ভারতের অসমের বরাক উপত্যকার বাসিন্দা ১০২ বছর বয়সী চন্দ্রধর দাস ছিলেন একজন দিনমজুর।
১৯৬৬ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে এসে তিনি বসবাস শুরু করেন, প্রথমে ত্রিপুরায়, তারপর অসমের কাছাড়ে। সেই সময়ে জারি করা নাগরিকত্বের সার্টিফিকেটও রয়েছে তার, নাম ছিল ভোটার তালিকাতেও। ভারতীয় নাগরিকত্বের একাধিক প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তাকে বিদেশী বলে চিহ্নিত করেছিল এক বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। পাঠিয়ে দেয়া হয় তথাকথিত ‘বিদেশী বন্দী শিবিরে।’ চন্দ্রধর দাসের আইনজীবী সৌমেন চৌধুরী জানান- বয়সের কারণে কয়েকবার ভোট দিতে যেতে পারেননি তার মক্কেল, তাই তাকে সন্দেহজনক ভোটার বা ‘ডি-ভোটার’ বলে চিহ্নিত করা হয়। পরে নির্বাচন কমিশনের ভেরিফিকেশনে দেখা যায় যে তিনি আসল ভোটার। তাই আবারও তার নাম উঠেছে ভোটার তালিকায়। কিন্তু ওই যে একবার ‘ডি-ভোটার’ হয়ে গিয়েছিলেন, সেই ভিত্তিতেই পুলিশ তার নামে কেসটা জিইয়ে রেখে দেয়। গত মার্চ মাসে পুলিশ তাকে আটক করে। কারণ আসামের বিদেশী ট্রাইব্যুনাল একতরফা রায় দিয়ে তাকে বিদেশী বলে চিহ্নিত করে দিয়েছিল। অথচ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পরে যারা ভারতে এসেছেন, তাদেরই শুধু বিদেশী বলে চিহ্নিত করার কথা। প্রায় তিনমাস পর, গত বুধবার দাসকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে আদালত।-বিবিসি অবলম্বনে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: