ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে তোপের মুখে ভ্রাম্যমাণ আদালত

প্রকাশিত: ০৬:১২, ৩০ জুন ২০১৮

 বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে  গিয়ে তোপের মুখে  ভ্রাম্যমাণ আদালত

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়ার নারুলী খন্দকার পাড়ায় শুক্রবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের খবর পেয়ে কনে ও তার বাবা-মা পালিয়ে যায়। তবে কনের চাচা ও খালাকে আটকের পর একমাসের জেল দেয়া হয়। এদিকে বিয়ে বাড়ির খাবার নষ্ট ও টেবিল চেয়ার ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বগুড়া সদরের নারুলী খন্দকার পাড়ার অটোটেম্পো চালক বাবু মিয়া তার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মেয়ে রজনী খাতুনের বিয়ে ঠিক করেন সোনাতলা উপজেলার হলিদাবগা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ রকির সঙ্গে। শুক্রবার বিয়ের দিন ঠিক করে প্রতিবেশী আব্দুর রশিদ মাস্টারের বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় দুপুরের পর লোকজন খাওয়া দাওয়া শুরু করে। বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়। উপস্থিতি টের পেয়ে মেয়ের বাবা বাবু মিয়া ও তার স্ত্রী ফাইমা মেয়েকে নিয়ে সটকে পড়ে। ভ্রাম্যমাণ আদালত বাল্যবিয়ের আয়োজন করার অভিযোগে বাবু মিয়ার মামা সেকেন্দার আলী (৬৫), খালা সুইটি বেগম এবং বাবু মিয়ার ভাই রকিকে আটক করে। এ সময় এলাকার কিছু লোক বিয়ে বাড়িতে রান্না করা প্রায় ৪ শ’ জনের খাবার মাটিতে ফেলে দেয় এবং চেয়ার টেবিল উল্টে ফেলে দেয়। আটক সেকেন্দার আলী অসুস্থ হয়ে পড়লে লোকজন বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খাবার নষ্ট করার দৃশ্য দেখে লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আটককৃত দুইজনকে নিয়ে যাওয়া হয় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে। সেখানে আদালত বসিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজে বাধা প্রদানের দায়ে আটক সুইটি বেগমকে একমাস এবং রকিকে দুই মাস কারাদ- দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
×