ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মান্দায় বিদ্যুত সংযোগ দিতে চাঁদা নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ৩ জুলাই ২০১৮

মান্দায় বিদ্যুত সংযোগ দিতে চাঁদা নেয়ার অভিযোগ

বিশ্বজিৎ মনি, নওগাঁ ॥ মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের মটগাড়ি ও ইনাতপুর গ্রামের ১৪০ পরিবারে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দিতে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ৩ চাঁদাবাজ পল্লী বিদ্যুতের জিএম, এজিএম ও ডিজিএমসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দেয়ার কথা বলে এই টাকা আদায় করে। এতেই তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি, সংযোগ দিতে ফের তারা প্রত্যেক গ্রাহকের কাছে আরও ২ হাজার ২শ’ টাকা করে দাবি করছে। এই টাকা না দিলে গ্রাহকদের নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে গ্রামবাসী এই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ঘটনাটি এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। অভিযোগে জানা গেছে, ‘প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুত’ প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচী বাস্তবায়নে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মটগাড়ি গ্রামে বিদ্যুত দেয়ার কথা বলে এলাকার আব্দুল জলিল, সখেন মোল্লা ও ময়নুল হক গ্রামের প্রতিটি পরিবার প্রধানের ভোটার আইডি কার্ড ও বাড়ি-ভিটার খতিয়ান ও দলিলপত্রের ফটোকপি নিয়ে যায়। এর পর নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে গ্রামের ১৪০টি পরিবারের প্রতিটি বাড়িতে ১টি করে বৈদ্যুতিক মিটার দেয়ার কথা বলে প্রত্যেক পরিবারের কাছে ৭ হাজার ৫৬০ টাকা থেকে ১০ হাজার ৫৬০ করে সর্বমোট ১১ লাখ ৯৮ হাজার ৪শ’ টাকা আদায় করে। এরপর বৈদ্যুতিক খুঁটি বসিয়ে তার টানা অন্তে মিটার লাগিয়ে সংযোগ দেয়ার কথা বলে আরও ২ হাজার ২শ’ টাকা করে দাবি করে। এই টাকা দিতে অস্বীকার করলে চাঁদাবাজরা বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হবে না এবং প্রয়োজনে তাদের মারপিট করে টাকা আদায়ের হুমকি দিয়েছে। এ দিকে ওই গ্রামের ভুক্তভোগী গ্রাহক মোঃ মজিবর রহমান ম-ল জানান, সম্প্রতি বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব) স্বাক্ষরিত এক পত্রে জানতে পারেন, পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ নিতে কোন গ্রাহককে টাকা দিতে হবে না। পত্রে তিনি দালাল চাঁদাবাজদের সম্পর্কে গ্রাহকদের সতর্ক করেছেন। এর পর থেকে গ্রামবাসী ওই ৩ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে চাঁদাবাজরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এ বিষয়ে মান্দা পল্লী বিদ্যুতের প্রকৌশলী আব্দুস সালাম অভিযোগ অস্বীকার বলে বলেন, প্রত্যেক গ্রাহকের কাছে সরকারী বিধি অনুয়ায়ী ৪৫০ টাকা করে নিয়ে রীতিমতো তাদের রশিদ দিতে হবে। এর বেশি কেউ কোন টাকা আদায় করলে, গ্রামবাসী ওইসব চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী, দালালদের বেঁধে পুলিশে সোপর্দ করতে পারেন। এতে পল্লী বিদ্যুত সমিতি গ্রামবাসীর পাশে থাকবে।
×