ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্কে¬রোডার্মা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ১ জুলাই ২০১৮

স্কে¬রোডার্মা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্কে¬রোডার্মা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ রোগ সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সুস্পষ্ট ধারণা নেই। ফলে এ রোগের রোগীরা নানাবিধ কুসংস্কারে আচ্ছন্ন থাকেন। এ রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় এবং উপযুক্ত চিকিৎসা রোগীদের ভোগান্তি অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগ প্রতি বুধবার স্কে¬রোডার্মা ক্লিনিকের ব্যবস্থা করে থাকে, যেখানে শুধু স্কে¬রোডার্মা রোগীদের বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। এখন পর্যন্ত এই রোগের সঠিক কারণসমূহ উদ্ঘাটিত হয়নি। এ রোগে আক্রান্তদের শরীরের ত্বক বা চামড়া শক্ত হয়ে যায়। ত্বকের পাশাপাশি এ রোগে শরীরের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও আক্রান্ত হতে পারে। শনিবার বিশ্ব স্কে¬রোডার্মা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগ ও বাংলাদেশ রিউমাটোলজি সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে র‌্যালি, সেমিনারসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া। পরে এক সেমিনারে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ইতালির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক মাউরিজিও কাটোলো বলেন, মানুষের শরীরে ছয় শতাধিক বাতরোগ হতে পারে, স্কে¬রোডার্মা এদের মধ্যে অন্যতম। ‘স্কে¬রো’ শব্দের অর্থ শক্ত, ‘ডার্মা’ শব্দের অর্থ ত্বক বা চামড়া। আর ‘স্কে¬রোডার্মা’ শব্দের অর্থ ‘শক্ত ত্বক বা চামড়া’। এ রোগে সাধারণত ত্বক বা চামড়া শক্ত হয়ে যায়, তবে ত্বকের পাশাপাশি এ রোগে শরীরের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও আক্রান্ত হতে পারে। যদি শরীরের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হয়, তাহলে তাকে সিস্টেমিক স্কে¬রোসিস বলে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত একটি রোগ। আমাদের শরীরের নিজস্ব একটি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আছে, যা নিজ থেকেই শরীরকে বিভিন্ন রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। কিন্তু এই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা হঠাৎ যখন পাগলামি শুরু করে এবং নিজেই নিজের শরীরকে আক্রমণ করে বসে তখন এ জাতীয় রোগ হয়। তবে আজ পর্যন্ত এই রোগের সঠিক কোন কারণ সম্পূর্ণ জানা যায়নি।
×