ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে জন্ম নিল সাদা সিংহ শাবক

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৬ জুলাই ২০১৮

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে জন্ম নিল সাদা সিংহ শাবক

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আফ্রিকা থেকে কয়েক দফায় সাতটি সাদা সিংহ আনা হয়েছিল। তার মধ্যে নানা প্রতিকূলতায় রোগে ভুগে তিনটি সিংহ মারা গেছে। বর্তমানে এ পার্কে চারটি সাদা সিংহ রয়েছে। এদের মধ্যে দুটি মাদি ও দুটি পুরুষ। তাদের পরিবারে জন্ম নেয়া আরও এক নতুন সদস্যকে বৃহস্পতিবার মায়ের সঙ্গে ঘুরতে দেখা গেছে। এ নিয়ে পার্কে সাদা সিংহের সংখ্যা হলো ৫। সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী সুপারভাইজার মোঃ সারোয়ার হোসেন খান বলেন, সাদা সিংহ কিন্তু আলাদা কোন প্রজাতির সিংহ নয়। এদের দেহে চিনচিলা নামে এক ধরনের জিন থাকে। এ জিনের উপস্থিতির কারণে এদের বর্ণ হয় সাদা। এদের শরীরের রং সাদা হলেও চোখের রং সোনালি, নীলচে-ধূসর এমনকি নীলও হতে পারে। মা এবং বাবা সিংহের দেহে চিনচিলা জিন থাকলে তাদের শাবক কেবল সাদা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। এদের দেখা মিলে সাধারণত দক্ষিণ আফ্রিকায়। সকল বৈশিষ্ট্য বাদামী সিংহের মতো হলেও এরা হিং¯্রতায় এবং আকারে ও ওজনে তাদের চেয়ে বেশি হয়। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে আফ্রিকা থেকে ৭টি সাদা সিংহ আনা হলেও বিভিন্ন রোগে ভুগে তাদের মধ্যে তিনটি মারা যায়। পরে এ দুই দম্পতির ঘরে ২০১৬ সালে দুটি বাচ্চার জন্ম হয়। কিন্তু এক বছরের মধ্যে ওই দুটি বাচ্চাও মারা যায়। এর প্রায় দুই বছর পর চলতি বছরের মে মাসের শেষ সপ্তাহের কোন এক সময় এ পার্কে আবার জন্ম নিল একটি শ্বেত সিংহ শাবক। জন্মের সময় বাচ্চাদের সাধারণত চোখ ফুটে না। এদের চোখ ফুটতে ৩-১১ দিন সময় লাগে। জন্মের সময় এদের ওজন ১-৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ সময় বাঘিনী বাচ্চাকে নিয়ে লোকালয়ের আড়ালে রেখে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখে এবং সেখানে অন্য সঙ্গীকে পর্যন্ত যেতে দেয় না। শাবকরা ১০-১৫ দিনে হাঁটতে শেখে। ৪-৫ মাস বয়স থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্য খাবার খাওয়ানো শেখায় না হয়। এরা প্রায় বছর দুয়েক পর্যন্ত মায়ের কাছাকাছি থাকে। এদের প্রধান খাদ্য গো মাংস ও প্রতি শুক্রবার জীবিত খরগোশ দেয়া হয়। মা সিংহটি প্রায় মাস পর বাচ্চাটি নিয়ে প্রকাশ্যে নিয়ে এলে তা পার্ক কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। শাবকটি মায়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সাদা শাবকসহ মা বাঘটিকে দেখে পর্যটকদের মধ্যে বেশ উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে।
×