সংসদ রিপোর্টার ॥ দেশী-বিদেশী নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে উন্নয়ন, অগ্রগতি আর সমৃদ্ধির পথে হাঁটছে আমাদের আজকের বাংলাদেশ। কারণ ৪২ বছর স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় থাকার পর বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার প্রাথমিক স্বীকৃতি পেয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আজকের এই উত্তরণ, যেখানে রয়েছে এক বন্ধুর পথ পাড়ি দেয়ার ইতিহাস। সরকারের জনকল্যাণমূলক কৌশলই বিশ্ব অর্থনীতির বর্তমান সময়ে বাংলাদেশকে এই প্রশংসা অর্জনে সহায়তা করেছে।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি জানান, আয় বৃদ্ধি, উন্নয়ন খাতে অর্থায়ন, অনুন্নয়ন খাতের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ও ঋণ গ্রহণে ভারসাম্য রক্ষার মাধ্যমে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষাসহ উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিকে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ২০১৬-২০২০ সালের মধ্যে সাফল্যজনকভাবে ৭ দশমিক ১ ভাগ হতে ৮ শতাংশ এবং গড় প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৪ শতাংশ প্রক্ষেপণ করা হয়েছে। বর্তমান অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ প্রক্ষেপণ করা হয়েছে। এটি দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আরও জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর উন্নয়নবান্ধব ও দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক বহু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এতে দারিদ্র্য দিন দিন কম আসছে। এডিপি বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ প্রয়াস নেয়া হয়েছে। সারাদেশে সড়ক নেটওয়ার্কের ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। এসব কারণে বাংলাদেশে অতি দারিদ্র্য অনেকটাই কমে আসছে।
তিনি জানান, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীকে সরকার দারিদ্র্য দূরীকরণের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে মনে করে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর লক্ষ্য হচ্ছে চরম দরিদ্র জনগণের জীবনের ঝুঁকিগুলো মোকাবেলার মাধ্যমে তাদেরকে চরম দারিদ্র্যের বলয় থেকে মুক্ত করা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: