ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাজেট বরাদ্দ থাকলেও নারী কতটুকু লাভবান হচ্ছে তা দেখতে হবে

প্রকাশিত: ০৪:৫৭, ২ জুলাই ২০১৮

    বাজেট বরাদ্দ থাকলেও নারী কতটুকু লাভবান হচ্ছে তা দেখতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জবাবদিহিতার বিষয়টি যথাযথভাবে কাজ না করায় বাজেট বরাদ্দ থকলেও তার ব্যবহার যথাযথ হয় না বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম। তিনি বলেন, চারটি মন্ত্রণালয় থেকে এখন আমরা ৪৩টি মন্ত্রণালয়ের জেন্ডার বাজেট পেয়েছি যা একটি ইতিবাচক অর্জন। এই মুহূর্তে দাবি সেই বাজেট কতটুকু কার্যকর হচ্ছে অর্থাৎ নারী এটা থেকে কতটুকু লাভবান হচ্ছে সেই বিষয়টি দেখা এবং নারী-পুরুষের সুযোগ প্রাপ্তিতে যে বৈষম্য তা দূর করা। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে রবিবার বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আনোয়ারা বেগম-মুনিরা খান মিলনায়তনে ‘২০১৮-১৯ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটে জেন্ডার সংবেদনশীলতা’ বিষয়ক আলোচনা সভায় আয়েশা খানম এসব কথা বলেন। সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. বিদিশা হক, সেভ দ্য চিলড্রেনের চাইল্ড প্রটেকশন বিভাগের পরিচালক লায়লা খন্দকার এবং দৈনিক ফিনানসিয়াল এক্সপ্রেসের স্পেশাল করেসপনডেন্ট মুনিমা সুলতানা। মহিলা পরিষদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিআইডিএস এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আয়শা খানম। সভাটি পরিচালনা করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আন্দোলন সম্পাদক রেখা চৌধুরী। সভাপতির বক্তব্যে আয়শা খানম আরও বলেন, ‘৯৩ এর ভিয়েনা কনভেশনে বলা হয়েছে সমতার জন্য সমান সম্পদ প্রয়োজন। আর তাই জেন্ডার বাজেটের কাজটা একুশ’ শতকের নারী আন্দোলনের জন্য একটি গুরূত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি বলেন, এবার জেন্ডার বাজেটের রিপোর্টগুলো এসেছে যা ইতিবাচক। নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আরও উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। বাজেটের যথাযথ ব্যয় হচ্ছে না তাদের অর্থ ফেরত যাচ্ছে এই ক্ষেত্রে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, বাস্তবায়নের দিকটিতে গুরুত্ব দিতে হবে। আগামী বছরের বাজেটের আগে আমরা অর্থমন্ত্রণালয়কে জেন্ডার বাজেট নিয়ে আমরা কিছু তথ্য দিতে পারি যা পরবর্তী বাজেটে একটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. বিদিশা হক বলেন, ‘জেন্ডার বাজেটের যে প্রণালিটা সেটা এ বছর গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়েছে যা আমাদের একটি অর্জন। শিশু দিবা যতœ কেন্দ্র নারীর ক্ষমতায়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করে যে কর তুলে দেয়া হয়েছে তা একটি ইতিবাচক অর্জন। তবে এর জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের স্কিম চালু করতে পারে যেমন ঋণ সুবিধাসহ শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র বাধ্যতামূলক করা। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর পরিধি বাড়ানো হয়েছে এবং এর জন্য বিভিন্ন ধরনের পলিসি নেয় হয়েছে তা অত্যন্ত ইতিবাচক একটি বিষয়। তবে জেন্ডার বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থও ব্যয় হয় না বলে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, কিন্তু সেই জায়গাটিতে তথ্যের সহজপ্রাপ্যতা থাকা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়া, শ্রম বাজারে নারীর অংশগ্রহণের স্থবিরতা দেখা গিয়েছে তা দূর করার জন্য মেয়েদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা। ৪০-৪৫ অর্থাৎ মধ্য বয়সী নারীদের আমরা গার্মেন্টস সেক্টরে দেখি না। এখন সময় এসেছে নারীদের জন্য নতুন শ্রমবাজার বের করা যেখানে নারীরা কাজ করতে পারবে। পাশাপাশি নারীর কাজের গতি প্রকৃতির পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন। মূল বক্তব্যে ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ‘মোট বরাদ্দ যত দ্রুত বাড়ছে নারীদের জন্য বরাদ্দ তত দ্রুত হচ্ছে না।
×