ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সৌদি আরব তেলের উৎপাদন বাড়াচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ২ জুলাই ২০১৮

সৌদি আরব তেলের উৎপাদন বাড়াচ্ছে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার বলেছেন, তিনি সৌদি বাদশাহ সালমান থেকে নিশ্চয়তা পেয়েছেন যে, দেশটি শীঘ্রই ২০ লাখ ব্যারেল পর্যন্ত তেল উৎপাদন বাড়াবে। ইরান ও ভেনিজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান সঙ্কটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ দাবি করেছেন। এদিকে সৌদি কর্মকর্তারা দুই নেতার আলোচনার বিষয়টি স্বীকার করছে, তবে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে কোন কথা হয়নি বলে জানিয়েছে। খবর ইয়াহু নিউজের। ট্রাম্প টুইট বার্তায় জানান, টেলিফোনে সৌদি বাদশাহ তাকে তেল উৎপাদন বাড়নোর কথা জানিয়েছেন। তাতে তিনি সম্মতি দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, টেলিফোনে দুদেশের মধ্যে আলোচনা হলেও খুবই সীমিত পরিসরে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সংস্থটি জানায়, আলোচনায় দুনেতা বিশ্ব তেলের বাজার ও বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল রাখতে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেন। এতে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় যে, তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোকে ‘সরবরাহের সম্ভাব্য অভাবের জন্য ক্ষতিপূরণ’ দিতে হবে। তবে বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি। ট্রাম্প প্রশাসন তার মিত্র দেশগুলোকে ইরান থেকে তেল আমদানি করতে নিষেধ করায় তেলের বাজার মূল্য আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ভেনিজুয়েলায় চলমান অস্থিরতা এবং লিবিয়ার গৃহযুদ্ধের কারণেও তেলের মূল্য বেড়েছে। ইরান চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসার পর তেলের মূল্য দ্রুতই বৃদ্ধি পায়। দেখা যায়, এর মূল্য গত সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে এখনই সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। গত সপ্তাহে সৌদি নেতৃত্বাধীন অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপের্টিং কনট্রিজের (ওপেক) সদস্যরা সম্মত হয়েছে যে, প্রতিদিন অন্তত ১০ লাখেরও বেশি অপরিশোধিত কাঁচা তেল উত্তোলন করা হলে বৈশ্বিক তেলের মূল্য কিছুটা হলেও স্থিতিশীল থাকবে। ব্রেন্টের অপরিশোধিত তেলের মূল্য ব্যারেল প্রতি বেড়ে এখন ৭৯.৪২ মার্কিন ডলার হয়েছে। সৌদি আরব বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ১০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উত্তেলন করে। আর তেল উত্তোলনে রেকর্ডটি হলো দিনে গড়ে ১০.৭২ লাখ ব্যারেল। তবে প্রতিদিন না প্রতি মাসের ভিত্তিতে অতিরিক্ত তেল উত্তোলন করা হবে ট্রাম্প সে বিষয়ে টুইটারে কিছু বলেননি। এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন তেলের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সৌদি আরব ও ওপেকভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র তার ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশগুলো, বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়াকে আগামী নবেম্বরের মধ্যে ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে, তা না হলে তদের ওপর নিষধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে।
×