ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ৪ জুলাই ২০১৮

জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত জুনে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসপত্রের দাম কমার কারণে এবং দেশে বাম্পার ফলন হওয়ায় মূল্যস্ফীতি কমেছে। মাসওয়ারি ভিত্তিতে জুন মাসে সার্বিকভাবে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। গত মে মাসে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের কাছে মূল্যস্ফীতির সর্বশেষ হালনাগাদ পরিস্থিতি তুলে ধরেন। পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। জুন মাসে মূল্যস্ফীতি কমার কারণ হিসেবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসপত্রের দাম ক্রমাগতভাবে কমেছে। চিনি, ডাল, তেলের দাম অনেক কমেছে। তা ছাড়া এ বছর দেশে বাম্পার ফলন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, চালের দাম একটু বেড়েছে, তবে ওঠা-নামা করেছে। যদি চালের দাম বাড়ে, সরকার অবশ্যই তা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেবে। গুদামে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে। এই মজুদ পরিস্থিতি আগামী দুই বছরের জন্য বেশ ভালো। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতি মাসে মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতির তথ্য প্রকাশ করে থাকে। সদ্যবিদায়ী অর্থবছরে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই গড় হার ছিল ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের হাওরে বন্যা হয়েছে। লাখ লাখ টন চাল আমদানি করতে হয়েছে। অবশ্য এখন আর চালের সমস্যা নেই। বিবিএস আরও বলছে, গত মে মাসের তুলনায় মাছ-মাংস, শাকসবজি, মসলা ও ফলজাতীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে খাদ্যবহির্ভূত খাতের মধ্যে পরিধেয় বস্ত্র, বাড়িভাড়া, বিদ্যুত, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়েছে।
×