ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মাদকবিরোধী দিবসের আলোচনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

যুবকদের কর্মক্ষম ও সৃজনশীল রাখতেই মাদকবিরোধী অভিযান

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ২৭ জুন ২০১৮

যুবকদের কর্মক্ষম ও সৃজনশীল রাখতেই মাদকবিরোধী অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে মাদক ব্যবসায়ীদের কঠিন বার্তা দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সামনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানালেন তিনি। মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা মাদক ব্যবসাকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন তাদের জন্য দুঃসংবাদটি হচ্ছে এই, আপনারা হয় কারাগারে, না হলে কোথায় যাবেন সেটা আপনারাই দেখবেন। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৫ ভাগ যুবক। তাদের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগই কর্মক্ষম। এরা জাতির ভবিষ্যত, আমরা এদের কথা চিন্তা করি। তাই তাদের কর্মক্ষম ও সৃজনশীল রাখতেই আমাদের এই মাদকবিরোধী অভিযান। জঙ্গী ও সন্ত্রাস দমনে আমরা যেমন সফল হয়েছি, আমার দৃঢ় বিশ্বাস মাদক নিয়ন্ত্রণেও আমরা সফল হব। তিনি বলেন, আমার একটাই অনুরোধ আপনারা নিজেদের ছেলে- মেয়ে, ভাই, প্রতিবেশী কী করছে, মাদকের দিকে জড়িয়ে পড়ছে কি-না সেগুলো খেয়াল রাখুন। এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, মাদকের সমস্যা আমাদের জন্য ক্যান্সারের চেয়েও খারাপ। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ। আপনার সন্তানকে মাদক থেকে রক্ষা করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ঢাকায় কোন মাদকের আখড়া থাকলে সেগুলো গুঁড়িয়ে দেয়া হবে, ইতোমধ্যে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক তার কোমরে রশি বেঁধে নিয়ে যাওয়া হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের অভিযানের পাশাপাশি মাদকের অর্থদাতা, আশ্রয়দাতা ও যারা মাদক ব্যবসায়ীদের আদালত থেকে বের করে আনে তাদেরও খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, মাদকের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ যদি জড়িত থাকে, প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে মদদ দেয় অথবা ন্যূনতম সাহায্য করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে কয়েক জন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালে হলি আর্টিজানে হামলার ৬ মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। একইভাবে মাদককেও গুঁড়িয়ে দেয়া হবে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মেদ খান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ। পরে অতিথিরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে একটি প্রদর্শনী পরিদর্শন এবং মাদকবিরোধী ডিজিটাল প্রচারণার উদ্বোধন করেন।
×