ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অভিবাসীদের স্বাগত জানাবে পর্তুগাল

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ৫ জুলাই ২০১৮

অভিবাসীদের স্বাগত জানাবে পর্তুগাল

অধিকাংশ ইউরোপীয় দেশ অভিবাসন প্রবাহ কমাতে চেষ্টা করলেও পর্তুগাল অভিবাসন প্রত্যাশীদের খুঁজছে। পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কোস্টা গত মে মাসে দলের এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাদের আরও অভিবাসন দরকার। আমরা আর শরণার্থী আতঙ্কে ভুগতে চাই না। খবর এএফপির। এর আগে ইতালি শরণার্থীদের নিরাপদ আশ্রয় দিতে অস্বীকার করার পর গত ২১ জুন থেকে পর্তুগালই ইউরোপের প্রথম দেশ যে উদ্ধার জাহাজ পাঠিয়ে শরণার্থীদের নিরাপদে পৌঁছে দিতে কাজ করছে। গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত একটি শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে ইউরোপীয় নেতাদের এ বিষয়ে চুক্তি করতে বেশ লড়াই করতে হয়েছে। উত্তর আফ্রিকার উপকূলীয় এলাকার অভিবাসন প্রত্যাশীদের কে বা কারা গ্রহণ করবে বা সে সমস্যা কিভাবে সমাধান হবে প্রভৃতি বিয়ষ সে সময় নেতাদের আলোচনায় উঠে আসে। এদিকে পর্তুগালের সমাজতান্ত্রিক সরকার ইতোমধ্যে এ সমস্যা সমাধানে বেশ কিছু গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। শীর্ষ বৈঠকটির পর কোস্টা বলেন, বৈঠকটি খবুই জটিল ছিল। চুক্তিতে পৌঁছাতে নেতাদের অস্পষ্ট ঐকমত্য গোপন ছিল না, যা আজ ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের প্রধান হিসেবে পর্তুগালের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্তোনিও ভিট্রোরিও’র নির্বাচন খুবই গুরুত্ব এজন্য যে, পর্তুগাল এ বিষয়ে সংলাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। ভারতের গোয়ায় পর্তুগালের সাবেক কলোনিতে বেড়ে ওঠা কোস্টার বাবা একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তিনি সাম্যবাদী লেখক হিসেবে অধিক পরিচিত ছিলেন। কোস্টা এখন তার রাজনৈতিক কর্মসূচীর মূল উপাদান হ্রাসকারী জনগোষ্ঠীকে পুনর্জীবিত করছে। আগামী বছর নির্বাচনে দেশের প্রধান হিসেবে কোস্টার জন্য বিষয়গুলো যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। সরকারের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, স্থিতিশীল কর্মমুখী জনগোষ্ঠীর ভারসাম্য ঠিক রাখতে পর্তুগালে অন্তত ৭৫ হাজার নতুন অধিবাসী বা অভিবাসন প্রত্যাশী দরকার। দেশটিতে বর্তমানে ১ কোটি ৪ লাখ লোক বসবাস করে। এ প্রেক্ষাপটে গত বৃহস্পতিবার সরকার শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজতর করার কথা জানিয়েছে। এদিকে বছরে অন্তত ৩০ হাজার বিদেশী সম্পূর্ণ বৈধভাবে দেশটিতে যেতে পারলেও তাদের কাজ করার জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই। ২০১১ সালের অর্থনৈতিক সঙ্কটের পর দেশটিতে গত ৩ বছর ধরে চলমান মন্দাবস্থার কারণে ৩ লাখেরও বেশি পর্তুগীজ উত্তম জীবনের সন্ধানে দেশত্যাগ করে অন্যত্র চয়ে যায়; যাদের অধিকাংশই ছিল সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় পাস করা তরুণ-তরুণী। জাতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট জানায়, গত বছর দেশটি ৬ বছরের জন্য প্রথমবার নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করে। এর মধ্যে যারা দেশটি ত্যাগ করছে এবং যারা দেশটিতে প্রবেশ করছে তাদের হিসাব রাখা হয়।
×