স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংল্যান্ড-কলম্বিয়া ‘শেষ ষোলো’র ম্যাচে রেফারি ইংল্যান্ডকে জিতিয়েছেন, রেফারির চুরিতে কলম্বিয়ার হার হয়েছেÑ এমনই বলেছেন কিংবদন্তি ফুটবলার আর্জেন্টিনার ডিয়েগো ম্যারাডোনা। তার এমন বক্তব্যে চটেছে খোদ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাÑফিফা। ম্যারাডোনাকে তিরস্কার করেছে ফিফা।
রেফারির সমালোচনা করায় ম্যারাডোনাকে এ তিরস্কার ফিফার। বিতর্কিত কথা বলার জন্য পূর্বে বহুবার সমালোচিত হয়েছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। তবে এসবকে পাত্তা না দিয়ে নিজের পথেই হাঁটেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। রাশিয়া বিশ্বকাপে এবার রেফারিকে ধুয়ে দিয়েছেন। আর এর জন্য ফিফা কর্তৃক তিরস্কৃতও হতে হয়েছে তাকে। ফিফা জানায়, তার কথাগুলো ছিল ‘সম্পূর্ণরূপে অনুপযুক্ত এবং সম্পূর্ণ অসত্য।’
ম্যারাডোনা তার বেফাঁস মন্তব্য চালিয়েই যাচ্ছেন। চলতি বিশ্বকাপে এ নিয়ে তৃতীয়বার বেফাঁস কিছু করে দেখালেন ম্যারাডোনা। কোয়ার্টারে যাওয়ার লড়াইয়ে কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে হারায় ইংল্যান্ড। সে ম্যাচে মূল রেফারির দায়িত্বে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মার্ক গেইগার। তবে ম্যাচ শেষে রেফারিকে উদ্দেশ করে ম্যারাডোনা জানান, এটি ছিল ‘স্মরণীয় চুরি’।
চলমান বিশ্বকাপে ফিফার দূত হিসেবে কাজ করছেন ম্যারাডোনা। এর জন্য প্রতিটি ম্যাচে তাকে ১০ হাজার পাউন্ড দিতে হয়। যেখানে ফিফার ভিআইপি গ্যালারিতে বসে তিনি খেলা দেখেন। বুধবার ভেনেজুয়েলার সম্প্রচার মাধ্যম টেলেসারে ম্যারাডোনা বলেন, ‘আমি একটি স্মরণীয় চুরি দেখলাম। আমি কলম্বিয়ান জনগণের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি, তবে তারা অবশ্যই জানে এর জন্য খেলোয়াড়দের কোনো দোষ নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আসলে এই রেফারিকে যে নিয়োগ দিয়েছে তাকেই দোষারোপ করতে হবে। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাকে (গেইগার) দায়িত্ব দেয়া উচিত হয়নি। আমি সম্মান রেখেই বলছি, এই রেফারির সিদ্ধান্ত নেয়া পিয়েরলুইগি কলিনিয়া খুবই খারাপ। তাকে অবশ্যই কলম্বিয়ার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
এ ম্যাচের আগে কলম্বিয়াকে সমর্থন জানিয়ে হলুদ জার্সি পরা ম্যারাডোনা যোগ করেন, ‘আমি (ফিফা প্রেসিডেন্ট) জিয়ান্নি ইনফানতিনোকে বলেছি, আমি যদি ফিফার হয়ে কাজ করতাম তবে সবকিছুই পরিবর্তন করে ফেলতাম। এটাকে অবশ্যই স্বচ্ছ হতে হবে। এর জন্যই আমি সেখানে যাইনি। এ ম্যাচের রেফারি বেসবল সম্পর্কে ভালো জানে, তবে ফুটবলে তার কোনো ধারণাই নেই। কলম্বিয়ান খেলোয়াড়রা ভিএআর এর জন্য আবেদন করেছে, কিন্তু সে দেয়নি।’
এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ান সমর্থকদের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি করায় ক্ষমাও চেয়েছেন ম্যারাডোনা। আর নাইজিরিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ম্যাচে দুই হাতের মধ্যমা আঙ্গুল প্রদর্শন করতেও তাকে দেখা যায়। বিতর্ক তৈরি করতেই যেন তিনি ভালবাসেন। এবার রেফারির সমালোচনা করায় ফিফার কাছ থেকে তিরস্কৃত হলেন ম্যারাডোনা।
