ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কৃত্রিম মানববুদ্ধির প্রচলন এবং সভ্যতার শেষ পরিণতি!

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ২৯ জুন ২০১৮

কৃত্রিম মানববুদ্ধির প্রচলন এবং সভ্যতার শেষ পরিণতি!

বর্তমানে এই টরেন্টোসহ আমেরিকা কানাডার অনেক শহরে কেউ যদি মনে করে ঘরের বাইরে না গিয়ে মাসের পর মাস কাটিয়ে দিবেন তা খুব সহজেই সম্ভব। অর্থাৎ দিনের পর দিন, মাসের পর মাসে ঘরে বসে কাজ করে অর্থ উপার্জন এবং অনলাইনে কেনাকাটার মাধ্যমে জীবনযাপনের সমস্ত কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব এই তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে। অনেকেই এমনটা করছেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে। তথ্যপ্রযুক্তির এমন লাগামহীন ব্যবহার মানব সভ্যতার জন্য দীর্ঘ মেয়াদে কতটুকু কল্যাণকর তা ভবিষ্যতই বলতে পারবে। তবে বর্তমানে কম্পিউটার প্রযুক্তি যে দ্রুত গতিতে ধাবিত হচ্ছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের অনেক নামী-দামী কোম্পানি একের পর এক প্রযুক্তি পরিবর্তন করেও এর গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। এখন মানুষের জীবনযাপনের সবকিছুই চলছে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, বলা যায় সভ্যতা একরকম তথ্য প্রযুক্তির কাছে জিম্মি হয়ে গেছে। তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলো মানুষকে যেভাবে যা খাওয়াবে মানুষ তা খেতে বাধ্য। তথ্যপ্রযুক্তির শুরুর দিকে মানুষের চাহিদা এবং সুযোগ-সুবিধার বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি নির্মাণ করা হতো। এখন অবস্থা বিপরীত। এখন তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলো নিজেদের সুবিধামতো প্রযুক্তি নির্মাণ করে বাজারে ছেড়ে দিয়ে মানুষকে সেই প্রযুক্তি গ্রহণে একরকম বাধ্য করে থাকে। এক্ষেত্রে তারা প্রথমে নতুন প্রজন্মের উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের টার্গেট করে, কেননা তাদের ব্যবহার করে খুব সহজেই নতুন নতুন প্রযুক্তিকে জনপ্রিয় করে তোলা যায়। এই বয়সের বৈশিষ্ট্যই হলো নতুন কিছু ভাল হোক আর মন্দ হোক, দ্রুত গ্রহণ করা। একবার কোন প্রযুক্তি তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠলে তখন ব্যবসায়িক স্বার্থে সবাইকে তা গ্রহণ না করে কোন উপায় থাকে না। কম্পিউটার মূলত আবিষ্কার হয়েছিল তথ্য উপাত্ত সংরক্ষণ করা এবং নিখুঁতভাবে বিচার বিশ্লেষণ করার উদ্দেশ্য নিয়ে। সেই কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবহার এখন জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে জেঁকে বসেছে। কম্পিউটার প্রযুক্তি রূপান্তরিত হয়েছে স্মার্টফোনে, যার মাধ্যমে হেন কোন কাজ নেই যা সম্পন্ন করা যায় না। এখন রাস্তায় হাঁটার সময় দেখা যায় বিভিন্ন বয়সের মানুষ হাতে ফোন বা কোন ডিভাইস না ধরে অর্থাৎ সম্পূর্ণ খালি হাতে রাস্তা দিয়ে হাঁটে আর নিজে নিজেই হাতমাথা নেড়ে কথা বলে যা সাধারণত পাগলরা করে থাকে। কিন্তু বাস্তবে তারা মোটেও পাগল নয়, যথেষ্ট ভাল মানুষ তবে স্মার্ট-ফোনে আসক্ত, তাই তারা স্মার্ট- ফোনে কথা বলে আর রাস্তা দিয়ে হাঁটে। গাড়ি চালানোর সময় স্মার্ট-ফোনে কথা বলা দণ্ডনীয় অপরাধ জন্যে বিকল্প হিসাবে এক প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়েছে যার মাধ্যমে ফোন সেট হাতে না ধরেও কথা বলা যায় অবলীলায়। অথচ সেই প্রযুক্তি এখন অকারণে হাঁটা-চলাতেও ব্যবহৃত হচ্ছে। এ কারণে অনেক ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনাও ঘটছে কিন্তু এতে স্মার্টফোন আসক্তদের মোটেও মাথাব্যথা নেই, ফলে এই প্রবণতা বেড়েই চলেছে। সমগ্র বিশ্বে এখন স্মার্টফোন ব্যবহারের এক ধরনের উন্মাদনা শুরু হয়েছে। প্রয়োজনীয় অনেক কিছু না হলেও চলে, কিন্তু একটি অত্যাধুনিক স্মার্টফোন ছাড়া এক মুহূর্তও চলবে না। পাঁচ বছরের শিশু থেকে অশীতিপর বৃদ্ধ সবাই নির্বিচারে কারণে-অকারণে স্মার্টফোন ব্যবহার করছে। একদিন আমার এক বন্ধুর বাসায় গিয়ে দেখি পাঁচ-ছয় বছরের একটি ছোট্ট ছেলে স্মার্টফোন হাতে নিয়ে টেলিভিশন সেটের সামনে বসে আছে। হঠাৎ দেখি সেই টেলিভিশন সেটে ফুটবল খেলা শুরু হয়ে গেছে যেখানে মেসিসহ বিশ্বের অনেক নামী-দামী খেলোয়াড় খেলছেন। আমি তখন আলোচনায় খান্ত দিয়ে গভীর উৎসাহে সেই খেলা দেখতে শুরু করি। কিন্তু আমার বন্ধু আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলে যে, এটা তো সত্যিকার খেলা নয়। উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটিয়ে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের ছবি দিয়ে একটি ফুটবল গেম তৈরি করা হয়েছে যা দিয়ে কোমলমতি ছেলেমেয়েরা ঘরে বসে স্মার্টফোনে বা টেলিভিশন সেটের মাধ্যমে ফুটবল খেলতে পারবে। আমি কম্পিউটার গেম বা ভিডিও গেমের কথা অনেক শুনলেও, স্মার্টফোনের মাধ্যমে ছোট্ট বাচ্চাদের ফুটবল খেলার কথা শুনে অবাক হয়ে যাই। এগুলোই হল স্মার্টফোন আসক্তি যে কোন ধরনের মাদকাসক্তির থেকেও ভয়ঙ্কর, কেননা মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে নানান চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক করে তোলা সম্ভব কিন্তু স্মার্টফোন আসক্ত কাউকে স্বাভাবিক করে তোলা মোটেই সম্ভব নয়। এই স্মার্টফোন আসক্তি এমন ভয়ঙ্কর ব্যাধি যা বেড়ে ওঠা ছেলেমেয়েদের চিন্তাশক্তি, বুদ্ধির বিকাশ এবং সুস্থভাবে জীবনযাপনের সক্ষমতাকে ধ্বংস করে দেয়। এটা এখন উন্নত, অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল সকল দেশের জন্যই বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক হলো এই যে, তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলো সহজ অর্থ উপার্জনের মোহে পড়ে এসকল পণ্য ও সেবা উৎপাদন ও বাজারজাত করে যাচ্ছে কোনরকম সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা চিন্তা না করেই, যদিও তাদের মুখেই সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা সবচেয়ে বেশি শোনা যায়। আর অনেক অভিভাবক আছেন যারা ছোট ছেলেমেয়েদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিয়ে এক ধরনের বৃথা অহং বোধে ভোগেন যে তাদের সন্তানরা অল্প বয়সেই প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শী হয়ে উঠছে। এই প্রবণতা যদি বন্ধ না হয় তাহলে একদিন বিশ্ব সভ্যতাকে চরম মূল্য দিতে হবে। এই তথ্যপ্রযুক্তি এখন কম্পিউটার থেকে স্মার্টফোন হয়ে কৃত্রিম মানববুদ্ধিতে রূপান্তরিত হয়েছে (আরটিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স)। এই কৃত্রিম মানববুদ্ধি এমন এক ধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যা দিয়ে ঐসকল কাজও সম্পন্ন করা সম্ভব হবে যার জন্য মানুষের বুদ্ধিমত্তা খাটানোর প্রয়োজন রয়েছে, যেমন যানবাহন পরিচালনা, অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণ ইত্যাদি। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইতোমধ্যে চালকবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন যে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের রাস্তাঘাট কোটি কোটি চালকবিহীন গাড়িতে সয়লাব হয়ে যাবে। এখানেই শেষ নয় কোন দেশের মুদ্রানীতি প্রণয়ন, অর্থনৈতিক প্রাক্কলন এবং ব্যাংক রেট নির্ধারণসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী কাজও এই কৃত্রিম মানববুদ্ধি নামক প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব। ফলে ডক্টরেট বা উচ্চ শিক্ষিত খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদদের আর কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োগ দেয়ার প্রয়োজন হবে না। এখন প্রশ্ন হলো তথ্যপ্রযুক্তি কিভাবে এত দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। উত্তরটা খুবই সহজÑ স্বল্প বিনিয়োগ কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা। তথ্যপ্রযুক্তির কোন কোম্পানিকে বিশাল বিশাল কারখানা, যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে হয় না, যেমনটা করতে হয় কোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে। ২০০৮-এর দীর্ঘমেয়াদী মন্দা এবং তার পরবর্তী বছরগুলোতে যেখানে বিশ্বের বৃহৎ বৃহৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কোনমতে টিকে থাকার সংগ্রামে ব্যস্ত, সেখানে তথ্যপ্রযুক্তির কোম্পানিগুলোর রমরমা অবস্থা। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ, স্বচ্ছল এবং অবস্থাপন্ন পাঁচটি কোম্পানিই হলো তথ্যপ্রযুক্তির প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফট, অ্যাপল এবং ইয়াহু। এদের কাজ হলো মানুষের মধ্যে প্রযুক্তি ব্যবহারে এক ধরনের উন্মাদনা সৃষ্টি করা যার ফলে কোটি কোটি লোক এই প্রযুক্তি ব্যবহারে আকৃষ্ট হয়। যত বেশি প্রযুক্তির ব্যবহার তত বেশি কোম্পানির মূল্য। ফেসবুকের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা দেখে কেউ কেউ ফেসবুকের আদলে প্রতিষ্ঠা করেন পেশাজীবীদের যোগাযোগ মাধ্যম লিংকড-ইন। এটিকে দ্রুত জনপ্রিয় করে তোলার জন্য এই বলে উন্মাদনা সৃষ্টি করা হয় যে লিংকড-ইনে প্রোফাইল খুললে খুব সহজে একটা ভাল চাকরি যোগাড় করা যায়। ছোটবেলায় আমার গ্রামের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের কাছে শুনেছিলাম, চাকরি হলো সোনার হরিণ। চাকরি যে সোনার হরিণ তা নিজ দেশে বুঝতে না পারলেও এই উন্নত দেশে এসে আমি এবং আমার মতো হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশী হারে হারে টের পেয়েছে। তাই লাখ লাখ চাকরি প্রার্থী এই সোনার হরিণ ধরার অভিপ্রায়ে পেশাজীবীদের যোগাযোগ মাধ্যম লিঙ্কড-ইনে যোগ দেয়, ফলে অল্প সময়ের মধ্যে লিঙ্কড-ইন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ওঠে। আমি নিজে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে যথেষ্ট সতর্ক হওয়া সত্ত্বেও একদিন সঙ্গদোষে লোহা ভাসার মতো লিঙ্কড-ইনে নাম লেখাই। দীর্ঘ আট বছর ধরে লিংকড-ইনে আমার প্রোফাইল থাকলেও চাকরি তো দূরের কথা একটি সাক্ষাতকারের আমন্ত্রণও পাইনি। আমার পরিচিত কেউ পেয়েছে বলে আজ পর্যন্ত শুনিনি। আমরা উপকৃত না হলে কি হবে, লিঙ্কড-ইন ঠিকই ফুলেফেঁপে উঠে কোটি কোটি ডলার মূল্যের কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে এবং এক পর্যায় ২০১৬ সালে এটি প্রায় ২৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যে মাইক্রোসফটের কাছে বিক্রিও হয়ে গেছে। ১৯৩০ সালে বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তি ছিল না কিন্তু বিশ্ব অর্থনীতি এক মহামন্দার কবলে পড়েছিল। আবার অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও ২০০৮ সালে বিশ্ব অর্থনীতি দীর্ঘমেয়াদী এক মন্দার কবলে পড়ে যা থেকে বিশ্ব এখনও ভালভাবে কাটিয়ে উঠতে পেরেছে এমন দাবি করা যাবে না। যখন তথ্যপ্রযুক্তি ছিল না তখনও জাল-জালিয়াতি হয়েছে এবং এখন উন্নত তথ্যপ্রযুক্তির প্রচলন সত্ত্বেও এই জাল-জালিয়াতির ঘটনা অব্যাহত আছে, বরং এর মাত্রা ও ব্যাপ্তি বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক গুণ। এখন যে মাত্রার দুর্নীতি ও জাল-জালিয়াতির ঘটনা ঘটে তা আগে যখন তথ্যপ্রযুক্তির প্রচলন ছিল না তখন কল্পনাই করা যায়নি। যত উন্নত প্রযুক্তিই ব্যবহার করা হোক না কেন প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ীই পর্যায়ক্রমে অর্থনৈতিক মন্দাও যেমন ঘটবে, মানুষের লোভ লালসার কারণেই দুর্নীতি ও জাল-জালিয়াতির ঘটনাও ঘটবে এবং তেমনি গাড়ি রাস্তায় চললে দুর্ঘটনাও ঘটবে। শুধু উপযুক্ত মানব সম্পদ উন্নয়ন এবং প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির যুগপৎ ব্যবহারের মাধ্যমেই এতদসংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে সর্বনিম্ন পর্যায় নিয়ে আসা সম্ভব। তাই প্রযুক্তি উন্নয়নের ওপর যেমন গুরুত্ব আরোপ করতে হবে, ঠিক তেমনি সমান গুরুত্ব দিতে হবে মানব সম্পদ উন্নয়ন এবং ব্যবহারের ওপর। এখন যেমন মানুষের মেধা ও প্রজ্ঞাকে একপ্রকার অবজ্ঞা করে একতরফাভাবে শুধু প্রযুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে তা কখনই দীর্ঘ মেয়াদে ভাল ফল বয়ে আনবে না। একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না যে লাগামহীন কোন কিছুই ভাল না। তাই এখন সময় এসেছে তথ্যপ্রযুক্তির প্রতিটা ক্ষেত্রকে কোন না কোন বিধি-বিধানের আওতায় নিয়ে আসা এবং একটি সীমানা নির্ধারণ করে দেয়া যার বাইরে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার অনুমোদন করা হবে না। এখনকার মতো কোনরকম নিয়ন্ত্রণ ছাড়া লাগামহীনভাবে তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রা অব্যাহত মানুষের সভ্যতার শেষ পরিণতি কোথায় তা কেউ বলতে পারবে না। লেখক : ব্যাংকার টরনটো, কানাডা [email protected]
×