ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পানি বাড়তে থাকায় থাইল্যান্ডে গুহায় উদ্ধার কাজ বিঘ্নিত

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ২৯ জুন ২০১৮

পানি বাড়তে থাকায় থাইল্যান্ডে গুহায় উদ্ধার কাজ বিঘ্নিত

থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের একটি গুহায় আটকে পড়া ১২ কিশোর ও তাদের ফুটবল কোচের উদ্ধার অভিযান বাড়তে থাকা পানির কারণে বিঘিœত হচ্ছে। গুহার মুখে পানি বাড়তে থাকায় পাম্প করে পানি সরিয়ে নেয়ার কাজ স্থগিত করা হয়েছে এবং নৌবাহিনীর যে ডুবুরিরা নিখোঁজদের খোঁজ করছিলেন তারা খোঁজাখুঁজি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন। বিবিসি। ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরেরা ও তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচ শনিবার চিয়াং রাই প্রদেশের পর্যটন গুহা ‘থাম লুয়াং নায় নন’ এ প্রবেশ করেছিলেন, তারপর থেকে তাদের সঙ্গে কোন যোগোযোগ নেই। বাড়তে থাকা পানির কারণেই তারা আটকা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ছোট্ট একটি খরস্রোতা নদী পেরিয়ে দেশটির চতুর্থ বৃহত্তম ওই গুহায় প্রবেশ করতে হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ গুহাটি পর্যটকদের কাছে বরাবরই দারুণ আকর্ষণীয়। যদিও বর্ষা মৌসুমে প্রায়ই গুহার ভেতর পানি প্রবেশ করে। ভারি বৃষ্টিপাত হলে গুহার ভেতরে পানি ১৬ ফুট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্নেল কোমসান সার্দলুয়ান। শনিবার রাতে কিশোর ফুটবল দলটির নিখোঁজ হওয়ার খবর জানার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। সে সময় গুহার বাইরে তাদের সাইকেল ও খেলাধুলার সরঞ্জাম পড়ে থাকতে দেখা গেছে, যেগুলো বাইরে রেখে তারা গুহাটির ভেতরে প্রবেশ করেছিল। রয়্যাল থাই নেভির ১৭ সদস্যের একটি ডুবুরি দল সোমবার গুহায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে। কিন্তু বাড়তে থাকা পানির কারণে এই প্রচেষ্টা বার বার বিঘিœত হয়। উদ্ধার অভিযানের কর্মকর্তারা এখন বিকল্প উপায়ে গুহায় ঢোকার পরিকল্পনা করছেন। থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা পর্বতের মধ্যে একটি সরু গর্ত খুঁড়ে বিকল্প একটি প্রবেশপথ তৈরি করার পরিকল্পনা করেছেন। তবে বিশাল ওই গুহাটির কোন অংশে কিশোরের দলটি আটকা পড়েছে এবং তারা এখনও জীবিত আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গুহায় অভিযানে নামার আগে ওই কিশোরদের পাঠানো বার্তা থেকে ধারণা পাওয়া গেছে, তাদের কাছে সম্ভবত কিছু খাবার ও কয়েকটি টর্চ আছে। গুহা বিশারদরা জানিয়েছেন, ওই কিশোরেরা বন্যার পানির স্তরের ওপরের কোন ফাঁকা অংশে থাকলে তাদের বেঁচে থাকার আশা আছে। কিন্তু তাদের জন্য সবচেয়ে বড় শঙ্কার কারণ হতে পারে হাইপোথার্মিয়া ও অক্সিজেন স্বল্পতা। উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা ও স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধারকারীরা গত কয়েক দিন ধরে উন্মত্তের মতো গুহাটিতে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন, গুহাটির বিকল্প কোন প্রবেশ পথের খোঁজে চারপাশের পাহাড় তন্ন তন্ন করেছেন, কিন্তু কোন উপায় বের করতে পারেননি।
×