ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কবিতা

প্রকাশিত: ০৭:১৫, ২৯ জুন ২০১৮

কবিতা

এক দুপুরের গল্প আসাদ মান্নান একটা নদীর কাছে বসেছিল দুপুরের রোদ; হলুদ মাখানো ঠোঁটে সেই রোদ চুমু দেয় জলে... জলের জরায়ু থেকে বের হলো শাদা জলপরী; পরীর ডানায় বসে এক রাঙা অন্ধ প্রজাপতি গোলাপের আস্ফালনে তার চোখে দৃষ্টি ফিরে পায় : প্রজাপতি মুগ্ধ হয়ে চেয়ে দেখে মানব বালিকা কী করে সত্যের পথে নষ্টদের আলোর ভাষায় সুন্দরের স্বপ্নরথে টেনে নেয় প্রেমের বাগানে। একটা বাগান আমি বুকে নিয়ে পাথর মহলে না বুঝে হঠাৎ করে ঢুকে পড়ি অচেনা রাস্তায়; অশুভ প্রেতের সঙ্গী কতিপয় দাঁতাল শুয়োর সুন্দরের মাংস খেতে খুন করে মানব শিশুকে : উলঙ্গ সাধুর বেশে ঘুরে ঘুরে প্রেমের ডেরায় মানবীকে বুকে নিয়ে আমি নাচি নদীর জোয়ারে। ** ভ্রম আসিফ নূর ফড়িংটির সাদা পাখা দুলছিল খুব, কালো গায়ে আঁকড়ে ছিল ধূসর দেয়াল। হঠাৎ লোডশেডিং, সিলিং ফ্যানের বন্ধ বাতাসের সাথে ধীরে ধীরে নিভে গেলো ফড়িংডানার উড়াল নাচ। স্বাভাবিক দৃশ্যজ্ঞানে ভাবা ও বোঝার কোনও অবকাশই নেইÑ ফড়িংটি জীবিত নয়, মৃত্যুর আঠায় ল্যাপটে আছে ম্লান দেয়ালের গালে। ** সময়ের টোপ ইকবাল পারভেজ আমরা বড়শি দিয়ে পুঁটি মাছের ডালা ভরাতাম আজ কতকাল পর দেখি আমার বড়শির ছিপ আর টোপ শৈশবের দিঘির জলে ঢেবে গেছে বৃষ্টি থেমে গেছে কবে রিমঝিম শব্দ থামেনি পুঁটি মাছের খলবল শব্দ শুনি এখনো হঠাৎ দেখি কে যেনো ছিপ হাতে সময়ের টোপ ফেলে বসে আছে আমায় নিবে তুলে। মানুষও তো মাছ সাঁতার কাটে সময়ের বেড়াজালে।
×