ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হাটহাজারীতে বন্যায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ২ জুলাই ২০১৮

 হাটহাজারীতে বন্যায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি

চট্টগ্রাম অফিস/হাটহাজারী সংবাদদাতা ॥ জুন মাসে বর্ষায় কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় খানাখন্দে ভরে গেছে হাটহাজারী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের শতাধিক সড়ক ও কালভার্ট। পানির স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্ষা শেষ হওয়ায় সহজেই চোখে পড়ছে এ সব চিত্র ও গ্রামীণ সড়কের গর্তগুলো। সড়কগুলো এখন রূপ নিয়েছে তালি দেয়া ছেঁড়া কাঁথার মতো। জানা গেছে, উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে বর্ষায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রকৌশল দফতরের বিবরণে উঠে আসে ছিপাতলী, নাঙ্গলমোড়া ও গুমানমর্দন ইউনিয়নে ৮০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালভার্টসহ বিভিন্ন সড়কের নাম। বিবারণে দেখা যায়, চলতি বছর জুন মাসে অতি বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় জলবদ্ধতায় ও হালদা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার সড়কগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সড়কগুলো প্রাথমিকভাবে নতুন করে সংস্কারের প্রয়োজন প্রায় ২০ কোটি টাকা হতে পারে বলে জানান প্রকৌশলী। দ্রুত এই টাকা বরাদ্দ পেতে সংসদ, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। মন্ত্রী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকটি সড়ক সরেজমিনে ঘুরে দেখে গেছেন। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ছোট-বড় প্রায় সকল সড়কই খানাখন্দে ভরা। এর মধ্যে উপজেলা গুমানমর্দন ইউনিয়নকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। প্রায় সব সড়কেই ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। বৃষ্টির পানি কমে সড়কগুলো দেখলে মনে হয় যেন ডোবা। অসংখ্য খানাখন্দে জনজীবনে নেমে এসেছে ভোগান্তি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার ধলই, ফরহাদাবাদ, মেখল, গড়দুয়ারা, মির্জাপুর, মাদার্শা, ফতেপুর, চিকনদন্ডী, শিকারপুর ও কুয়াইশ-বুড়িশ্চর। মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বন্যায় বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়নের বসবাসকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত অনেকের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, এবারই সবচেয়ে বড় বন্যা তারা দেখতে পেয়েছেন। পানির তোড়ে ল-ভ- হয়ে যায় সড়ক ও গ্রামীণ সড়কগুলো। গত ২৮ জুন উপজেলা প্রকৌশলী স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতরে একটি তালিকা প্রেরণ করেছেন। উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, পরিবেশ ও বনমন্ত্রীর নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাথমিক তালিকার একটি বিবারণ পাওয়া যায়। আপাতত নিজস্ব উদ্যোগে কিছু কিছু সড়ক যানচলাচল কিছুটা স্বাভাবিক রাখতে মেরামতের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
×