ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুজন বলছে ইতিবাচক

গাজীপুর সিটিতে বেশি শিক্ষিতরাই নির্বাচিত

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ৬ জুলাই ২০১৮

গাজীপুর সিটিতে বেশি শিক্ষিতরাই নির্বাচিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুশাসনের জন্য নাগরিক ‘সুজন’ বলছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন খুলনা মডেলের মতো নিয়ন্ত্রিত ছিল। তারা বলছে এই নির্বাচনের ইতিবাচক দিক হলো অধিক শিক্ষিতরাই নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু এর নেতিবাচক দিকটি হলো অধিক সংখ্যায় ব্যবসায়ীরা নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া অধিক সম্পদশালী, বেশি আয়কর দেন তারা বেশি সংখ্যায় নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ‘গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কেমন জনপ্রতিনিধি পেলাম’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সুজন নেতারা এই মন্তব্য করেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং সুজনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ড. হামিদা হোসেন প্রমুখ। এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, দেশে নির্বাচন সংস্কৃতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, বিত্তবানরা ছাড়া প্রার্থী হওয়া কিংবা নির্বাচিত হতে পারছেন না। নির্বাচনের দ্বার সবার জন্য উন্মুক্ত থাকা উচিত। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। স্থানীয় নির্বাচন নির্দলীয় হওয়া দরকার বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘গাজীপুর সিটি নির্বাচনে অধিক শিক্ষিতদের বেশি সংঘাতে নির্বাচিত হওয়া ইতিবাচক বিষয়। নেতিবাচক দিক হলো বরাবরের মতো এ নির্বাচনেও অধিক সংখ্যায় ব্যবসায়ীরাই নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়া অধিক সম্পদশালী ও যারা বেশি আয়কর দেন তারা বেশি সংখ্যায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন যদি সাহসিকতা, নিরপেক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয় তাহলে নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে। আশা করি, খুলনা ও গাজীপুরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জনমনে আস্থা সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে। অন্যথায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতিগতভাবে আমরা নতুন সংকটের মুখোমুখি হতে পারি। যা আমাদের একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত করতে পারে। তিনি বলেন, জবরদস্তি করে সিলমারার কারচুপির নির্বাচনের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো ভোট প্রদানের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজয়ীর ভোট প্রাপ্তির পরিমাণ আরও বেশি হারে বাড়বে। প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা আরও বেশি হারে কমবে। একইভাবে ভোট প্রদানের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতিল ভোটের হারও পরিবর্তিত হবে। প্রাথমিক বিশ্লেষণ থেকে দেখা গেছে খুলনার মতো গাজীপুরেও তা ঘটেছে। ড. হামিদা হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন পেশীশক্তি নির্ভর হওয়ায় এবং নারীদের সম্পদ ও আয় কম হওয়ায় নারীরা নির্বাচনে প্রার্থী ও নির্বাচিত হতে পারছেন না। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে।’ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় গাজীপুর সিটি নির্বাচনে নব-নির্বাচিত সর্বমোট ৭১ জনপ্রতিনিধির মধ্যে ৩৯ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তার নিচে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারীর সংখ্যা ১৯ জন। ২৪ জন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গ-ি অতিক্রম করতে পারেননি। বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় উচ্চ শিক্ষিতদের নির্বাচিত হওয়ার হার যেমন কিছুটা বেশি, তেমনি স্বল্প শিক্ষিতদের নির্বাচিত হওয়ার হার প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় অনেক কম। বিষয়টি ইতিবাচক।
×