ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কোরিয়ায় কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি পেলেন বাগেরহাটের বিজন

প্রকাশিত: ০৪:৫১, ৩০ জুন ২০১৮

 কোরিয়ায় কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি পেলেন বাগেরহাটের বিজন

বাবুল সরদার, বাগেরহাট ॥ কোরিয়ায় কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি পেল বাগেরহাটের মিঠা পুকুর এলাকার বাসিন্দা জিতেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে বিজন বিশ্বাস। ইপিএস কর্মী হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া বিজন তার কোম্পানিতে কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করার পাশাপাশি সহকর্মীদের সহযোগিতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় দক্ষিণ কোরিয়ার জেলা শহর ওমসং গুন কর্তৃপক্ষ এ বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন। চলতি মাসে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজন বিশ্বাসসহ অন্যান্য সম্মাননা প্রাপ্তদের হাতে সনদ তুলে দেন ওমসং গুন জেলার গবর্নর লি পিল ইয়োং। ইপিএস কর্মী হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ায় আসা বিজন বিশ্বাস কোরিয়ার ছুংছং প্রদেশের ওমসং গুনের এয়ার পিংক নামের কোম্পানিতে কাজ করতেন। কোম্পানিটি বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ সামগ্রী তৈরি করে থাকে। কঠোর পরিশ্রম, নিরলস প্রচেষ্টায়, মৃত প্রায় কোম্পানিকে সচল কোম্পানিতে ফিরিয়ে আনতে বিজনের রয়েছে ব্যাপক ভূমিকা ও অসামান্য অবদান। তারই কর্ম দক্ষতা ও পরিশ্রমের চূড়ান্ত নমুনা রেখে নিজের ও দেশের জন্য নিয়ে এলেন বিরল সম্মান। দক্ষিণ কোরিয়ার ওমসং গুন কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি বিভিন্ন কোম্পানি ভিজিট করে দুইজন কোরিয়ান এবং বিজন বিশ্বাসকে কঠোর পরিশ্রমী কর্মী হিসেবে নিশ্চিত করে। ওমসং গুন জেলা কর্তৃপক্ষ মালিকের সহায়তায় সিসি টিভি ফুটেজ দেখে বিজনকে পুরুস্কৃত করে। এই এ্যাওয়ার্ড প্রদানের ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল কাজ, প্রডাকশন কোয়ালিটি দেখা হয়। ওমসং গুন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বাংলাদেশ দূতাবাসও তার কাজের স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বিজনের এই অর্জনে ভূয়সী প্রশংসা করে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ সার্টিফিকেট প্রদান করেন। বিজন বিশ্বাসের পিতা জিতেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও ভাই স্বপন বিশ্বাস জানান, ২০০৬ সালে ওয়ার্ক পারমিট কন্ট্রাক্ট নিয়ে প্রথমে কোরিয়া যায় বিজন ওরফে বিপ্লব। পরে তিনি দেশে ফিরে আসেন। পুনরায় ২০১৪ সালে ইপিএস প্রোগ্রামে আবারও কোরিয়া যান বিজন বিশ্বাস। বাগেরহাট পৌরসভার মিঠা পুকুর এলাকার বাসিন্দা বিজন পরিবারের ৫ ভাই ২ বোনের মধ্যে ষষ্ঠতম। ছোটকাল থেকে ক্রীড়াপাগল বিজন সুনাম কুড়িয়েছেন খেলাধুলায়ও। ১৯৯৯ সালে সে জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক অর্জন করেন। মুঠোফোনে বিজন বিশ্বাস বলেন, আমার কোম্পানির কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে একটি কারখানা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমারও ইচ্ছা আছে কোরিয়ার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশে কাজে লাগানোর। নিজ দেশে কারখানা করতে পারলে দেশে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ হবে। কোম্পানির মালিক আমাকে বিশেষভাবে স্নেহ করেন। এখন আমার অধীনে পুরো একটি ডিপার্টমেন্ট চলে। আমাদের কোম্পানিতে অনেক বিদেশী থাকলেও বাংলাদেশী ছিল না। ইতোমধ্যে মালিক বাংলাদেশী নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে আগ্রহী হয়েছেন এবং বাংলাদেশী ইপিএস কর্মীকে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। বিজন বিশ্বাস আরও বলেন, ‘আমরা দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করলে দেশের সুনাম বৃদ্ধি পাবে এবং সেই সঙ্গে কোরিয়াতে বাংলাদেশী কর্মীদের চাহিদাও বৃদ্ধি পাবে।
×