অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ‘নীরব’ সুপারসনিক উডুক্কুযান তৈরির আরেক ধাপ কাছে পৌঁছাতে যাচ্ছে নাসা। টেক্সাসের আকাশে এর পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি। আকাশপথে যাত্রার ক্ষেত্রে এটি বিপ্লবী পরিবর্তন আনবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, পর্যটন শহর গ্যালভেস্টনের কাছাকাছি এলাকায় উডুক্কুযানটি জনসমক্ষে পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষায় দেখানো হবে সুপারসনিক বা শব্দের চেয়ে বেশি গতিতে ওড়ার সময় তাদের যানটি অতি সামান্যই শব্দ করে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন একটি সুপারসনিক প্লেন যা ‘সনিক বুম’ তৈরি করে না, তা এভিয়েশন শিল্পে বিপ্লব আনবে। আগে নাসা’র এই পরীক্ষামূলক প্রকল্পের নাম বলা হয়েছিল এক্স-প্লেন বা ‘লো-ফ্লাইট ফ্লাইট ডেমোনস্ট্রেটর’। সম্প্রতি এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে এক্স-৫৯ কিউএসএসটি। পরীক্ষা সফল হলে এই প্রযুক্তি সুপাসনিক ফ্লাইট আরও সাশ্রয়ী করতে সহায়তা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চলতি বছরের নবেম্বর মাস থেকে এফ/এ-১৮ হরনেট জেট দিয়ে গ্যালভেস্টনের ওপর দিয়ে এক্স-৫৯ এর সনিক প্রোফাইল অনুকরণ করবে নাসা। সেখানে কোন শব্দ পাওয়া গেলে ওই এলাকার ৫০০ বাসিন্দার একটি দল শব্দের মাত্রা লিখে রাখবেন বলে জানানো হয়েছে। সম্প্রতি প্লেনটি বানাতে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিনের সঙ্গে ২৪.৭৫ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি করেছে নাসা।