ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীকে ডিএসইর অভিনন্দন

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ২ জুলাই ২০১৮

 প্রধানমন্ত্রীকে ডিএসইর অভিনন্দন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেয়ারবাজারের অর্জন এবং করণীয় সম্পর্কে বক্তব্য দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বাজেট আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শেয়ারবাজার এখন অব্যাহতভাবে বিশ্ব বিনিয়োগের অন্যতম আকর্ষণ এবং গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সরকার একটি শক্তিশালী শেয়ারবাজার গড়ে তোলার জন্য ধারাবাহিকভাবে পলিসি সাপোর্ট, আইনগত সংস্কার ও অবকাঠামো নির্মাণসহ নানাবিধ সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। শিল্প, অবকাঠামো ও সেবাখাতে অর্থায়নের ক্ষেত্রে শেয়ারবাজারের অবদান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, শেয়ারবাজারের বিভিন্ন পর্যায়ে অনিয়ম দূর করে জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নিজস্ব ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে, যা আর্থিক খাত বিকাশের অগ্রগতির নির্দেশক। ফলে কর্মপরিবেশ উন্নত হবার পাশাপাশি কর্মকর্তাদের মনোবল ও কর্মদক্ষতা বেড়েছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রণীত প্রণোদনা প্যাকেজের সফল বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে। একটি জ্ঞাননির্ভর বিনিয়োগকারী গোষ্ঠী গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত সকলের কাছে বিনিয়োগ শিক্ষা পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কৌশলগত বিনিয়োগকারীর অন্তর্ভুক্তির নিশ্চিত করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রণীত বিধিমালার আলোকে ইতোমধ্যে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও ইম্প্যাক্ট ফান্ড গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে এবং তাদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। ফলে শেয়ারবাজার এখন পরিবেশবান্ধব, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারে এ রকম প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শেয়াবাজারে কাক্সিক্ষত উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বল্পমেয়াদে যে সকল কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- স্টক এক্সচেঞ্জসমূহে স্মল ক্যাপ প্লাটফর্মের কার্যক্রম চালু করা, নতুন ফিক্সড ইনকাম ফিন্যান্সিয়াল প্রোডাক্টসহ বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন করা, ইফাইলিং থেকে শুরু করে সর্বস্তরে ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রবর্তন করা, সার্ভিল্যান্স ও তদারকি ব্যবস্থার উন্নয়ন ও জোরদারকরণের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে সুশাসন ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে বিনিয়োগ শিক্ষার মৌলিক বিষয়বস্তু অবহিত করা, বিশ্ব অর্থনীতির ক্রমাগত পরিবর্তনের ফলে নিত্য নতুন বিষয়সমূহ আয়ত্ব করার উদ্দেশ্যে কমিশনের কর্মচারীদের দেশে ও বিদেশে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×