ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

হাসিনা সরকারই মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন করেছে ॥ শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২৮ জুন ২০১৮

  হাসিনা সরকারই মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন করেছে ॥ শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, যারা আল্লাহর আইন আর সৎ লোকের শাসনের স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তারা মাদ্রাসা শিক্ষার কোন উন্নয়ন করেনি। কিন্তু ক্ষমতায় আসলে মাদ্রাসা ধ্বংস হয়ে যাবে বলে যাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে সেই শেখ হাসিনার সরকারই দেশের মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন করেছে। কওমি মাদ্রাসাও সরকারী স্বীকৃতি পাচ্ছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেছেন, জ্ঞান বিজ্ঞানে একসময় মুসলমানরাই ছিল শ্রেষ্ঠ। অথচ এখন অনেক স্বঘোষিত আলেম নিজেদের মতো করে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি বাড়ছে। বুধবার ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশাহ এমপি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার এসএম এহসান কবীর, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ রোশন খান, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) রেজাউল করিম, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) সিদ্দিকুর রহমান ভূঁইয়া প্রমুখ। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে কেবল শিক্ষার কারিকুলামই নয় ভৌত অবকাঠামোর দিক দিয়েও সরকার মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন করছে। সারাদেশে অসংখ্য মাদ্রাসায় ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। আলেমদের চাহিদা অনুযায়ী একটি এফিলিয়েটেড বিশ্ববিদ্যালয় করে দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মান্নান বলেন, জ্ঞান বিজ্ঞানে একসময় মুসলমানরাই ছিল শ্রেষ্ঠ। অথচ এখন অনেক স্বঘোষিত আলেম নিজেরদের মতো করে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি বাড়ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ভূমিকা রাখবে। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে সিলেট জেলার জালালিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার হোসান আহমদ চৌধুরী (ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষ), দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন গাজীপুর জেলার হায়দারাবাদ হোমেসিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার মোঃ আতিক (ফাজিল তৃতীয় বর্ষ), তৃতীয় স্থান অধিকার করেন পিরোজপুর জেলার ছারছীনা দারুস সুন্নত কামিল মাদ্রাসার মোঃ আবুল ফুতুহ্। উল্লেখ্য, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন পরিচালিত ফাজিল (পাস), ফাজিল (অনার্স) ও কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশব্যাপী দুটি বিষয়ের ওপর প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা পর্যায়ে এক হাজার ৫৩৩, বিভাগীয় পর্যায়ে ৩৯৬ এবং জাতীয় পর্যায়ে ৮৪ প্রতিযোগি অংশ নেন। এর মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে ৩৬ বিজয়ী হন। এর মধ্যে ২৫ ছাত্র এবং ১১ ছাত্রী।
×