ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের আমরণ অনশন শুরু

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ২৬ জুন ২০১৮

নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের আমরণ অনশন শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার দাবিতে সোমবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন লাগাতার আন্দোলনে থাকা ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের উত্তর পাশে এই কর্মসূচী শুরু করা হয়েছে। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, এবার স্বীকৃতি পাওয়া সবকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন। সকালে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জাতীয় সঙ্গীত ও শপথবাক্য পাঠ করানোর মধ্য দিয়ে কর্মসূচী শুরু হয়। শপথবাক্য পাঠ করান ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী। শপথবাক্যে বলা হয়, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা রাজপথ ছাড়বেন না। ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি এমপিওভুক্তি স্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে। অন্যথায় আমরণ অনশন অব্যাহত থাকবে। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা ১৫ থেকে ২০ বছর বিনা বেতনে চাকরি করছেন। অনেকের আর চাকরি আছে মাত্র ৫ থেকে ১০ বছর। এ কারণে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আর অপেক্ষায় না রেখে বর্তমান সরকারের মেয়াদে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। এত বছর পর কোনক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আংশিক সমাধান সমীচীন হবে না। স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু সংখ্যক এমপিওভুক্ত করার উদ্যোগ নিলে অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হবে। ২০১০ সালের পর কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়নি। গত বছরের ডিসেম্বর ও চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে এসব শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানা পাঁচদিন আমরণ অনশনের পর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাঁর তৎকালীন একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান এমপিওভুক্তির আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করা হয়। কিন্তু অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের যে বাজেট বক্তৃতা দেন, সেখানে নতুন এমপিওভুক্তির বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য না থাকায় শিক্ষক-কর্মচারীরা গত ১০ জুন থেকে ফের রাজপথে নেমেছেন। বর্তমানে সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। এগুলোতে শিক্ষক কর্মচারী আছেন প্রায় ৫ লাখ। তাদের বেতন-ভাতা বাবদ মাসে খরচ হয় প্রায় সাড়ে ৯০০ কোটি টাকা। এর বাইরে স্বীকৃতি পাওয়া ননএমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে ৫ হাজার ২৪২টি। এগুলোতে শিক্ষক কর্মচারী আছেন ৭৫ থেকে ৮০ হাজার। স্বীকৃতির বাইরে আছে ২ হাজারেরও বেশি ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের সূত্রমতে, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হলে এবং ওইসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করলে মাসে আরও প্রায় দেড় শ’ কোটি টাকা খরচ হবে।
×