ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মহাকাশ স্টেশনে ভাসমান রোবট

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২ জুলাই ২০১৮

মহাকাশ স্টেশনে  ভাসমান রোবট

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটে করে এ্যানিমেটেড কার্টুন মুখচ্ছবির একটি পরীক্ষামূলক ভাসমান রোবট পাঠানো হয়েছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। সিমন (ক্রু ইন্টারএ্যাকটিভ মোবাইল কম্পেনিয়ন) নামক এই রোবটটি মহাকাশচারীদের একজন ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহকারী’ হিসেবে কাজ করবে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে বর্তমানে ১৪ জন মহাকাশচারী রয়েছেন। সিমনের ওজন ৫ কেজি; কিন্তু শূন্য মাধ্যাকর্ষণে এটি ভেসে বেড়াতে পারে। মহাকাশচারীদের রোবট সহায়তা করতে পারে কিনা সেটা বোঝার জন্যই এ প্রচেষ্টা। ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোন সুবিধার এই রোবটটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আলেকজান্ডার গের্ট নামক একজন জার্মান মহাকাশচারীর সঙ্গে কাজ করবে। রোবটটিতে একটি ‘অফলাইন’ বাটনও রয়েছে, যা গোপনীয়তার মুহূর্তে গের্টকে পৃথিবীর সার্ভারে অডিও স্ট্রিমিং এড়ানোর সুবিধা দেবে। সম্প্রতি মহাকাশচারীদের জন্য খাদ্য ও পানিসহ প্রায় ২ দশমিক ৭ টন ওজনের পণ্যসম্ভার নিয়ে রকেট পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে সিমন রোবটটিও রয়েছে। আইবিএম প্রকৌশলী মেথিয়াস বিনিওক বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে মহাকাশচারীদের দৈনন্দিন কাজকর্মে সময় সাশ্রয়ে সহায়তা করা। কারণ, মহাকাশ স্টেশনে সবচেয়ে মূল্যবান ব্যাপার হচ্ছে সময়।’ ইংরেজীতে কথা বলতে পারদর্শী সিমন। জার্মান ন্যাশনাল স্পেস এজেন্সির জন্য এই রোবটটি তৈরি করেছে আইবিএম এবং এয়ারবাস। মহাকাশচারীদের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় নিদের্শনা এবং মৌখিক প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে সক্ষম এই রোবট। শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ নোয়েল শার্কে বলেন, ‘মহাকাশ ফ্লাইট সহায়তার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার এই প্রযুক্তিটির একটি সুস্পষ্ট ভাল ব্যবহার।’ তবে তিনি এটাও বলেন যে, সিমনকে তার যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। ডিসেম্বরের ১৩ তারিখে পৃথিবীতে ফেরার কথা রয়েছে সিমনের। -বিবিসি
×