ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঝিনাইদহে বাস নসিমন সংঘর্ষে নিহত তিন

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ২৭ জুন ২০১৮

ঝিনাইদহে বাস নসিমন সংঘর্ষে নিহত তিন

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ, ২৬ জুন ॥ ঝিনাইদহে বাস ও নসিমনের সংঘর্ষে তিনজন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছে। নিহতরা হলো, হরিণাকু-ু উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের জাকের মণ্ডলের ছেলে আব্দুল লতিফ (৫৫), একই গ্রামের দলু মণ্ডলের ছেলে শাহিদুল ইসলাম (৪৫) ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামের ইমান আলীর ছেলে রাহাজ উদ্দিন (৬০)। মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের সদর উপজেলার সাধুহাটিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি জানান, সকালে হরিণাকু-ু থেকে কয়েকজন পান ব্যবসায়ী আলমসাধুযোগে সদর উপজেলার হলিধানী বাজারে যাচ্ছিল। পথে সাধুহাটি পৌঁছালে চুয়ডাঙ্গা থেকে ঝিনাইদহগামী ইএন পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই রাহাজ উদ্দিন নামে এক পান ব্যবসায়ী মারা যায়। আহত হয় আরও ৯ জন। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহিদুল ইসলাম ও আব্দুল লতিফ মারা যায়। বাকি আহত কেষ্টপুর গ্রামের খোদা বক্সের ছেলে আব্দুল মমিন (৫৫), নুরুল মণ্ডলের ছেলে কামরুল ইসলাম (৫০), আঈনুদ্দিনের ছেলে আব্দুল খালেক (৪৬), সাধুহাটি গ্রামের আওলাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল সালাম (৪৫) ও পান্তাপাড়া গ্রামে আনোয়ারের ছেলে ছালাম হোসেনসহ (২৫) সাতজনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। মুন্সীগঞ্জে স্কুটার চালক স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, শহরের কোর্ট সংলগ্ন সিএনজি স্ট্যান্ডে সকাল ১০টার দিকে ব্যাটারি চালিত অটো চাপায় এক স্কুটার চালক নিহত হয়েছে। নিহতের নাম মোঃ রুপচান (৫০)। এ ঘটনায় জনতা ঘাতক অটোচালক নাসির সরদারকে (৪০) নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার এসআই জানান, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দ্রুত গতিতে সে অটো চালাচ্ছিল। এ সময় স্কুটারটি সিরিয়ালে রেখে রাস্তা পার হওয়ার সময় রুপচানকে প্রথমে ধাক্কা ও পরে চাপা দিলে গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষণিক তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রুপচান শ্রীনগর উপজেলার কল্লীগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। আর গ্রেফতারকৃত নাসির সরদার শহরের ইদ্রাকপুরের জুলমত সরদারের পুত্র। নওগাঁয় ক্লিনিক মালিক নিজস্ব সংবাদদাতা নওগাঁ থেকে জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় দ্রুতগামী ট্রাকের চাপায় শহরের পার-নওগাঁস্থ ‘প্রত্যাশা ক্লিনিকের’ মালিক পল্লী চিকিৎসক ডাঃ ডিএম আসাদুল ইসলাম (৪০) নিহত হয়েছেন। এ সময় তিনি রোগী দেখে মোটরবাইক যোগে নিজ ক্লিনিকে ফিরছিলেন। শহরের বাইপাস এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত আসাদ সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের বলিরঘাট গ্রামের দেওয়ান আব্দুস সাত্তারের পুত্র। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত ডাঃ আসাদুল ইসলাম মোটরবাইক নিয়ে শহরের ইকরতারা গ্রাম থেকে একটি রোগী দেখে বাইপাস সড়ক দিয়ে পার-নওগাঁয় তার ‘প্রত্যাশা ক্লিনিকে’ ফিরছিলেন। উল্লেখিত স্থানে পৌঁছলে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য তার গাড়ির লাইসেন্স দেখার জন্য থামার সঙ্কেত দেয়। তিনি থামার আগেই পুলিশ আসাদের বাম হাতে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডান পাশে পড়ে যান। এ সময় পেছন থেকে আসা একটি দ্রুতগামী ট্রাক তাকে চাপা দিলে ট্রাকের পেছনের চাকায় তিনি পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ঘণ্টাব্যাপী জনতা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ দিকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করতে চাইলে এলাকাবাসী ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মুহাম্মদ রাশিদুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) লিমন রায়, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মুসতানজিদা পারভীন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল হাই, নওগাঁ ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) মোঃ গোলাম সারোয়ার ঘটনাস্থল পৌঁছে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে তাদের আশ্বস্ত করলে জনতা অবরোধ তুলে নেয়। মাদারীপুরে শিশু নিজস্ব সংবাদদাতা মাদারীপুর থেকে জানান, শিবচরে গাছের গুঁড়ি বোঝাই ভ্যান উল্টে গাছের গুঁড়ি চাপায় এক পথচারী শিশু নিহত হয়েছে। ভ্যান বোঝাই গাছের গুঁড়িগুলো না বাঁধার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে শিবচর উপজেলার মাদবরচর ইউনিয়নের বেইলি ব্রিজ থেকে গাছের গুঁড়ি বোঝাই একটি ভ্যান বাখরেরকান্দি যাচ্ছিল। ভ্যানটি উত্তর বাখরেরকান্দি এলাকায় পৌঁছলে চালকের অদক্ষতায় ভ্যানটি উল্টে খাদে পড়ে যায়। এ সময় ভ্যানে থাকা গাছের গুঁড়িগুলো রাস্তার ওপর আছড়ে পড়ে পথচারী মফিজউদ্দিন মাদবর (৮) নামের এক শিশুকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
×