ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

নির্বাচনী শক্তি ও গণতন্ত্রের জয়

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ৬ জুলাই ২০১৮

নির্বাচনী শক্তি ও গণতন্ত্রের জয়

বিশ্বায়নের বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রায় প্রতিটি রাষ্ট্রই গণতন্ত্রকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রধান শর্ত হিসেবে গ্রহণ করেছে। অধুনা উন্নয়নশীল দেশসমূহে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রায় প্রতিটি দলেরই আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। ব্যক্তি মানুষের স্বাধীনতা এবং সৃজনশীলতার প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ প্রতিটি রাষ্ট্রের শাসনতন্ত্রের মৌলিক বিষয় হওয়া সত্ত্বেও এর প্রতিফলন কতটুকু বাস্তবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে, তা বিবেচনার দাবি রাখে। বিংশ শতাব্দীর সংঘটিত ঘটনা প্রবাহকে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার বুদ্ধিবৃত্তি ও নৈতিকতার গভীরে প্রোথিত ছিল আইনের শাসন, সীমিত সরকার ও ক্ষমতার ভারসাম্যের চিন্তা-চেতনা ও ধারণার সমন্বিত প্রয়াস। এরই ভিত্তিতে বিভিন্ন স্বৈরতন্ত্রের নীতিমালাকে পর্যুদস্ত করে গণমানুষের ইচ্ছাশক্তি, ঋজুতা ও সৃষ্টিশীলতার প্রায়োগিক ক্ষেত্র মানবতাবাদের বিজয়কে নিশ্চিত করেছে। এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, মানুষ তার মর্যাদা ও আত্মবিশ্বাস নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় নাগরিক স্বাধীনতা ভোগ করা অপরিহার্য মনে করেছে যার ব্যবহারিক শিক্ষাই হচ্ছে ‘গণতন্ত্র’। আধুনিক সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারায় মুক্ত রাষ্ট্র ব্যবস্থায় জনগণের অধিকার প্রয়োগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে গতিশীল করে সমাজের স্বয়ম্ভরতা অর্জনে মানুষ তার স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক বিবেককে জাগ্রত করা অপরিহার্য মনে করেছে। এর ধারাবাহিকতাই একুশ শতক ছিল সবচেয়ে সৃষ্টিশীল শতক যা বিশ্বের প্রায় সকল মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে স্পন্দিত এবং তা অর্জনে প্রচ- শক্তি যুগিয়েছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক মনীষী এরিস্টটল বস্তুনিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে সমাজ দর্শনের ঐতিহ্যিক মাত্রায় শুধু জীবনের প্রয়োজনে নয়, বরং উত্তম জীবন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনেই রাষ্ট্রের উৎপত্তির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। ব্যক্তিকে সর্বোৎকৃষ্ট জীবনের দিকে পরিচালিত করার লক্ষ্যে মানুষ সকল সামাজিক সম্পর্ক এবং শক্তির বন্ধনে জীবনের জাগতিক ও সামগ্রিক প্রয়োজনে রাষ্ট্র গঠন নিশ্চিত করেছে। এই জন্যে রাষ্ট্র মানুষের জন্য একটি অনিবার্য প্রতিষ্ঠান। মানব সত্তার পূর্ণাঙ্গ বিকাশ বা পরিবার ও সমাজের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও মঙ্গল প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার সার্থকতা সর্বজনবিদিত। ব্যক্তি, শ্রেণী বা দলীয় স্বার্থ রক্ষার যে ধারণা তথা স্বৈরতন্ত্র, অভিজাততন্ত্রের বিপরীতে মানুষ প্রতিষ্ঠা করেছে জনন্যায়তন্ত্র বা গণতন্ত্র। সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার যে বিশ্বজনীন ধারণা ও চেতনা ইউরোপে রেঁনেসা বা ফরাসী বিপ্লবের পটভূমি রচনা করেছে, পরবর্তীতে সে শক্তিই গণতন্ত্রের সোপান রচনায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। রাষ্ট্র প্রায় সকল ক্ষেত্রে জনগণের চরিত্র, আশা-আকাক্সক্ষা, আর্থ-সামাজিক পরিবেশ, পারিপার্শ্বিক ও ভৌগোলিক অবস্থানের বিষয়সমূহ বিবেচনায় এনে মুক্ত সমাজ গঠনের প্রক্রিয়াকে স্পষ্ট করেছে। এটিই গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক ইতিহাসের ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য ও ঐতিহ্য। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট এবং ১৯৭৫ পরবর্তী বছরগুলোতে গণতন্ত্র কতটুকু সফল বা বিজিত এবং কতটুকু এর অবমূল্যায়ন হয়েছে, তার হালখাতা আমাদের সকলেরই অজানা বিষয় নয়। গণতন্ত্র যে গ্রীক শব্দ ‘ডেমোক্রেটিয়া’ থেকে উদ্ভূত তার মানে হচ্ছে ‘জনপ্রিয় সরকার’ যার মূলে রয়েছে সমাজ বা রাষ্ট্র শাসনব্যবস্থায় জনগণের মৌলিক আস্থার অবস্থান এবং সকল কর্মকা-ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কার্যকর অংশগ্রহণ। প্রত্যক্ষ ও প্রতিনিধিত্বশীল ইত্যাদি প্রত্যয়ে গণতন্ত্রকে বিশেষায়িত করা হলেও এর মুখ্য উদ্দেশ্য কিন্তু সুশাসন, ব্যবস্থাপনা, সততা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রের উন্নয়ন এবং জনগণের সামগ্রিক জীবন ব্যবস্থায় এর প্রকৃত প্রতিফলন। গণতন্ত্রের ব্যবহারিক মূল্যায়ন তখনই গ্রহণযোগ্য হয় যখন মানুষ তার আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনশীলতায় দৃশ্যমান এবং উপভোগ্য উপযোগিতার মানদ-ে আত্মসন্তুষ্টি খুঁজে পায়। খ্যাতিমান সমাজবিজ্ঞানী গুনার মির্ডাল তাঁর ‘এশিয়ান ড্রামা’ গ্রন্থে দক্ষিণ এশিয়াতে কল্পিত নাটক সংঘটনের যে চিত্র বর্ণনা করেছেন, তার মূলে ছিল এসব দেশের নেতৃবৃন্দের প্রজ্ঞার পরিচয় বা দেশকে যথাযথভাবে পরিচালিত করার এক দিক-নির্দেশনা। এর ব্যত্যয় ঘটলে যেসব বিপর্যয় অনিবার্য বলে তিনি বর্ণনা করেছেন, পরবর্তীতে বহুলাংশে পাকিস্তানে এবং অনেকাংশে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী কার্যকর হয়েছে বলে মনে করি। আমরা এও জানি যে, রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের উদ্ভব ঘটেছে পাকিস্তান নামক আরেকটি রাষ্ট্রের যবনিকাপাত থেকে। তৎকালীন পাকিস্তানে একদিকে যেমন ছিল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের দুর্বল সামাজিক চরিত্র এবং অন্যদিকে সমাজ পরিবর্তনে তাদের অনাগ্রহ পাকিস্তানে সর্বতোভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। তাদের ধারণা ছিল যে, দেশে একটি শাসনতন্ত্র এবং তার ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে, তা নিজেদের অপসারণের পথকেই প্রস্তুত করবে। সামরিক ও বেসামরিক আমলারাও প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মধ্যে বিপদের অস্তিত্ব সম্পর্কে সজাগ ছিলেন। মূলতঃ পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিরোধী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের যে উত্থান তার পিছনে মুখ্য শক্তি ছিল এ অঞ্চলের রাজনৈতিক সচেতন সকল স্তরের জনগণের শোষণ-বঞ্চনা ও বৈষম্যের কঠিন উপলব্ধি। পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশেও এই ধারাবাহিকতার অব্যাহত স্বরূপ অনেকাংশে পর্যবেক্ষণ করি। শাসনতান্ত্রিক পরিবর্তন এবং সরকারের সকল অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ পাকিস্তানের জন্মলগ্নেই গণতন্ত্রকে ভূ-লুন্ঠিত করেছে। সামরিক আমলারা যেমনি রাজনৈতিক দলে অনুপ্রবেশ করে পাকিস্তানে সংসদীয় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে সামরিক গণতন্ত্রের সূচনা করে, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সভ্যতার ইতিহাসে বর্বরতম জাতির পিতার বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে একই ধারার সূচনা করে বাংলাদেশে। সে সময় থেকে শাসনতন্ত্রকে বীভৎসভাবে নিজেদের মতো ব্যবহার করে বিভিন্ন ধারা-উপধারা সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিমার্জন করে সামরিক শাসনকে বৈধতা দিয়ে গণতন্ত্রের এক লুম্পেন চরিত্রের উন্মেষ ঘটানোর অপচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়। স্বাধীনতার পর থেকে একটি নষ্ট কু-চক্রী শ্রেণী বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বন করে এখনও পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনে ব্যাপৃত রয়েছে। এরা যেমন একদিকে প্রতিষ্ঠিত শিল্পের মুনাফা লুণ্ঠন করছে অন্যদিকে তেমনি শিল্প স্থাপনের নামে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে হয় বিদেশে পাচার করেছে নয়ত বা ভোগ বিলাসের পেছনে ব্যয় করেছে। ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ব্যক্তিখাতকে অধিক মাত্রায় গুরুত্ব দেয়া হয়। সেনাশাসকরা ব্যক্তি খাতের যে ধারাটি চালু করেছিল, তাতে শিল্প স্থাপনের নামে কোটি কোটি টাকার ঋণ প্রদান করা হলেও সে অনুপাতে শিল্পের বিকাশ ঘটেনি। প্রাক ’৭৪ পর্বে ব্যক্তিগত খাতে ঋণদানের পরিমাণ ছিল ১২ কোটি টাকা, সেক্ষেত্রে ১৯৭৫-৮১ সময় পর্বে প্রদত্ত এই ঋণের অঙ্ক দাঁড়ায় (রাষ্ট্র খাত বাদে) মোট ৮৭৬ কোটি টাকায়। জিয়া ও সাত্তার সরকারের আমলের ঋণ গ্রহণকারী ৪ হাজার শিল্প-প্রকল্পের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। পুঁজি বিনিয়োগ বোর্ডের এক জরিপ থেকে জানা যায়, কেবল ৮৫ সাল থেকে ৯০ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে গড়ে ৭৫৩১টি অনুমোদিত শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৪২২টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের কোন অস্তিত্বই নেই। এভাবে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে সরকার প্রদত্ত ঋণ থেকে শিল্প প্রসারের যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকলেও ঋণের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ব্যয় হয়েছে ব্যক্তির লালসা চরিতার্থে। সার্Ÿিক পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় সামরিক গণতন্ত্র বা বহুদলীয় গণতন্ত্রের মোড়কে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাস বরাবরই ধর্ষিত হয়েছে। পরাজিত শক্তির আস্ফালনে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদী ধর্মীয় রাজনীতির উন্মাদনা দিয়ে চর দখলের মতো গণতান্ত্রিক পন্থায় ত্যাগী ও আদর্শ রাজনীতির স্থান দখল করেছে ঋণখেলাপী, ব্যবসায়ী ও টিকাদার সম্প্রদায়। পরম শ্রদ্ধেয় কবি, প্রাবন্ধিক ও কলামিষ্ট আবদুল গাফফার চৌধুরীর ভাষায়, আগে রাজনীতিকরা দলের নেতা হতেন, এখন হন ব্যবসায়ীরা। এখন মুৎসুদ্দি পুঁজির বিকাশ ঘটেছে দেশে। রাজনীতিতেও তাদেরই দাপট। রাজনীতিকরা দলে বছরের পর বছর কাজ করে নেতৃত্বের আরেকটি ধাপ অতিক্রম করতেন। এখন ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা দলে যোগ দিয়েই নেতা হতে চায়। তারা টাকা দিয়ে এমপি আসন কেনে। দলের নেতৃত্বেও আসীন হয়। তাদের দাপটে রাজনীতিকরা বিতাড়িত হচ্ছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান নয় বছরকাল সরকার পরিচালনা করে এবং একই সঙ্গে অত্যন্ত সূচারুরূপে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে আপাদমস্তক ধারণ করে জাতির ইতিহাসে নতুন চিত্রপট অঙ্কন করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এবং জাতির জনকের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ প্রণয়ন করেছেন। সততা, নারী নেতৃত্ব, মানবতার জননী, ধরিত্রী-সমুদ্র-মঙ্গা-সীমান্ত জয়ের বিশ্ব স্বীকৃতি, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফল উৎক্ষেপণ, জঙ্গী- সন্ত্রাস ও মাদক নিয়ন্ত্রণে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা, মিয়ানমার কর্তৃক বিতাড়িত ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় ও নিরাপত্তা প্রদান, বছরের ১ম দিন প্রায় পাঁচ কোটি পঁয়ষট্টি লাখ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে প্রায় তেত্রিশ কোটি বই বিতরণ, মাথাপিছু আয় ১৭৫২ মার্কিন ডলারে উন্নীতকরণ, ৭.৮ শতাংশ জিডিপি অর্জন, ৭১% শিক্ষার হার এবং ৭২ বছরে গড় আয়ু উন্নীতকরণ, পদ্মা সেতু নির্মাণসহ সকল ক্ষেত্রে অসাধারণ উন্নয়ন নিশ্চিত করে স্বল্পোন্নত দেশ হতে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মহাসড়কে পদার্পণ এবং উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্ব পরিম-লে দেশ ও দেশবাসীকে অপরিসীম উচ্চ মাত্রিকতার মর্যাদায় সমাসীন করে তাঁর এবং দলের ভাবমূর্তিকে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে শেখ হাসিনা পরিপূর্ণভাবে সফল হয়েছেন। তাছাড়া দলের তৃণমূল পর্যায়ে নিবেদিত আদর্শিক পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের যথার্র্থ মূল্যায়নে নিয়মিত সভা-সমিতির মাধ্যমে তাঁদের সুখ-দুঃখ-বঞ্চনার আবেগপ্রসূত বক্তব্য সমূহকে গুরুত্বের সঙ্গে শ্রবণ, বিবেচনা ও সমাধানের নিরন্তর প্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন। প্রতারক, দলবাজ, ঠগবাজ এবং সুবিধাবাদি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে দলে তাদের অবস্থানকে নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেয়ার কারণে, সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের মাঝে নতুন অনুপ্রেরণা, উদ্দীপনা, উৎসাহ এবং হৃদয়ের সুপ্তশক্তিকে জাগিয়ে তুলে দলকে করছেন উন্নত গণতান্ত্রিক এবং দেশবাসীকে উপহার দিচ্ছেন নির্বাচনে জয়ের নতুন উজ্জীবনী শক্তি। অতএব সাম্প্রতিক সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নয়, সংসদ নির্বাচনসহ যেকোন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে জয়যুক্ত করার সম্মোহনী আবেদন নিঃসন্দেহে দেশের আপামর জনগণ সাদরে গ্রহণ করবে- সাবলীল ও স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সেটিই প্রত্যাশিত। লেখক : শিক্ষাবিদ, উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
×