ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠক

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ২৯ জুন ২০১৮

ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøালাদিমির পুতিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা শীর্ষ সম্মেলনটি আয়োজনে রাজি হয়েছে মস্কো ও ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্টের বৈঠকের পর বুধবার ট্রাম্প-পুতিন সম্মেলন বিষয়ে এ ঘোষণা দেন। বিবিসি। ব্রাসেলসে আগামী মাসের ন্যাটো সম্মেলনের পর ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনার কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টও। বৈঠকে সিরিয়ার যুদ্ধ এবং ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ট্রাম্প। গত বছর নবেম্বরে ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত এশিয়া-প্যাসিফিক সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার মধ্যে সর্বশেষ কথা হয়েছিল। ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠক আয়োজনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রথম জানান ক্রেমলিনের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ। পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে দুই দেশের জন্য সুবিধাজনক তৃতীয় আরেকটি দেশে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে; সুনির্দিষ্ট তারিখ ও স্থান বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেয়া হবে বলে বুধবার জানিয়েছেন তিনি। রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর মস্কোতে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাও কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ‘ ট্রাম্প তার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে ও এখানে আসতে বলেছেন আমাকে,’ বলেছেন বোল্টন। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নে উভয় নেতাই শীর্ষ সম্মেলনকে ব্যবহার করতে আগ্রহী বলেও জানিয়েছেন তিনি। ‘ট্রাম্প ও পুতিন, দুই প্রেসিডেন্টই তাদের অতি গুরুত্বপূর্ণ দেশ দু’টির একত্রিত হওয়া, পারস্পরিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা ও সহযোগিতার ক্ষেত্র নির্ধারণের গুরুত্ব অনুধাবন করছেন। তারা দু’জনই যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন এবং বিশ্বের স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে অবদান রাখার কথা ভাবছেন বলেও মনে হয় আমার,’ বলেন বোল্টন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, বোল্টনের সঙ্গে বৈঠক দুই দেশের সম্পর্ক ‘সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারে’ আশা জাগিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক ‘ভাল অবস্থায় নেই’ বলেও স্বীকার করেছেন তিনি। মস্কো কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থান চায়নি বলেও দাবি করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। মার্কিন রাজনীতির ভেতরকার দ্বন্দ্ব-সংঘাতই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির জন্য দায়ী বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
×