ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জোয়াকিমের পক্ষে জার্মানির সবাই

প্রকাশিত: ০৭:১৮, ৪ জুলাই ২০১৮

জোয়াকিমের পক্ষে জার্মানির সবাই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত বিশ্বকাপে দলকে চতুর্থ বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন। কিন্তু এবার তার নির্দেশনায় কাজ হয়নি। গ্রুপপর্ব থেকেই ছিটকে গেছে জার্মানি। অতীত ঘটনা অনুসারে কোচ জোয়াকিম লো এখন তাই সবচেয়ে চাপের মুখে থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জার্মান ভক্ত-সমর্থকদের অধিকাংশই এবং তারকা খেলোয়াড়রা চাইছেন জোয়াকিমই কোচ হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে থাকুন। তবে জার্মান ফুটবল এ্যাসোসিয়েশন (ডিএফবি) প্রত্যাশা করছে জোয়াকিম নিজে থেকেই কিছু বলবেন এ বিষয়ে। অতীতে দলের ব্যর্থতার জন্য অনেক কোচকেই বরখাস্ত হতে দেখা গেছে। অথবা নিজেই সরে দাঁড়িয়েছেন দায়ভার নিজ কাঁধে তুলে নিয়ে। জোয়াকিমের ভাগ্যটাও এমন হবে কেউ হয়তো কল্পনা করতে পারেননি। নিজেও কী ভাবতে পেরেছিলেন এমন একটি দল বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে যাবে? স্বাভাবিকভাবেই এমন পরিণতি মেনে নেয়া সহজ নয় কোন দেশের পক্ষে। কিন্তু এরপরও জোয়াকিমের পক্ষেই অধিকাংশ জার্মান ভক্ত। একটি টেলিভিশনের জরিপে দেখা গেছে ৪৮ ভাগ মানুষ এখনও মনে করেন কোচ হিসেবে জোয়াকিমেরই থাকা উচিত। ৩৭ ভাগ মানুষ মনে করছেন জোয়াকিমের এখন চলে যাওয়ার সময় এসেছে এবং ১৫ ভাগ মানুষ এ বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। আর দলের তারকা খেলোয়াড়রা সম্মত হয়েছেন তার থেকে যাওয়ার ব্যাপারে। ডিএফবি চাইছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই জোয়াকিম নিজে থেকে কিছু বলবেন এই দীর্ঘ ১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে পড়া দলকে নিয়ে। মিডফিল্ডার সামি খেদিরা বলেন, ‘তার থাকা উচিত কারণ দীর্ঘ অনেক বছর ধরে তিনি দারুণ কাজ করছেন। তরুণ খেলোয়াড়দের দলে এনেছেন এবং আমি আশাকরি তিনি থাকবেন।’ খেদিরার মতোই এবার বিশ্বকাপে খুবই বাজে পারফর্মেন্স ছিল টমাস মুলারের। তিনিও বলেন, ‘আসলে তিনি যেভাবে কাজ করেন সেটার কৌশলগত দিক আমাদের খুবই মুগ্ধ করেছে।’ যদিও এ দুই তারকাকেই শেষ গ্রুপ ম্যাচে একাদশে রাখেননি জোয়াকিম। কারণ দু’জনই মেক্সিকো ও সুইডেনের বিপক্ষে খুব বাজে খেলেছেন। গত মাসেই জোয়াকিমের সঙ্গে ২০২২ সাল পর্যন্ত ডিএফবি চুক্তি নবায়ন করেছে। কিন্তু এরপরও এখন নিজের ভবিষ্যত নিয়ে পর্যালোচনা করতে হচ্ছে দলের ব্যর্থতার কারণে। এবার তরুইদের নিয়ে বিশ্বকাপের আগেই কনফেডারেশন্স কাপ জিতেছেন তিনি। অথচ ১৯৩৮ সালের পর এই প্রথম দ্বিতীয়পর্বে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে জার্মানি। এরপরও খেলোয়াড়, ভক্তদের মতোই ফুটবল বিশেষজ্ঞরাও চাইছেন জোয়াকিমের তার কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত। সাবেক জার্মান ডিফেন্ডার ক্রিস্টোফ মেটজেল্ডার বলেন, ‘একজন কোচকে ছেড়ে দেয়া আসলে খুবই সহজ। কিন্তু এর পরবর্তী পদক্ষেপটা কঠিন। কে হবেন উপযুক্ত উত্তরসূরি? আমি এক্ষেত্রে কোন উত্তর খুঁজে পেলাম না। আমি নিশ্চিত অন্যরাও পাবে না।’ তবে লিভারপুলের কোচ জার্গেন ক্লপ, সাবেক আর্সেনাল কোচ আরসেন ওয়েঙ্গার ও ৭৩ বছর বয়সী জাপ হেইঙ্কেস জার্মানির কোচ হওয়ার দৌড়ে আছেন। কিন্তু তাদের কাউকেই ডিএফবি তেমন পছন্দ করছেন না। এছাড়া কিংবদন্তি লোথার ম্যাথিয়াসও মনে করছেন জোয়াকিমের মতো একজনের অনুপ্রেরণাই এখন বেশি কার্যকরী হবে জার্মানির জন্য। তিনি বলেন, ‘আমাদের কি শক্তি, আকাক্সক্ষা, অনুপ্রেরণা আছে নিজেদের চালিয়ে নেয়ার জন্য? সঠিক রাস্তায় পরিচালিত করার মতো অবস্থান কেউ নিতে পারবেন? কিন্তু জোয়াকিমের পক্ষে ইউরো ২০২০ বাছাইয়ে দলকে অনুপ্রাণিত করা সম্ভব।’
×