ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে ধরলায় পানির সঙ্গে বাড়ছে ভাঙ্গন

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ৩০ জুন ২০১৮

কুড়িগ্রামে ধরলায় পানির সঙ্গে বাড়ছে ভাঙ্গন

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর ভাঙ্গনে তিনদিনে ২৫টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। গৃহহীন পরিবারগুলোর মাথা গোঁজার ঠাঁই না পেয়ে খোলা আকাশে অবস্থান করছে। ভারী বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের চর সারডোব গ্রামে গিয়ে দেখা যায় ধরলা নদীর তীব্র ভাঙ্গন। প্রায় দেড় কিলোমিটার পাকা সড়কের অর্ধেকাংশ নদীগর্ভে চলে গেছে। বাকিটা এখন হুমকির মুখে। নদী তীরবর্তী ভাঙ্গন কবলিত পরিবারগুলো বাড়িঘর সরাচ্ছে। চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। চারদিকে বাড়ছে পানি, কোথাও মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। এদিকে কুড়িগ্রাম-ফুলবাড়ী সড়কের চর সারডোব ও ছাটকালুয়া এলাকায় পাকা সড়কটির অর্ধেকাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পুরো এলাকা ঘুরে দেখা গেল নদী তীরবর্তী মানুষগুলোর আহাজারি! বাড়ি ভাঙলে কোথায় যাবে এ নিয়ে রয়েছে দুশ্চিন্তায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৩০টি বাড়ি সরিয়েছে। বেশিরভাগ লোকজন বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। গত বন্যায় বাঁধের তিনটি জায়গা ভেঙ্গে যাওয়ায় সেদিক দিয়ে যেভাবে পানি ঢুকছে তাতে বাঁধে আশ্রয় নেয়াও নিরাপদ মনে হচ্ছে না। চর সারডোব গ্রামে এ পর্যন্ত বাড়ি সরিয়েছে তবারক আলী, মালেকা, লাভলী, মোর্শেদা, এনদাল, আমির আলী, রমজান, জাহিদুল, মকবুল ও মজিদ। এছাড়াও আরও অর্ধ-শতাধিক পরিবার রয়েছে হুমকির মধ্যে। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর উপজেরা নির্বাহী অফিসার আমিন আল পারভেজ জানান, ভাঙ্গন কবলিতদের তালিকা করে তাদেরকে টিন সরবরাহ করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, জেলা প্রশাসন থেকে ভাঙ্গন কবলিতদের সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৭৫৯ মে.টন জিআর চাল, ৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা এবং ২ হাজার শুকনো খাবার মজুদ করা আছে।
×