ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শরীয়তপুরে গাছ কাটা নিয়ে সংঘর্ষ ॥ আহত ১০

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১ জুলাই ২০১৮

শরীয়তপুরে গাছ কাটা নিয়ে সংঘর্ষ ॥ আহত ১০

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ৩০ জুন ॥ গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মূলফৎগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আব্দুর রব নামে নড়িয়া থানার এক পুলিশ কনস্টেবলসহ ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় গাছ কাটা শ্রমিক আনোয়ার হোসেন ছৈয়ালকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ৪টি বসতবাড়িতে হামলা করে ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার নড়িয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। নড়িয়া থানার এসআই শ্যামল কুমার নন্দী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে ও হামলায় গুরুতর আহত আনোয়ার হোসেন ছৈয়ালের স্ত্রী মাসুদা বেগম বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে পৃথক মামলা করেছেন। নড়িয়া থানা পুলিশ ৪ জনকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। তারা হলো জনি দেওয়ান, দিপু পাল, নাজমুল শেখ ও রিমন শেখ। জানা গেছে, শুক্রবার সকালে নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর গ্রামের গাছ কাটা শ্রমিক আনোয়ার হোসেন ছৈয়াল অন্যান্য শ্রমিকের সঙ্গে মূলফৎগঞ্জের জয়নাল দেওয়ানের বাড়িতে গাছ কাটতে যায়। এ সময় স্থানীয় নূর হোসেন দেওয়ানের পুত্রদের সঙ্গে আনোয়ার হোসেন ছৈয়ালের কথা কাটাকাটি হয়। ফলে গাছ না কেটে শ্রমিকরা চলে যায়। সন্ধ্যার দিকে ওই শ্রমিকরা মূলফৎগঞ্জ বাজারে আসলে তাদের ওপর হামলা করে নূর হোসেন দেওয়ানের পুত্ররা। এতে আনোয়ার হোসেন ছৈয়াল গুরুতর আহত হয়। এ সময় শ্রমিকদের পক্ষ নিয়ে কেদারপুর গ্রামের লোক ও নূর হোসেন দেওয়ানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এবং সংঘর্ষকারীদের নিক্ষিপ্ত ককটেল বিস্ফোরণে নড়িয়া থানার পুলিশ কনস্টেবল আব্দুর রব আহত হয়। কুমিল্লায় ৩৬ ঘণ্টায় ৮ হোন্ডাসহ গ্রেফতার সাত নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ৩০ জুন ॥ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের দুটি টিম টানা ৩৬ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ৭ চোরকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় পুলিশ ওই চোরদের নিকট থেকে ২০ লাখ টাকার ৮টি চোরাই হোন্ডা ও হোন্ডা চুরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। শনিবার দুপুরে থানায় এক সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আবদুল্লাহ আল-মামুন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পুলিশ প্রথমে আন্তঃজেলা হোন্ডা চোর চক্রের অন্যতম হোতা বুড়িচং উপজেলা সদরের শাহ আলম মেম্বারের ছেলে সুজনকে (২৫) হোন্ডা চুরির সরঞ্জামাদিসহ নগরীর ঝাউতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে পুলিশের দুটি টিম নগরী ও নগরীর বাইরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হোন্ডা চোর চক্রের সদস্য জেলার বুড়িচং উপজেলার সমেশপুর গ্রামের জনি (২২), রামপুর গ্রামের সবুজ (২৫), রায়হান ভূঁইয়া ইমন (২৮), জসিম (৩৬), সিন্দুরিয়াপাড়া গ্রামের ইমরান, চান্দিনা উপজেলার মহারং গ্রামের সোহেলকে গ্রেফতার করে।
×