ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভেনিজুয়েলায় সামরিক আগ্রাসন চালাতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ৬ জুলাই ২০১৮

ভেনিজুয়েলায় সামরিক আগ্রাসন চালাতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বছর আগস্টে ভেনিজুয়েলার একনায়ক সরকারের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে এক বৈঠকে দেশটির ওপর সম্ভাব্য আগ্রাসন চলানো যায় কী না তা নিয়ে শীর্ষ পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলেন। মার্কিন প্রশাসনের এক সিনিয়র কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এ কথা জানিয়েছেন। -সিএনএন। সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা এইচআর ম্যাকমাস্টারসহ ট্রাম্পের অন্য উপদেষ্টারা সে সময় তার এই সামরিক আগ্রাসন সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেন এবং ট্রাম্পকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, এটি তাদের জন্য বুমেরাং হতে পারে। ভেনিজুয়েলার ওপর এরূপ কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হলে ওই অঞ্চলে মার্কিন মিত্ররাও এর বিরোধিতা করতে পারে বলে তারা ট্রাম্পকে বিষয়টি বিশ্লেষণ করে জানান। রাজনৈতিক ও অর্থনেতিক সঙ্কট কবলিত লাতিন আমেরিকার এই দেশটির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র এতদিন যেভাবে একতরফা পদক্ষেপ গ্রহণ করে এসেছে, সামরিক আগ্রাসন চালালে তা হতো এই প্রক্রিয়ারই সর্বশেষ উদাহরণ। ওয়াশিংটন কারাকাসের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপগুলোও এককভাবে গ্রহণ করেছে। এ দিকে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত এক কর্মকর্তাও মন্তব্য করেন, ‘ভেনিজুয়েলায় সেনা অভিযানের মতো কোন অচলাবস্থা নেই’ এবং তিনি ট্রাম্পের মন্তব্যকে ‘অতিরিক্ত’ বলে মতামত দেন। কর্মকর্তাটি জানান, প্রেসিডেন্ট যা বলেন ও ভাবেন তা আসলে খুবই জটিল ও দুরূহ বিষয়। তিনি একটু বেশিই ভাবছেন।’ ব্যক্তিগত কর্তকর্তার সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনার বিষয়গুলো এই প্রথমবার গণমধ্যমের খবরে প্রকাশ পেল। ট্রাম্প এর পরের মাসে লাতিন আমেরিকার নেতাদের সঙ্গে ভেনিজুয়েলায় আগ্রাসনের সম্ভাব্যতা নিয়ে কথা বলেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকের বাইরেও ট্রাম্পের সঙ্গে আগত নেতাদের ভেনিজুয়েলায় আগ্রাসনের বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। সে সময় নেতারা দেশটিতে মার্কিন আগ্রাসন না চলনোর পক্ষে মতামত দেন। ট্রাম্প প্রশাসন লাটিন আমেরিকাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভেনিজুয়েলাকেই অধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প ভেনিজুয়েলা সরকারের প্রেসিডেন্ট নিকোলস মাদুরোর ওপর কয়েক দফা চাপ সৃষ্টি করে। ট্রাম্প প্রশাসন দেশটির ওপর কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞা জারিসহ স্বাধীন ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এ দিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ইতোমধ্যে ভেনিজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার সাক্ষাত করেছেন ও সাম্প্রতিক লাতিন আমেরিকা সফরে তিনি বর্তমান সরকারের কঠোর সমালেচনা করেন।
×