ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা

খালেদার দন্ড বাড়ানোর আপীলের শুনানি কাল

প্রকাশিত: ০৪:৫৪, ২ জুলাই ২০১৮

খালেদার দন্ড বাড়ানোর আপীলের শুনানি কাল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদ-প্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার দ- খালাস চেয়ে করা আপীলের সঙ্গে তার সাজা বাড়ানোর জন্য দুদকের করা আবেদনের (রিভিশন) শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল মঙ্গলবার। একই সঙ্গে অপর দুই আসামি ১০ বছরের দ-প্রাপ্ত মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিনের আপীল শুনানির জন্যও একই দিন ধার্য করা হয়েছে। এদিকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ৫ আগস্ট ধার্য করেছে আদালত। রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ ও বিচারিক আদালত এ আদেশ দেয়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার দ-ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আপীলের সঙ্গে অপর কারাবন্দী দুজনের আপীল এবং খালেদার সাজা বৃদ্ধিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রিভিশন আবেদনের শুনানি হবে একই সঙ্গে। রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই আপীলসহ দুদকের আবেদনের শুনানির জন্য ৩ জুলাই দিন ধার্য করে। এর আগে গত বুধবার খালেদা জিয়ার আপীলের শুনানির জন্যও ৩ জুলাই দিন ঠিক করা হয়েছিল। আদালতে ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান প্রমুখ। এ মামলায় ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দী। বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি দুজন হলেন মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। পলাতক তিনজন হলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, এই মামলায় দ-িত ছয় আসামির মধ্যে তিনজন কারাবন্দী। বাকিরা পলাতক। ইতোমধ্যে কারাবন্দী তিনজনেরই আপীল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট। এছাড়া দুদকের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে একটি রিভিশন আবেদন করা হয়েছিল। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছে। এখন খালেদা জিয়ার আপীলের সঙ্গে বাকি দুই আসামির আপীল এবং দুদকের রিভিশনের প্রেক্ষিতে জারি করা রুলের শুনানি একসঙ্গে হবে বলে দুদকের এই কৌঁসুলি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদ- দেন। একই সঙ্গে খালেদার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদ- দেয় আদালত। ১১ মামলার শুনানি পিছিয়েছে ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ৫ আগস্ট দিন ধার্য করেছে আদালত। রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশীবাজারে অস্থায়ী ঢাকা মহানগর দায়রা জজের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ আসামিপক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন তারিখ ঠিক করেন। রবিবার মামলাগুলো শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টে মামলাগুলো স্থগিত রয়েছে বলে সময়ের আবেদন করা হয়। এর পর আদালত ওওই দিন নির্ধারণ করে। আদালতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন এ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবা, জিয়া উদ্দিন জিয়া প্রমুখ। খালেদা জিয়ার মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর দারুস সালাম থানার নাশকতার ৮, যাত্রাবাড়ী থানার ২ ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা। এদিকে, মামলাগুলোর মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। অপর দশটি মামলা ছিল অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য। গত বছর ২৫ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ এনে আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়। এছাড়া ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন।
×