০=১৭ বছর। বিএনপির দলীয় গঠনতন্ত্রের ৭ অনুচ্ছেদে ছিল কোন দুর্নীতিবাজ, অর্থ আত্মসাতকারী সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি দলের নেতা, সংসদ সদস্য, এমনকি সাধারণ সদস্যও হতে পারবে না। খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলা যখন চলছিল তখন নেতারা বুঝতে পেরেছিল সাজা তো হবেই, তারপর তো দল নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়বে। তাই তড়িঘড়ি করে গঠনতন্ত্রের ৭ অনুচ্ছেদ বাতিল করে তারেককে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হলো। তাতেও লাভ হলো না- যেই লাউ সেই কদু। খালেদা জেলে, তারেক দ- কাঁধে নিয়ে বিদেশে পলাতক। প্রভু পাকিস্তান কিছুই করতে পারল না। তাই ভাবল যদি কোনরকমে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ও সরকারের ওপর থেকে ভারতের সমর্থন প্রত্যাহার করানো যায় এবং বিএনপির পক্ষে আনা গেলে ভবিষ্যতে প্রত্যাশার দ্বীপ জ্বললেও জ্বলতে পারে। তাই আর দেরি নয়। চট্টগ্রামের জামায়াত-বিএনপি নেতা স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে চলে গেলেন দিল্লী ও গুজরাটে (নরেন্দ্র মোদির জন্মস্থান)। সেখানকার বিজেপিপন্থী বুদ্ধিজীবী বা থিং ট্যাংকের সঙ্গে দেখা করে হাত জোড় করে বলেছেন- পাকিস্তানকে থক্কু, এবার আপনাদের আশীর্বাদ চাই। এখন থেকে যা বললেন তাই শুনব। প্রয়োজনে ঠিকুজি পাল্টে ফেলব। কি হয়েছে? ভারতের মনোভাব কি তা তো আমাদের জানার কথা নয়। তবে রাজনীতির বাজারে যে সব কথা ভেসে বেড়াচ্ছে তা হলো বরফ গলেনি এবং খালি হাতেই ফিরে আসতে হয়েছে। আমীর খসরু মাহমুদের মুখও খুলছে না। এমনকি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বা রুহুল কবির রেজভী- জেনারেল এবং জয়েন্ট যারা দিনে একাধিকবার প্রেস মিট না করলে ভাত হজম হয় না তারাও মুখ খুললেন না, ভবিষ্যতেও খুলবেন বলে মনে হয় না। এই মুখ না খোলার যথেষ্ট কারণও আছে। ভারত বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার পর ১৯৫৩ সালে সংবিধান রচিত ও অনুমোদিত হয় এবং সেই থেকে অদ্যাবধি সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালিত হয়ে আসছে। ভারতেও জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী এবং মহীয়সী প্রিয়দর্শিনী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধীকে হত্যা করা হয়েছিল (এ্যাসাসিনেটেড); কিন্তু মিলিটারি শাসন জারি হয়নি একবারও। ২৯টি স্টেট নিয়ে যে ফেডারেল রাষ্ট্র ব্যবস্থা, নানা ঘাত-প্রতিঘাত, নানা রং, নানা জাত-পাতের দেশ ভারতে, তারপরও মিলিটারি নামেনি, বরং তারা সিভিল ইলেকটেভ গবর্নমেন্টকে সহায়তা করেছে। কিন্তু ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তান নামের যে দেশটি স্বাধীন হলো তাতে প্রথমে এর প্রধান পুরুষ পাকিস্তানের জাতির পিতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর লিয়াকত আলী খান ক্ষমতায় এলে তাকে হত্যা করে সেই যে মিলিটারি জান্তা ক্ষমতা দখল করল সেই থেকে পুরো সময়টাই তাদের হাতে ক্ষমতা রয়ে গেল। আর তাই আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে রীতিমতো সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ করে পাকিস্তানী বর্বরদের হাত থেকে মুক্তি পেতে হলো। স্যাক্রিফাইস ছিল এক সাগর রক্তের। সেদিন মহান ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। আমাদের পাশাপাশি অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছিল এবং পশ্চিমাংশের যুদ্ধে ভারতেরও ১৭ হাজার দেশপ্রেমিক সেনা শহীদ হয়েছিল। আজ মনে পড়ে বিশেষে করে মহীয়সী প্রিয়দর্শিনী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর কথা। তিনি যে কেবল মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী ছিলেন তা নয়, পরন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এবং পাকিস্তানের কারাগারে ফাঁসির মঞ্চ থেকে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্যে বিশ্ব জনমত সৃষ্টি করেছেন। একদিকে যুদ্ধ বিমান উড়িয়েছেন, সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য ৩৪টি দেশ সফর করেছেন। সে সব দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে অনুরোধ জানিয়েছেন, যা কার্যকর হয়েছে। একদিকে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাচকি মাইরে পাকি-আর্মি দিশেহারা, অন্যদিকে বিদেশী চাপে পাকিস্তান বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসি দিতে পারেনি, বরং মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে। আর তাই তো পাকিস্তানবিরোধী জাতীয়তাবাদী, ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল বাংলাদেশের সঙ্গে একই আদর্শের ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত, যা কোন মিলিটারি সিপাই বা সিপাইপতœী নাড়াতে পারবে না। ৪৮ বছর ধরে চেষ্টা করেছে, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার (১৯৭৫ সালে) পর মিলিটারি ট্যাংক-কামান নামিয়েও চেষ্টা করেছে, কাজ হয়নি। এর আগেও আরও দুবার বিএনপি যুদ্ধাপরাধী জামায়াতকে (বিএনপির সঙ্গে গলায় গলায় দোস্তি) সঙ্গে নিয়ে দিল্লী গিয়েছিল- প্রথমবার বাজপেয়ী ক্ষমতাসীন হওয়ার পর (এই বাজপেয়ীর আদর্শিক দল আরএসএস ধর্মান্ধ রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘ)। ভেবেছিল বাজপেয়ী বা নিজামীর ধর্ম আলাদা হলেও দুটোই সাম্প্রদায়িক এবং ধর্মান্ধ, মিল হলেও হতে পারে। কিন্তু হলো না। তারপর দলবল নিয়ে গেল দিল্লী এবং গুজরাট। ততক্ষণ পরিষ্কার হয়ে গেছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি (বিএনপির সঙ্গে নামেরও মিল আছে- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পার্টি এবং ভারতীয় জনতা পার্টি) ক্ষমতায় যাচ্ছে এবং নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। তাই এক গ্রুপ দিল্লী, অপর গ্রুপ গুজরাট চলে গেল। রেজাল্ট আউটও প্রায় শেষ এবং বিজেপি সরকার গঠন করবে এটাই নিশ্চিত। যশোরের গোলাপ ও রজনীগন্ধা এবং কুমিল্লার রসমালাই, পোড়াবাড়ির চমচম নিয়ে হাজির হলেন; কিন্তু না, তাতেও কাজ হলো না। বরং দেখা হওয়ার আগেই শ্রী নরেন্দ্র মোদি তার পররাষ্ট্রনীতির ওপর মিডিয়ায় বক্তব্য দিলেন- ‘প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবেন। বিশেষ করে নিকটতম প্রতিবেশী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হার এক্সিলেন্সি শেখ হাসিনার সঙ্গে এক হয়ে এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা অক্ষুণœœ রাখতে কাজ করবেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। বাংলাদেশ যখন তাঁর নেতৃত্বে পাকিস্তানী মিলিটারির (দখলদার) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল তখন আমি (মোদি) কলেজের ছাত্র ছিলাম এবং বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে মিছিল করেছি, মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছি।’ ব্যস, আশার গুড়ে বালি পড়ে গেল। দুর্মুখরা অপপ্রচার করল মোদির সঙ্গে দেখা করার জন্য অরবিন্দ ধুতিও কেউ কেউ কিনেছিল। কিন্তু সবই ব্যর্থ হলো। এবার ভাবল জিয়া-এরশাদ-খালেদার সময় আসা স্থায়ী ৫ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে আরও ১১ লাখ রোহিঙ্গা যোগ হওয়ায় শেখ হাসিনা বেকায়দায় আছেন। কেননা, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে ভারতের ভূমিকা যেহেতু আশাপ্রদ নয়, তাই এখনই মোক্ষম সময়। হয়ত ভারত সাড়া দেবেই। বোকাচ-ি আর কারে কয়। এক দশক আগেই খালেদা ক্ষমতায় ছিলেন। তখন কি অবস্থা ছিল? ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ৭টি স্টেটের (সেভেন সিস্টার) যে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন চলছিল তাকে খালেদার নেতৃত্বাধীন বিএনপি-জামায়াত সরকার কেবল যে সমর্থন দিয়েছে তা নয়, বরং উলফাসহ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বাংলাদেশের মাটিতে জায়গা দিয়েছে, প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং অস্ত্রও দিয়েছে, পাকিস্তানী টেররিস্টদের ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দিয়েছে। চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক, বগুড়ায় কোটির ওপর গুলি উদ্ধার, মানুষের ধারণা এগুলো ধরা না পড়লে ভারতের পূর্বাঞ্চলেই চলে যেত সেখানকার টেররিস্টদের হাতে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে সব বন্ধ করে দেন। বরং ভারতের সঙ্গে আরও সুসম্পর্ক গড়ে তুলে সীমান্ত সমস্যা বা ছিটমহল সমস্যার সমাধান করেন বঙ্গবন্ধু-ইন্দিরা চুক্তি ১৯৭৪-এর আলোকে, সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করে এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কট সমাধানেও ভারতের সমর্থন অনেকটা আদায় করেছেন, মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের বিরাট বাণিজ্যিক কূটনীতি থাকা সত্ত্বেও। তাছাড়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা আজ মাদার অব হিউম্যানিটি, বিশ্বের অন্যতম সাহসী প্রভাবশালী রাষ্ট্রনেতা। অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ অঞ্চল তো বটেই, বরং তাবত বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক থেকে শুরু করে বিশ্বের বাঘা বাঘা র্অথনীতিবিদ, অর্থ সংস্থা অবাক বিস্ময়ে বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনাকে দেখছে। পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশকে তো পেছনে ফেলেছেই, এমনকি উন্নয়নের অনেকগুলো সূচকে ভারতকেও পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংক, নোবেল লরেট অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বা কৌশিক বসুর অভিমত এসব। ভারত কি এসব দেখছে না? তারা তো প্রথম থেকেই দেখছে মিলিটারি জিয়া বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া আর্থ-সামাজিক অবস্থার ওপরই ছরি ঘুরিয়েছেন। মিলিটারি এরশাদও তাই করেছেন। তবে এরশাদ দীর্ঘদিন (৯ বছর) ক্ষমতায় ছিলেন, তাই দু-চারটি রাস্তা বা পুল বানিয়েছেন। খালেদা জিয়াও তিন টার্মে ১০ বছর ৩ মাস ক্ষমতায় ছিলেন, কিন্তু পরশ্রীকাতরতা ছাড়া কিছুই দেখাতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ বা একটা পদ্মা সেতু, একটি কর্ণফুলী টানেল, একটি মেট্রোরেল নির্মাণ দূরে থাক, নির্মাণের স্বপ্নও দেখাতে পারেননি। শেখ হাসিনাই পারেন ভারতের মাটি শান্তিনিকেতনে মিনি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। আর শেখ হাসিনা ২০১৯ সালে পদ্মা সেতু বা ঢাকার মেট্রোরেল, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধনের টার্গেট নিয়ে অনেকখানি এগিয়ে গেছেন। পাশাপাশি ঢাকায় আন্ডারগ্রাউন্ড রেললাইন নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। কাজেই ভারত সফল সাহসী প্রতিবেশীর সঙ্গেই সুসম্পর্ক রাখবে, অদক্ষ অসফল অপদার্থের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে কোন্ দুঃখে? দেশটি তো আর আবুল নয়। ওরা তো আর বিএনপির মতো স্বশিক্ষিত (অশিক্ষিত) নয়। এটা কথা আছে, বিজয়ীর পক্ষে সবাই থাকে, বিজিতের পক্ষে কেউ না- Victory has ma fathers, defeat none. ঢাকা ॥ ৫ জুলাই ২০১৮ লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও সভাপতি জাতীয় প্রেসক্লাব [email protected]
×