ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বর্ষার হাল ফ্যাশন

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ২৯ জুন ২০১৮

বর্ষার হাল ফ্যাশন

চলছে বর্ষাকাল। গরমের এই দিনগুলোতে স্বস্তি পেতে চাই এমন কিছু পোশাক, যা এই গরমে তাপমাত্রাকে কিছুটা হলেও লাঘব করবে। তাই আপনি নিঃসন্দেহে বেছে নিতে পারেন সুতি কাপড়ের পোশাক। গরমে স্বস্তিদায়ক পোশাক নিয়ে এবারের আয়োজন। গরমের দিনে সবাই চায় একটু আরামদায়ক পোশাক পরতে। এক্ষেত্রে সুতি কাপড়ের তুলনা হয় না। সুতি কাপড়ের তৈরি পোশাক শরীরকে ঠা া রাখে। এ ছাড়া হাল্কা রঙের সুতি পোশাক রোদ ও তাপ থেকে বাঁচিয়ে শরীরকে স্বস্কি দেয়। গরমের কারণে আমাদের অনেকেরই চুলকানি, ঘামাচি, এ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দেয় বা শরীরে ফুসকুঁড়ি ওঠে। এ সময়টাতে সুতি কাপড়ই পরা উচিত। যারা অতিরিক্ত মোটা অথবা অত্যধিক তুরমে কাজ করেন, তারা সুতি কাপড়ের তৈরি স্লিভলেস কামিজ ব্যবহার করতে পারেন। স্কুল-কলেজ, ইউনিভার্সিটির মেয়েরা, যাদের প্রতিনিয়ত বাইরে যাওয়া আসা করতে হয়, ক্লাস করতে হয়, তারা এই গরমে সুতির সালোয়ার-কামিজ এবং ফতুয়া ও জিন্স ব্যবহার করতে পারেন। আর যারা শাড়ি পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তারা এই গরমে সুতির হাল্কা রঙের শাড়ি, টাঙ্গাইলের শাড়ি অথবা ব্লক-বাটিকের সুতি ট্রেন্ডি শাড়ি বেছে নিতে পারেন। সেই সঙ্গে গরম থেকে স্বস্তি পেতে আপনি নির্ভর করতে পারেন চিরন্তন রং সাদার ওপর। গরম এমনিতেই আমাদের ত্বকের জন্য স্পর্শকাতরতা তৈরি করে। সূর্যের সেই তাপ থেকে আপনি সাদাতেই মুক্তি পেতে পারেন। শুধু তাপমাত্রার শোষণ কিংবা বিকিরণ বৈপরীত্যের জন্য নয়, বরং যুগ যুগ ধরে সাদা বিবেচিত হয়ে আসছে পবিত্রতা, সাধারণ আর আরামের পোশাকের যুতসই রং হিসেবে। তাই বিশ্বজুড়েই সামার স্টাইলে প্রাধান্য পায় সাদা পোশাক। সাদা শুধু গরমের পোশাকের আরামই নয়, তা বিবেচিত হয় আমাদের ঐতিহ্য দিয়েও। তাই ঘর ও বাইরের পোশাকে এই গরমে সাদা রং হয়ে ওঠে অবয়বের শান্তির প্রতিমূর্তি। পোশাক হিসেবে সাদা রং শুধু তাপ শোষণ থেকে বিরত রাখে না; বরং চোখের জন্যও এনে দেয় অন্য রকম স্বস্তি। এই সময়ে মেয়েদের পোশাকের বৈচিত্র্যে সাদা শাড়ি কিংবা সালোয়ার-কামিজ অনেক বেশি জনপ্রিয়। কাপড়ের ধরন হিসেবে সাদা সুতি কাপড় অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পায়। তবে বৈচিত্র্য আনতে সুতির পাশাপাশি শিফন, কটন, কোটা কিংবা টাঙ্গাইলের সুতি কাপড় গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এ রকম পোশাকের ক্ষেত্রে চুড়িদারের চেয়ে সালোয়ারই গরমে বেশি চলনসই। সাদা আদি কাপড়ে যেমন স্বস্তি পাওয়া যায়, তেমনি স্বস্তি পাওয়া যায় সাদা খদ্দেরেও। সাদার এই চিরন্তন বিবর্তনে গরমের পোশাকের কাটিংয়ের ধরন নানাভাবে আলোচিত হলেও সাদা রঙের প্রয়োজনীয়তা থেকে যায়। এমনকি সাদার রিফ্লেকশন ক্ষমতার কারণেও তা যেমন ক্ল্যাসিক লুক সৃষ্টি করে, তেমনি সাদার সর্বজনীনতা থাকে সবসময় তরুণ আর চির আধুনিকতায়। সাদার পাশাপাশি হাল্কা অন্যান্য রঙের পোশাকও বেছে নিতে পারেন অনায়াসে। এই সময়ের পোশাক নিয়ে ফ্যাশন হাউস অঞ্জনসের প্রধান নির্বাহী শাহীন আহম্মেদ বলেন, ‘গরমের সময় সুতির কাপড়ই শ্রেষ্ঠ। কৃত্রিম তন্তুর কাপড় না পরাই ভাল। নিমন্ত্রণে অবশ্য সিল্ক পরা যায় গরমের এ সময়ে। পাশাপাশি চলতে পারে ভাল জর্জেট। পোশাক হিসেবে সাদা রং শুধু তাপ শোষণ থেকেই বিরত রাখে না; বরং চোখের জন্যও এনে দেয় অন্য রকম স্বস্তি। এ সময় তাই মেয়েদের পোশাকের ক্ষেত্রে কাপড় অনেক বেশি জনপ্রিয়তার দাবিদার। তবে বৈচিত্র্য আনতে সুতির পাশাপাশি শিফন, কটন কোটা কিংবা টাঙ্গাইলের সুতির শাড়িও বেছে নিতে পারেন। কামিজের সঙ্গে চুড়িদারের চেয়ে সালোয়ারই গরমে বেশি আরামদায়ক। যারা শাড়ি পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তাদের কাছে এ গরমে সাদা সুতির পাশাপাশি সিল্ক, জর্জেট, লেস ইত্যাদি শাড়িও বেশ জনপ্রিয়। এ গরমে কামিজের হাতা ছোট হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়। কামিজের হাতা স্লিভলেস বা ম্যাগি বানাতে পারেন। রোদ এড়াতে থ্রি কোয়ার্টারও বানানো যায়। কামিজে কলার বা ওঠানো গলা না দিয়ে সাধারণ গোল ভি বা স্কয়ার গলা দেয়া যেতে পারে। বছরের এ সময়টায় সূর্যের প্রখর তাপের কারণে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর জন্য সচেতন থাকা প্রয়োজন। সাদা রঙের পোশাক ব্যবহার এ ক্ষেত্রে হতে পারে উপকারী। হাল্কা রঙের আবেদন সবসময়ই অন্যরকম। এর উজ্জ্বলতায় ফুটে ওঠে এক ধরনের স্নিগ্ধতা ও প্রশান্তি, যা গরমে খুবই দরকারি।’ ছবি : কে ক্রাফট
×