ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মিসরের বিষাদের দিনে হাদারির রেকর্ড

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ২৭ জুন ২০১৮

মিসরের বিষাদের দিনে হাদারির রেকর্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ একজন খেলোয়াড়কে ঘিরেই ছিল যত উৎসাহ-উদ্দীপনা। তাদের স্ট্রাইকার মোহাম্মদ সালাহ বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পেয়েছেন বলেই সবাই মিসরকে নিয়ে কিছুটা হলেও আগ্রহী ছিল। কিন্তু তিন ম্যাচেই হেরে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে মিসর। ফারাওদের শেষ ম্যাচে অবশ্য একটা সুখস্মৃতি নিয়ে ঘরে ফেরার সুযোগ ছিল। কিন্তু সৌদি আরবের কাছেও ২-১ গোলে হেরেছে তারা। সালাহ দুই ম্যাচ খেলে দুই গোল পেয়েছেন। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি। আরেকটি পরাজয়ে হয়তো ফারাওদের তাঁবুতে শুধুই হতাশা আর বিষাদের ছায়া, কিন্তু অভিজ্ঞ গোলরক্ষক এশাম আল হাদারি করেছেন অনন্য এক রেকর্ড। ৪৫ বছর বয়সী এ গোলরক্ষক সবচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েছেন। এমনকি একটি পেনাল্টিও ঠেকিয়েছেন তিনি। মিসর তিন ম্যাচই হেরেছে। তবে তাদের অন্যতম প্রাপ্তি দলের সেরা খেলোয়াড় সালাহ ইনজুরি কাটিয়ে সেরা ফর্মেই ফিরেছেন। দুই ম্যাচে করেছেন দুটি গোল। কিন্তু জয় এনে দিতে পারেননি নিজের দলকে। আগের দুই ম্যাচে গোলরক্ষক হিসেবে খেলেছেন মোহাম্মদ আল শিনাওয়ি। শেষ গ্রুপ ম্যাচে অভিজ্ঞ ও অনেক বয়সী গোলরক্ষক হাদারিকে সুযোগ দেয়া হয় প্রথম একাদশেই। বিশ্বকাপ অভিষেক হয় তার ৪৫ বছর বয়সে। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে রেকর্ড। এত বেশি বয়সে আর কোন খেলোয়াড় বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি। ম্যাচের ৩৯ মিনিটের সময় সৌদি আরবের ফাহাদ আল মুয়াল্লাদের নেয়া পেনাল্টি ঠেকিয়ে আরেকটি বিস্ময়ের জন্ম দেন। ভলগোগ্রাদ এ্যারেনাও তাই ঐতিহাসিক হয়ে থাকল। তিনি এদিন খেলতে নেমেছিলেন ৪৫ বছর ১৬১ দিন বয়সে। এর আগে রেকর্ডটি ছিল কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ফারিদ মনড্রাগনের দখলে। তিনি ৪৩ বছর ৩ দিন বয়সে গত বিশ্বকাপে খেলে রেকর্ড গড়েছিলেন সর্বজ্যেষ্ঠ বিশ্বকাপ খেলোয়াড় হিসেবে। ব্রাজিলে হওয়া সেই বিশ্বকাপে তিনি জাপানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেন। মিসরের হয়ে হাদারির আন্তর্জাতিক অভিষেক ১৯৯৬ সালে। তিনি এবার বিশ্বকাপের দলগুলোয় থাকা তিন কোচের চেয়েও বেশি বয়সী। বেলজিয়াম কোচ রবার্টো মার্টিনেজ, সার্বিয়া কোচ লাদেন ক্রাস্টাজিচ ও সেনেগাল কোচ আলিউ সিজের চেয়ে বেশি বয়স হাদারির। তবে হাদারি পেনাল্টি ঠেকালেও দুটি গোল হজম করেন। আর সেটার কারণ মিসরের দুর্বল রক্ষণভাগ। ২-১ গোলের জয় পায় সৌদি আরব। যদিও ২২ মিনিটে গোল করে সালাহই এগিয়ে দিয়েছিলেন মিসরকে। ভলগোগ্রাদ এ্যারেনায় ছিল ৩৮৮২৩ জন দর্শক। যার অধিকাংশই ছিল মিসরের সমর্থক। তাদের সেই উৎসব আরও রাঙিয়ে দিয়েছিলেন হাডারি ৩৯ মিনিটে পেনাল্টি ঠেকিয়ে। কিন্তু প্রথমার্ধেই ইনজুরি সময়ে আরেকটি পেনাল্টি আর রুখতে পারেননি।
×