ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তার ভাঙ্গনে শতাধিক পরিবার গৃহহীন

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ৬ জুলাই ২০১৮

তিস্তার ভাঙ্গনে শতাধিক পরিবার গৃহহীন

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ ভাঙ্গছে নদী। বিলীন হচ্ছে বসতবাড়িসহ আবাদি জমি। ভাঙ্গনরোধে পাউবো কর্তৃপক্ষ কোন উদ্যোগ না নেয়ায় দুদিনে তিস্তা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে উপজেলার হোকডাঙ্গার হিন্দুপাড়া ও ডাক্তারপাড়া গ্রামের ৫০টি পরিবারসহ শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের হুমকিতে পড়েছে সদ্য নির্মিত টি বাঁধসহ ৫ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। অবিরাম ভাঙ্গনের মুখে ঘরবাড়ি সরাতে হিমশিম খাচ্ছে ভাঙ্গনকবলিত এলাকার মানুষজন। গত কয়েকদিন থেকে তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভাঙ্গছে নদী। জেলার উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের তিস্তার ভাঙ্গনকবলিত হোকডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, নদী ভাঙ্গনের ভয়াবহ রূপ। চোখের সামনে ভেঙ্গে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল পদ্ম বালা বর্মনীর বসত ভিটা। নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে দালালপাড়া, কড়াইপাড়া গ্রাম। তিস্তা নদী অববাহিকার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নেফরা, নন্দু নেফরা, বজরা ইউনিয়নের পশ্চিম বজরা, বাঁধের বাজার, বগলা কুড়া ও সাতালস্কর গ্রামেও ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনের হুমকিতে পড়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোটি টাকা ব্যয়ে সদ্য নির্মিত নাগড়াকুড়া টি-বাঁধসহ ৫টি গ্রাম ও পাইকর পাড়া শ্যামলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ২টি মন্দির। হোকডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক আব্দুল বারীসহ ভুক্তভোগী অনেকেই জানান, গতবছর থেকে এসব এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হলেও কর্তৃপক্ষ ভাঙ্গন রোধে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় এ বছর ভাঙ্গনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান তারা। থেতরাই ইউনিয়নের ডাক্তার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সংরক্ষিত মহিলা সদস্য তারামনি রাণী জানান,৭ দিন ধরে ওই এলাকায় তিস্তার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত ২ দিনের ভাঙ্গনে তার বাড়িসহ পুরো হিন্দু পাড়া ও ডাক্তার পাড়া গ্রাম দু’টি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আমার বসতবাড়িও নদীতে চলে গেছে। চলতি ভাঙ্গনে শতাধিক পরিবার ও গত বছর ভাঙ্গনে ৫০ পরিবার গৃহহীন হয়েছে।
×