ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে সরকারের হস্তক্ষেপ থাকবে না ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২৬ জুন ২০১৮

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে সরকারের হস্তক্ষেপ থাকবে না ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ গাজীপুর সিটি নির্বাচনে সরকারের কোন হস্তক্ষেপ থাকবে না দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার গাজীপুর নির্বাচনে সহায়ক (ফেসিলেটেড) ভূমিকা পালন করছে, কোন প্রকার ইন্টারফেয়ারেন্স (হস্তক্ষেপ) করছে না। উৎসাহ-উদ্দীপনার মাঝে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সোমবার ধানম-ির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এত বড়নির্বাচন হচ্ছে, এখনও কোথাও সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে গাজীপুরে। গাজীপুরে সম্পূর্ণ অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন কর্তৃত্বপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগিতা করছে। এটাই আমাদের সংবিধানের বিধান, যেটা আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছি। এখানে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিষ্কারভাবে বলেছেন, একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনে, স্বাধীন কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাবে। এটাই প্রধানমন্ত্রীর কথা। নির্বাচন ফ্রি এ্যান্ড ফেয়ার হবে। এখানে কোন প্রকার হস্তক্ষেপ থাকবে না। গাজীপুরের জনগণকে যাকে খুশি তাকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নারায়ণগঞ্জে যেমন নির্বাচন হয়েছে, কুমিল্লায় নির্বাচন হয়েছে, রংপুরে ও খুলনায় যেমন হয়েছে- ঠিক একইভাবে গাজীপুরেও নির্বাচন হবে। আমরা জনগণের কাছে আহ্বান জানাই গাজীপুরবাসী সবাইকে, আমরা অবশ্যই নৌকা মার্কায় ভোট চাই। পাশাপাশি সব জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই আপনারা যাকে খুশি তাকে ভোট দিবেন। এখানে সরকার কোন ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না। বিএনপির অভিযোগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ যারা বড় বড় কথা বলে তাদের আমলের মাগুরা মার্কা, ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচন আজও মানুষের চোখে ভেসে আসে। কীভাবে ভোট জালিয়াতি করে ভোট ডাকাতি করে বিএনপি নির্বাচনের ইতিহাসকে বারবার প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেছে বিএনপি। গাজীপুরে ভোট কারচুপি হলে ভয়াবহ পরিণতি হবে বলে যিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তিনিই ২০০১ সালে সিরাজপুর ক্যাম্পে নিজের নির্বাচনী এলাকায় গাড়ি থেকে নেমেই বলেন সকাল ১০টা বাজে এখনও ভোট দেয়া শেষ হয়নি? এই হচ্ছে বিএনপির নির্বাচন। যাদের (বিএনপি) আমলে নির্বাচন সকাল দশটার আগেই ভোট শেষ হয়, সেই রেকর্ড আওয়ামী লীগের নেই। আমাদের ইতিহাসে কলংকিত প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের ইতিহাস নেই। বিএনপি বরাবরের মতোই বিভিন্ন অভিযোগ দিয়ে যায় দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এসব তাদের পুরনো ভাঙ্গা রেকর্ড। নির্বাচন এলে বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ নেয়, তাহলে রেজাল্ট হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে কারচুপি হবে, নির্বাচনে ভোট ডাকাতি চলছে, এজেন্ট বের করে দেয়া হচ্ছে। এসব বলতেই থাকবে। এমন কিছু বাক্য আছে যা তারা নির্বাচনের ফলাফলের আগপর্যন্ত আওড়াতেই থাকবে। রেজাল্টের আগ পর্যন্ত নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা বিএনপির পুরনো অভ্যাস। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাকদ আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এ কে এম এনামুল হক শামীম, ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×