ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গুলশানে মাটির নিচে বিদ্যুতের গ্রিড উপকেন্দ্র

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ৪ জুলাই ২০১৮

গুলশানে মাটির নিচে বিদ্যুতের গ্রিড উপকেন্দ্র

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে বিদ্যুত সরবরাহের সক্ষমতা বাড়াতে গুলশানে একটি ভূগর্ভস্থ গ্রিড উপকেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ৯৫০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা দেবে জাইকা। রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় ‘ঢাকাস্থ গুলশানে ১৩২/৩৩/১১ কেভি ভূ-গর্ভস্থ গ্রিড উপকেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্পসহ মোট ৮টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৪৯৩ কোটি ৮ টাকা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রকল্প সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। মন্ত্রী বলেন, গুলশানে ভূগর্ভস্থ উপকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে ঢাকা শহরে বিদ্যুত সরবরাহের ক্ষমতা ও নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য তৈরি হবে। এতে ডেসকো এলাকায় জনদুর্ভোগ কমবে এবং নতুন গ্রাহক সংযোগ সুবিধা তৈরি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে প্রায় ৬২৯ কোটি ৯৭ টাকা জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা প্রকল্প সাহায্য হিসেবে অর্থায়ন করবে। চলতি বছর থেকে ডিসেম্বর, ২০২৩ মেয়াদে ডেসকো প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। সভায় ‘১৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৮৭ কোটি টাকা। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণের মধ্যদিয়ে জনগণের কাছে সুবিধাজনক স্থান থেকে উন্নতমানের পাসপোর্ট সেবা দেয়া সম্ভব হবে । চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর এবং গণপূর্ত অধিদফতর। অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হচ্ছে- পদ্মা (যশোলদিয়া) পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প (সংশোধিত), যার খরচ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৬৭০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ প্রকল্প, যার খরচ ধরা হয়েছে ২৬৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। মোল্লাহাট ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও ভূমি উন্নয়ন প্রকল্প, যার খরচ ধরা হয়েছে ৮২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। শেখ হাসিনা স্পেশালাইজড জুট টেক্সটাইল মিল প্রকল্প, যার খরচ ধরা হয়েছে ৫১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এ্যান্ড এ্যালায়েড সায়েন্সেস (ইনমাস) ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামে সাইক্লোট্রন ও পেস-সিটি এবং ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিক্যাল ফিজিক্স (আইএনএমপি) এবং সাভারে সাইক্লোট্রন সুবিধাদি স্থাপন প্রকল্প, যার খরচ ধরা হয়েছে ৬৭৩ কোটি টাকা। সোনাইমুড়ি-সেনবাগ-কল্যান্দী-চন্দেরহাট-বসুরহাট সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, যার খরচ ধরা হয়েছে ২৪১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। মন্ত্রী জানান, মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সরকারী তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৩ হাজার ২৭৯ কোটি ২২ লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায্য ৩ হাজার ৩৩ কোটি ৮৮ লাখ এবং ১৭৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা পাওয়া যাবে সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে।
×