ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজনৈতিক আক্রোশ

মাদক বিক্রেতা অপবাদে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হয়রানি

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১ জুলাই ২০১৮

মাদক বিক্রেতা অপবাদে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হয়রানি

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ রাজনৈতিক আক্রোশে অমিত সিকদার বিশু নামের এক যুবককে মাদক বিক্রেতা চিহ্নিত করে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ করা হয়েছে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিতপুর গ্রামের অমিত সিকদার বিশুর মা ইতি শিকদার শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। অমিত সিকদার বিশু কালীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেকলীগের যুগ্ম সম্পাদক পদে রয়েছেন। ইতি শিকদার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের একজন প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে তার ছেলে অমিত সিকদার বিশুর দলের একটি পদ পাওয়া নিয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে তিনি রাজনৈতিক আক্রোশে মাদক বিক্রেতা চিহ্নিত করে পুলিশ দিয়ে হয়রানির করছে। প্রভাবশালীদের চাপে প্রশাসন কোন ভূমিকা রাখছে না। অথচ ওই নেতা মাদকের গডফাদার নামে সকলের কাছে পরিচিত। তার মাদক কারবার পরিচালনা করে তার ভাগ্নে আশরাফ, কালাম চেয়ারম্যান, পিএস রউফ, শিবলী নোমানী ও সুব্রত নন্দী। অভিযোগে তিনি বলেন, এলাকায় অনেক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সংখ্যালঘুদের ওপর খুন, গুম, চাঁদাবাজি, জমি দখলের অসংখ্য ঘটনা ঘটিয়েছে। ইতি শিকদার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার দুই ছেলে অমিত সিকদার বিশু ও সুমিত সিকদার। বড় ছেলে অমিত সিকদার বিশু স্কুলজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। নবম শ্রেণীতে পড়াকালে নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এরপর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ একাধিক সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। বিএনপি-জামায়াতের সময় তাকে দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকতে হয়েছে। সর্বশেষে গত ৬ জুন যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে তিনি গেলে কিছুক্ষণের মধ্যে ছেড়ে দেবে বলে জানায়। কিন্তু কালীগঞ্জ থেকে একটি ফোন যাওয়ায় তারা ছাড়তে পারছে না বলে জানিয়ে দেন এবং বেশ কিছু ইয়াবা বড়ি দিয়ে হাজতে পাঠিয়ে দেন। ইতি শিকদার তার বক্তব্যে আরও বলেন, তারা বিশুকে পুলিশ দিয়ে আটকনোর পর গত ১৩ জুন আমার বাড়িতে হামলা করে। এ সময় হামলাকারীরা বলে কালীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর আশরাফ হোসেন ও নিশ্চিতপুর গ্রামের সুব্রত নন্দী তাদের পাঠিয়েছে।
×