শাকিল আহমেদ মিরাজ ॥ বিশ্বকাপ যে কতটা কঠিন সেটি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে স্পেন। অনেকটা ঘাম দিয়ে জ্বর সারার মতো নিজেদের শেষ ম্যাচে মরক্কোর সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে দ্বিতীয়পর্বের টিকেট পেয়েছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচটা ছিল সত্যি অসাধারণ। ১৪ মিনিটে তায়েবের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল মরক্কো। ১৯ মিনিটে স্পেনকে সমতায় ফেরান ইসকো। ৮১ মিনিটে নাসিরির গোলে ফের এগিয়ে যায় মরক্কো। অন্তিম মুহূর্তে অর্থাৎ অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে (৯০+১) স্প্যানিশদের বাঁচিয়েছেন ইয়াগো আসপাস। তাতেই শেষ রক্ষা। ১ জয় ও ২ ড্রয়ে গ্রুপপর্বের শীর্ষে থেকেই দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে স্পেন। এর আগে পর্তুগালের সঙ্গে ৩-৩এ ড্র , আর ইরানকে ১-০ গোলে হরিয়েছিল তারা। বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো যে সত্যিকারের চ্যালেঞ্জিং ছিল সেটি স্বীকার করেছেন স্প্যানিশ এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ইসকো।
‘সত্যি বলতে, মরক্কো ম্যাচটা ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। ওরা অসাধারণ ফুটবল খেলেছে। আমরা সামর্থ্যরে সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি কিন্তু জয় পাইনি। তবু খুশি কারণ ড্র করেও গ্রুপপর্বের শীর্ষে থেকে শেষ ষোলো নিশ্চিত করতে পেরেছি। গ্রুপপর্বের ম্যাচগুলোই মনে করিয়ে দেয় এটা বিশ্বকাপ। যেখানে দলগুলোর শক্তির মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। আমাদের উন্নতি করার অনেক জায়গা রয়েছে। পরের পর্বে আরও কঠিন সময় আসছে।
এ জন্য যথাযথভাবে প্রস্তুত হতে হবে।’ বলেন ইসকো। এটাই ফুটবল। এটাই ফুটবল। এটাই ধ্রুপদী লড়াই, শ্রেষ্ঠত্বের বিশ্বকাপ। যেখানে বিশ্বের সেরা দলগুলো তাদের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে আনন্দ দেয়। পুরো পৃথিবীকে এক সুঁতোয় গেঁথে রাখে। স্পেনের হয়ে ইয়াগো আসপাসের অন্তিম মুহূর্তের গোলের পর বিবিসির ধারাভাষ্যকারের এমন বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত প্রকাশ করবেন না কেউই। কারণ বিশ্বকাপ আসলেই জীবন্ত প্রেম। ৩২ দলের জন্য সহস্ত্র কোটি মানুষের প্রেম। মঙ্গলবার রাতে এমনই এক ম্যাচ উপহার দিয়েছে স্পেন-মরক্কো। কে জানত বিশ্বকাপ থেকে আগেই বিদায় নেয়া মরক্কো আটকে রাখবে স্পেনকে। শুধু কী আটকে? মরক্কো জিতবে র্যাঙ্কিংয়ে দশে থাকা স্পেনের বিপক্ষে। যেখানে মরক্কোর অবস্থান ৪১। কিন্তু কালিননগ্রাদ স্টেডিয়ামে ৯৮ মিনিটের লড়াইয়ে এক মুহূর্তের জন্যও মনে হয়নি দুই দলের র্যাঙ্কিং ব্যবধান ৩১। দু’বার এগিয়ে গিয়েও ভাগ্যদেবীর নির্মম পরিহাসে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয়টাই কেবল পায়নি মরক্কো। নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে স্পেনকে সমতায় ফেরান আসপাস। দানি কারভাহালের ক্রস থেকে পা ছুঁইয়ে গোল করেন আসপাস। কিন্তু সাইড লাইনে থাকা রেফারি অফ সাইডের পতাকা তোলেন। সন্দেহ হওয়ায় ভিডিও রেফারিংয়ের (ভিএআর) সাহায্য চান রেফারি। তাতেই কপাল পোড়ে মরক্কোর। ভিডিও ফুটেজ দেখে গোলের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। ২-২ এ ম্যাচ ড্র!
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: