ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গোপালগঞ্জে ইটভাঁটি মালিককে জবাই করে হত্যা

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ২ জুলাই ২০১৮

  গোপালগঞ্জে ইটভাঁটি মালিককে জবাই করে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ১ জুলাই ॥ গোপালগঞ্জের ইটভাঁটি মালিক আসাদুজ্জামান টিটো শরীফকে (৪৪) কুপিয়ে ও জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। রবিবার ভর-দুপুরে গোপালগঞ্জ ও নড়াইল সীমান্তবর্তী এলাকা নড়াগাতী থানার চর-সিঙ্গাতী গ্রামে তার ইটভাঁটির সামনের সড়কের ওপর এ ঘটনা ঘটে। নিহত টিটো শরীফ গোপালগঞ্জ শহরের পাঁচুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ আয়েজ উদ্দিন শরীফের ছেলে এবং গোপালগঞ্জ শরীফ ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী। ভাঁটি মালিকের বডিগার্ড দুলাল চৌধুরী (৩৪) জানিয়েছেন, ইটভাঁটির জমি নিয়ে টিটো শরীফের সঙ্গে চর-সিঙ্গাতী গ্রামের বক্কার চৌধুরী গংয়ের বিরোধ ছিল। গত শনিবার ওই জমি নিয়ে উভয়পক্ষ সালিশ করে। বৈঠকে সবাই-ই টিটো শরীফকে ওই জমিতে কাজ করতে বলেন। রবিবার সকালে টিটো শরীফ শ্রমিক দিয়ে ওই জমিতে সীমানা-বেড়াসহ অন্যান্য কাজ শেষ করে দুপুর ১২টার পর মোটরসাইকেলযোগে গোপালগঞ্জ শহরের উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় ভাঁটির সামনে ওঁৎ পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী প্রথমে তাকে টেঁটাবিদ্ধ করে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দেয়। এরপর তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও জবাই করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা তার ডান হাতও কব্জি থেকে বিচ্ছিন্ন করে। পরে সন্ত্রাসীরা মধুমতি নদী সাঁতরে পালিয়ে যায়। নিহতের ভাই আশিকুজ্জামান শরীফ বলেন, আমার ভাইকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে ও জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই। . কসবায় সৎছেলের লাঠির আঘাতে মা স্টাফ রিপোর্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জানান, কসবায় সৎ ছেলের লাঠির আঘাতে ফাতেমা বেগম নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার ভোরে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের দক্ষিণখাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফাতেমা বেগম ওই এলাকার সেলিম মিয়ার স্ত্রী। ঘটনার পর সৎ ছেলে নোয়াব মিয়া (২০) পলাতক রয়েছে। কসবা থানার ওসি জানায় দক্ষিণখাড় গ্রামের ডাক্তার সেলিম চার বিয়ে করেছেন। চার স্ত্রীর ঘরে তার ১৪ সন্তান রয়েছে। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তৃতীয় স্ত্রীর ছেলে নোয়াবের সঙ্গে চতুর্থ স্ত্রী ফাতেমার কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে রবিবার ভোরে ফাতেমাকে নোয়াব লাঠি দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয় বাজারের গ্রাম্য চিকিৎসক ইসমাইল তার মাথা সেলাইসহ চিকিৎসা করেন। চিকিৎসা শেষে বাড়িতে আসার পর সে মারা যায়। . আমতলীতে গৃহবধূ নিজস্ব সংবাদদাতা আমতলী বরগুনা থেকে জানান, প্রেমে বাধা দেয়ায় স্বামী পলাশ হাওলাদার এক সন্তানের জননী স্ত্রী বনশ্রী রানীকে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আমতলী উপজেলার গোছখালী গ্রামে শনিবার গভীর রাতে। রবিবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। নিহত বনশ্রীর বাবা সুশীল চন্দ্র মিস্ত্রির অভিযোগ, জামাতা পলাশ তার পরিবারের লোকজন ও প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কা পরিকল্পিতভাবে তার মেয়েকে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করেছে। এ হত্যাকান্ডকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য গলায় কাপড় জড়িয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ ঘটনার পরপর স্বামী পলাশ ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। জানা গেছে, পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের সুশীল চন্দ্র মিস্ত্রির কন্যা বনশ্রীর আমতলী উপজেলার গোছখালী গ্রামের অবিরাম হাওলাদারের ছেলে পলাশের সঙ্গে ২০১২ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকসহ বিভিন্ন অজুহাতে পলাশ স্ত্রী বনশ্রীকে নির্যাতন করে আসছিল। গত এক বছর ধরে পলাশ কলাপাড়া উপজেলার সোনাতলা গ্রামের হৃদয় সিকদারের কন্যা পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরিরত প্রিয়াঙ্কা রানীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ ঘটনা জানাজানি হলে পলাশকে তার স্ত্রী বনশ্রী প্রতিহতের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় প্রায়ই পলাশ বনশ্রীকে মারধর করত। গত বুধবার স্ত্রী বনশ্রী জানতে পারে স্বামী পলাশ প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কাকে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করেছে। পলাশ প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কাকে মেনে নেয়ার জন্য স্ত্রীকে চাপ দেয়। এতে রাজি হয়নি বনশ্রী। এ নিয়ে দুপরিবারের মাঝে সোমবার সালিশ বসার কথা ছিল। শনিবার রাত ১১টায় বনশ্রী মোবাইল ফোনে বাবা সুশীলকে স্বামী পলাশের নির্যাতনের কথা জানায়। নিহত বনশ্রীর পরিবারের অভিযোগ ওইদিন রাতে পলাশ ফুটবল খেলা দেখার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। বনশ্রী তার শিশু পুত্রকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। ফুটবল খেলা দেখা শেষে ঘরে ফিরে পরিকল্পিতভাবে বনশ্রীকে গলায় রশি দিয়ে পেঁচিয়ে হত্যা করে। . বগুড়ায় দিনমজুর স্টাফ রিপোর্টার বগুড়া অফিস থেকে জানান, শনিবার রাতে শাজাহানপুর উপজেলায় মজনু মিয়া (৪০) নামের এক দিনমজুর খুন হয়েছে। রবিবার সকালে গ্রামের রাস্তার পাশে এক ঝোপ থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। সে উপজেলার সাবরুল তালপুকুর পাড়া গ্রামের মৃত মাহমুদুল হাসানের ছেলে। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি থেকে একটু দূরে ধাপপাড়া গ্রামের সাবরুল দিঘি সংলগ্ন তালগাছের নিচে তার লাশ পাওয়া যায়। লাশের মাথার পেছনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শনিবার রাতের কোন এক সময়ে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। পুলিশ জানায়, ঘটনার রাতে মজুন মিয়া বাড়িতে একাই ছিল। তার স্ত্রী ও সন্তান শ্বশুরবাড়িতে ছিল। মজনু এক সময় রিক্সাভ্যান চালাত। পরে সে দিনমজুরের বিভিন্ন কাজ করে আসছিল। . বদরগঞ্জে গৃহবধূ সংবাদদাতা বদরগঞ্জ, রংপুর থেকে জানান, বদরগঞ্জে পুলিশ নুরুন্নাহার বেগম (৪২) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে। রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া এলাকায়। তিনি তিন সন্তানের জননী। জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো ঘুম থেকে উঠে বাড়ির লোকজন যে যার মতো বাইরে যায়। এ সময় শয়ন ঘরের বিছানার ওপর নুরুন্নাহার বেগমকে গলাকাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তার বড় মেয়ে রুমা আক্তার। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
×