ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এরদোগানকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ২৬ জুন ২০১৮

এরদোগানকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার রিসেপ তাইপ এরদোগানকে পৃথক বার্তায় অভিনন্দন জানিয়েছেন।- খবর বাসস’র। তুর্কী প্রেসিডেন্টকে পাঠানো এক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, তুরস্কের জনগণ তাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আপনাকে পুনঃনির্বাচিত করায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এটি আপনার নেতৃত্বের প্রতি তাদের আস্থারই সুস্পষ্ট প্রকাশ। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ এই সাফল্য অর্জন করায় আপনাকে আমার উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্ক উভয়ের ইতিহাস, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের মধ্যে মিল থাকায় চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আগামী দিনগুলোতে ভ্রাতৃপ্রতীম জনগণ দু দেশের শান্তি, উন্নয়ন এবং অগ্রগতির পথে একসঙ্গে এগিয়ে যাবে। একই সঙ্গে আমাদের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক আরও জোরদার করবে। তিনি এ সময় এরদোগানের সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ কামনার পাশাপাশি ভ্রাতৃপ্রতিম তুরস্কের জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এ সময় প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে যতদ্রুত সম্ভব পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরে আসারও আমন্ত্রণ জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় বলেন, দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে আপনার পুনঃর্নিবাচিত হওয়ার খবর শুনে আমি খুশি হয়েছি। আমি মনে করি, এই নির্বাচন হচ্ছে, আপনার প্রতি তুরস্কের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের একটি পরীক্ষা। তিনি বলেন, এই খুশির মুহূর্তে আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং আমার সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ এবং তুরস্কের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্কের উল্লেখ করে বলেন, শতাব্দির পর শতাব্দি ধরে দু দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সম্পর্ক বিরাজ করছে। তিনি বলেন, সুফিবাদের কালোত্তীর্ণ ঐতিহ্য আমাদের দু দেশের জনগণকে ঘনিষ্ঠ করেছে। তিনি বলেন, ১৯২২-২৩ সালে তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে মাতৃভূমি রক্ষায় সে দেশের জনগণের বীরোচিত কর্মকা- বাংলাদেশের জনগণ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের আত্মত্যাগের ঘটনাও আপনি অবহিত আছেন। জাতির পিতার স্বপ্নের একটি সুখি সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে দেশের জনগণ যে মুহূর্তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, ঠিক একই সময়ে আপনার নেতৃত্বে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ তুরস্ক দেখে আমরা আনন্দিত। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের জনগণ কাক্সিক্ষত শান্তি, উন্নয়ন ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় হাতে হাত রেখে কাজ করে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া নির্যাতিত মুসলিম রোহিঙ্গা জনগণের প্রতি এরদাগোনের ব্যক্তিগত সহযোগিতার উল্লেখ করে এই নিপিড়িত নির্যাতিত মানুষগুলোর প্রতি তুরস্কের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণ ও সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, তাঁর সরকার এবং জনগণ বাংলাদেশের মাটিতে রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় দিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় শিগগির রোহিঙ্গা শরণার্থীরা একটি নিরাপদ পরিবেশে মিয়ানমারে ফিরে যেতে সক্ষম হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনা দু দেশের মধ্যকার সম্পর্কের উল্লেখ করে বলেন, আপনার নেতৃত্বাধীন তুরস্কের নতুন সরকার এবং আপনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আগামী দিনগুলোতে আমাদের জনগণের পারস্পরিক স্বার্থে বিশেষ করে অর্থনৈতিক বাণিজ্যিক, প্রযুক্তিগত, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে আমাদের দু দেশের মধ্যকার বিরাজমান সম্পর্ক আরও উচ্চমাত্রায় পৌঁছে যাবে বলেও তিনি আশা করছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ প্রয়োজনে আপনার নির্দেশে তুরস্কের ভাই বোনদের সম্ভাব্য সকল প্রকার সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশে সফরে আসতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে আমন্ত্রণ জানান।
×