ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

২১ জনকে অভিযুক্ত করে চলতি সপ্তাহেই চার্জশীট

গুলশান হামলার নেপথ্য মদদদাতারা এখনও রহস্যের জালে আটকা

প্রকাশিত: ০৫:১০, ২ জুলাই ২০১৮

  গুলশান হামলার নেপথ্য মদদদাতারা এখনও রহস্যের জালে আটকা

শংকর কুমার দে ॥ দুনিয়া কাঁপানো গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলার ঘটনায় ২১জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দেয়া হচ্ছে চলতি সপ্তাহেই। চার্জশীটভুক্ত গ্রেফতার ও বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়া জঙ্গীদের বাইরে জঙ্গী হামলায় অংশগ্রহণকারীরা বিদেশে কোন্ জঙ্গী গোষ্ঠীর কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সেই নেপথ্যের মদদদাতা কারা তা এখনও রহস্যের জালে আটকা। জঙ্গী হামলার বিষয়ে আইএসের পোশাক পরে আইএস জঙ্গীদের কায়দায় অস্ত্র উঁচিয়ে ছবি তুলে তা বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে পাঠিয়ে দিয়েছে, যাতে মনে হয় সব খবরই আগে জানিয়েছে জঙ্গীরা। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জিম্মি ঘটনার বিষয়টি দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা ধরে চলা জিম্মি পরিস্থিতির সময়কালে জঙ্গী গোষ্ঠী তথাকথিত সিরিয়া-ইরাক ভিত্তিক জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেট অনলাইনে হামলার নিয়মিত আপডেট দিয়েছে, যার অনেকই সঠিক ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। বাংলাদেশ থেকে জঙ্গী গোষ্ঠীতে যোগদানের জন্য সিরিয়া, ইরাক, তুরস্ক, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের উদ্দেশ্যে শতাধিক ব্যক্তি যাওয়ার পর তাদের নিখোঁজ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিভিন্ন দেশে যাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকায় নিখোঁজ ব্যক্তিরা এখন কোন্ দেশে কোথায় কি করছে তার সকল তথ্য উদঘাটন না করা গেলে অদূর ভবিষ্যতে তারাও জঙ্গী হামলার জন্য হুমকি থেকে যাওয়ার আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলেন, ২০১৬ সালের ১ জুলাই শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে একদল অস্ত্রধারী গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে দেশী ও বিদেশী অবস্থানরত অতিথিদের জিম্মি করে ফেলে। কার্যত ইসলামিক স্টেট জানান ও পরিচয় দিয়েই বাংলাদেশে তাদের জঙ্গী তৎপরতা পরিচালনা করছে হামলাকারী জঙ্গীরা। এই জঙ্গী হামলা চলাকালে প্রায় সব খবরই ইসলামিক স্টেটের স্বঘোষিত সংবাদ সংস্থা ‘আমাক’ সবার আগে জানিয়েছে। বিস্ময়কর হচ্ছে, সেসব খবর যে ভুয়া ছিল না, তা প্রমাণ হতে বেশি দেরি লাগেনি। গুলশান বেকারিতে জঙ্গীরা হামলা চালানোর কিছুক্ষণ পরেই বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সে সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে বিষোদগার, লাইভ প্রচারের বিষয়টিকে জঙ্গী হামলার পরিস্থিতি সামাল দেয়াকে সামনে আনা হলেও ততক্ষণে অবশ্য গোটা বিশ্বের নজর চলে আসে গুলশানের জঙ্গী হামলার দিকে। আর খবরের উৎস হয়ে ওঠে জঙ্গীদের সংবাদ সংস্থা আমাক। বাংলাদেশ সময় রাত একটার দিকে জঙ্গী গোষ্ঠীটি জানায়, তাদের জঙ্গীরা ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়েছে। প্রথমে ক্ষুদেবার্তা পাঠানোর এ্যাপ টেলিগ্রাম ব্যবহার করে প্রকাশিত সেই খবর টুইটারে প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের পরিচালক রিটা কাৎস। ইসলামিক স্টেট বাংলাদেশে তাদের জঙ্গীরা হত্যাকা- ঘটানোর পরপরই সেসবের দায় স্বীকার করেছে, যা বিস্তারিত টুইটে জানিয়েছে কেন, কাকে হত্যা করা হয়েছে। গুলশানে জঙ্গী হামলার পর থেকে বিগত দিনে ইসলামিক স্টেটের কার্যক্রম পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বাংলাদেশকে তারা তাদের কার্যক্রম বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছিল। তাদের প্রোপাগান্ডা ম্যাগাজিন ‘দাবিকে’ একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের ইতিহাস নিয়ে। জঙ্গী গোষ্ঠীটি কয়েকমাসে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান নিয়ে যত কথা বলেছে, তারচেয়ে বেশি বলেছে বাংলাদেশ নিয়ে। এমনকি রমজানের সময় বিশ্বের বিভিন্নস্থানে তাদের হামলা পরিকল্পনার মধ্যে বাংলাদেশের উল্লেখ ছিল। তাদের সর্বশেষ প্রকাশিত হিটলিস্টেও বাংলাদেশের নাম ছিল। এসব ঘটনার পেছনে জঙ্গী গোষ্ঠীর বিদেশী চক্র রয়েছে যা জঙ্গী হামলা ও তৎপরতায় প্রমাণ করে যদিও বাংলাদেশ সরকার অবশ্য সেদেশে বিদেশী জঙ্গী গোষ্ঠীর উপস্থিতি গতকাল পর্যন্ত স্বীকার করেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসলামিক স্টেটস অর্থাৎ আইএসের কোন বিদেশী জঙ্গী বাংলাদেশে এলে লুকিয়ে থাকার জো নেই, খুব সহজেই শনাক্ত হয়ে যাবে। আইএস ভাবাদর্শের বাংলাদেশী জঙ্গীরাই আইএস জঙ্গী পরিচয় দিয়ে ভয়াবহ ও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি উপস্থিতির চেষ্টা করেছে, যা তদন্তে প্রমাণিত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জঙ্গী বিরোধী অভিযানে জঙ্গী সংগঠনগুলোর মেরুদ- ভেঙ্গে দিয়ে জঙ্গীদের খুঁজে খুঁজে বের করার পর আইএস পরিচয়, আইএসের মুখপাত্র আমাক-দাবিক, যুক্তরাষ্ট্রের সাইট ইন্টেলিজেন্স, রিতা কাৎস ইত্যাদির কোন নামগন্ধ শোনা যাচ্ছে না। তবে বাংলাদেশের যেসব ব্যক্তি আইএস জঙ্গী গোষ্ঠীতে যোগদানের উদ্দেশে যাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিখোঁজের তালিকায় আছেন তারা কোন্ দেশে কি করছে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে কিনা তার হদিস করতে পারছেন না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গুলশান হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলার আগে ও পরে তারা নেপথ্যে থেকে কোন ভূমিকা রেখেছে কিনাও তাও রহস্যাবৃত। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পুলিশ সদর দফতর ও র‌্যাবের সদর দফতর থেকে নিখোঁজদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে বাংলাদেশ থেকে এবং বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশী ব্যক্তি যারা গেছেন তাদের সংখ্যা শতাধিক হতে পারে। বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এসব জঙ্গীর কারও কারও সঙ্গে দেশে থাকা জঙ্গীদের যোগাযোগ বিপদের কারণ ডেতে আনতে পারে। এ ছাড়াও দেশী-বিদেশী বিভিন্ন মাধ্যমে যেসব তথ্য প্রকাশ পেয়েছে, তাতে দেশী ও প্রবাসী মিলে শতাধিক জঙ্গী সিরিয়া-ইরাকে গেছে বলে ধারণা করা হয়। বাংলাদেশ থেকে ঠিক কতজন ইরাক-সিরিয়া বা অন্য দেশে গেছে, তাদের কতজন মারা গেছে, জীবিতরা কে কোথায় আছে; তার পরিপূর্ণ হিসাব বা তথ্য বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছেও নেই। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এসব বিদেশী নাগরিককে নিয়েও উদ্বেগ আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে। কারণ, এসব জঙ্গীর কারও কারও সঙ্গে এ দেশের জঙ্গীর যোগাযোগ বা যোগসূত্র রয়েছে। সামিয়ুন রহমান ওরফে ইবনে হামদান নামে এক বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক তুরস্ক থেকে বাংলাদেশে এসে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় গ্রেফতার হন। তখন পুলিশ বলেছিল, সামিয়ুন সদস্য সংগ্রহের জন্য চেষ্টা করছিলেন। এই সামিয়ুন পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে ভারতে পালিয়ে যান। তিনি গত বছরের সেপ্টেম্বরে দিল্লীতে আবার ধরা পড়েন। এ ছাড়াও নিখোঁজদের তালিকায় যারা আছেন তার মধ্যে এ টি এম তাজউদ্দিন, সাইফউল্লাহ ওজাকি, সাইফুল হক ও রিফাত হোসেন খানএ টি এম তাজউদ্দিন, সাইফুল হক, বগুড়ার ব্যারিস্টার এ কে এম তাকিউর রহমান ও স্ত্রী রিদিতা রাহেলা, কুমিল্লার জুন্নুন শিকদার, ঢাকার জোবায়দুর রহিম, ইব্রাহিম হাসান খান, জুনায়েদ হাসান খান, আশরাফ মোঃ ইসলাম, ডাঃ আরাফাত হোসেন, তাহমিদ রহমান, তার স্ত্রী সায়মা খান, তৌসিফ হোসেন, ডাঃ রোকনুদ্দীন খন্দকার (ঢাকা), তার স্ত্রী নাঈমা আক্তার, তাদের দুই মেয়ে রেজওয়ানা রোকন ও রমিতা রোকন এবং জামাতা সাদ কাশিম কায়েস, আশিকুর রহমান জিলানী (নিহত), রিফাত হোসেন খান (নিহত), নাবিল বিন মুর্তাজা (নিহত), বৈমানিক ফারাজ বিন জাফর (নিহত), মির্জা মমিন উল হক, রেজওয়ানুল হক মৃধা, মোঃ তানভীর, তানভীর ওরফে জিম তানভীর, গোপালগঞ্জের সাইফুল হক ওরফে সুজন (নিহত), শিশু সন্তানসহ তার স্ত্রী সায়মা আক্তার, সাইফুলের ভায়রা শরিফুল ইসলাম ওরফে ইমন, তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তার, সিলেটের কামরুজ্জামান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নজিবুল্লাহ আনসারী (নিহত), চট্টগ্রামের নিয়াজ মোর্শেদ (নিহত) ও গাজীপুরের মোঃ মহিবুর রহমান সিরিয়া গেছেন। আর আফগানিস্তানে গেছেন ঢাকার ইফতেখার আহমেদ ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, সৈয়দ ফয়জুর রহমান, মায়মুন হাছিব মুনাজ (নিহত), মুনাজের বন্ধু নাজিম উদ্দিন (নিহত), সাইফুল হাসান (নিহত) ও তারিক সোহেল (নিহত)। মামুন রশিদ, মোহাম্মদ জাকির, মোহাম্মদ হাসান, আসাদুজ্জামান এবং এক পরিবারের ১৩ জন সিরিয়া যান। এই পরিবার যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটের গ্রামের বাড়ি আসে, তারপর সিরিয়া গেছে বলে জানা গেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া জানিয়েছেন, রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে আদালতে (চার্জশীট) দাখিল করা হবে। ১ জুলাই ওই জঙ্গী হামলার দুই বছর পূর্তি সামনে রেখে গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএমপি সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। ভয়াবহ ওই জঙ্গী হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার চার্জশীট প্রস্তুত। শীঘ্রই তা আদালতে দাখিল করবে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে আমাদের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অফিসাররা অনেক তথ্য পেয়েছেন। হঠাৎই ঘটনাটি ঘটেনি। প্রথমে তারা (জঙ্গী) পরিকল্পনা করেছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অস্ত্র সংগ্রহ করেছে। কারা-কোথা থেকে এই অস্ত্র সংগ্রহ করেছিল, অস্ত্র কোথায় জমা ছিল, অভিযান পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা কারা সংগ্রহ করেছিল, কীভাবে টাকা ট্রান্সফার হয়; বিস্তারিত তদন্ত করে অভিযোগপত্রে আনা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযানের আগে একটি বাসা প্রয়োজন ছিল, কারা জঙ্গীদের আশ্রয় দিয়েছে, কে ভাড়া নিয়েছে? কে সমন্বয় করেছে, অভিযান চলাকালীন এটাকে মিডিয়াতে (জঙ্গীদের ওয়েবসাইট) প্রচার করেছে, এগুলো তদন্ত করা হয়েছে। হলি আর্টিজানের হামলা কোন স্বাভাবিক ঘটনা ছিল না। এটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। এই ষড়যন্ত্রের মামলা এতটাই ব্যাপক ছিল যে এতে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে অনেক লোক জড়িত ছিল। তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে, কে কোন্ দায়িত্ব পালন করেছে, ফিজিক্যাল এভিডেন্স, কেমিক্যাল রিপোর্ট, এক্সপার্ট ওপিনিয়ন ইত্যাদির কারণে তদন্ত একটু সময়সাপেক্ষ হয়েছে। তবে প্রত্যাশা করছি ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে আদালতে চার্জশীট জমা দিতে পারব। এই হত্যাকা-ের পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র-বোমা সংগ্রহ ও সমন্বয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ে জড়িত ২২ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা। এদের মধ্যে হামলায় অংশগ্রহণকারী পাঁচ জঙ্গীসহ ১৩ জন নিহত হয়েছে। বাকি ৯ জনের মধ্যে ৭ জন কারাগারে ও দুজন পলাতক। তবে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের খ-কালীন শিক্ষক হাসনাত করিমকে মামলার চার্জশীটে আসামি করা হবে কি না সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। হাসনাত রেজা করিম এখনও কারাগারে। হামলা সম্পর্কিত সব তথ্যপ্রমাণ চার্জশীটে থাকবে, যাতে ভবিষ্যতে এই মামলার তদন্ত ও বিচার দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকে। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের এক কর্মকর্তা বলেন, সারা দুনিয়ায়ই এফটিএফ বা প্রবাসী জঙ্গীদের নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে। তবে অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে যেসব লোক ইরাক- সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে গেছে তাদের অনেকেই মারা গেছে। যারা জীবিত আছে তারা যাতে দেশে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সবাই সতর্ক আছেন। ইন্টারপোল সারা দুনিয়ার বিদেশী জঙ্গীদের নিয়ে একটা তথ্যভা-ার তৈরি করছে। তারা সেটা সব দেশকে দেবে এবং তা অনেক কাজে দেবে। বিদেশে যেসব লোক গিয়ে জঙ্গী তৎপরতার নামে নিখোঁজ আছেন তারা যাতে দেশে ফিরে আসতে না পারে সেজন্য বিমানবন্দরেও বায়োডাটাসহ সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে।
×