ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আজ ভোট ॥ গাজীপুর প্রস্তুত

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ২৬ জুন ২০১৮

আজ ভোট ॥ গাজীপুর প্রস্তুত

গাফফার খান চৌধুরী/মোস্তাফিজুর রহমান টিটু/নুরুল ইসলাম, গাজীপুর থেকে ॥ নতুন ভোরের অপেক্ষায় গাজীপুর সিটির মানুষ। নতুন সেই ভোরে তারা পাবেন নতুন নগরপিতা। নগরবাসীর প্রত্যাশা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তারা পাবেন যোগ্য এক মেয়রকে। যিনি গাজীপুর সিটির যানজট নিরসন, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা দূর করবেন। সেই সঙ্গে বহুদিন ধরে বাসা বেঁধে থাকা সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ ও মাদকের আস্তানা গুড়িয়ে দেবেন। তাই এবার সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে প্রার্থীদের চেয়ে ভোটাররাই বেশি হিসাব নিকেষ করছেন। রাস্তাঘাট ও জলাবদ্ধতার পাশাপাশি গত দুই দিনে দুর্ধর্ষ দুই জঙ্গী গ্রেফতারের পর আবারও আলোচনায় এসেছে জঙ্গীবাদের বিষয়টি। ভোটারদের ভাষ্য, বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে দেশে জঙ্গীবাদের ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছিল। তার সর্বশেষ পরিণতি হলি আর্টিজানের মতো ভয়াবহ জঙ্গী হামলার ঘটনা। এবারের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী মেয়র হলে আবারও গাজীপুরে জঙ্গীবাদ পুরোপুরি আস্তানা গেড়ে বসবে। সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের প্রার্থী এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলমকে প্রাধান্য দিচ্ছেন ভোটাররা। ভোটাররা বলছেন, এবারে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নানা কারণেই নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নৌকা মার্কার প্রার্থী মেয়র হলে তা হবে গাজীপুর সিটির জন্য খুবই ভাল। এদিকে আজ মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে ভোট শুরু হচ্ছে। বিরামহীনভাবে ভোট চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। ভোটের সব প্রস্তুতি শেষ। সোমবার বিকেল নাগাদ ভোটের সব সরঞ্জাম কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। রাস্তায় নেমেছে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, আনসারসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সবমিলিয়ে প্রায় ১৬ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করছে। একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে প্রতিটি কেন্দ্রে একটি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ শুরু করেছে। আর প্রতি তিন কেন্দ্র মিলে একজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে থাকছে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের চার শ’ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আজ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, অফিস আদালত বন্ধ থাকবে। যানবাহন চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তবে জরুরী সেবা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত যানবাহন ও ব্যক্তিরা এমন বিধি নিষেধের বাইরে থাকবে। সোমবার গাজীপুর সিটির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এবং ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে মিলেছে ভোটের নানা হিসেব নিকেষ। তারা বলছেন, বিগত দিনের অভিজ্ঞতা থেকে তারা অনেক শিখেছেন। অধ্যাপক আব্দুল মান্নান মেয়র নির্বাচিত হয়েও কাজ করেনি। তাই তারা আর ভুল করতে চান না। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীকে ভোট দিয়েও তেমন কোন সুফল হবে না। কারণ ইতোপূর্বে বর্তমানে মেয়র পদে নির্বাচন করা হাসান উদ্দিন সরকার জনপ্রতিনিধি ছিলেন। তিনি শুধু টঙ্গী এলাকার উন্নয়ন করেছেন। এটি অনেকটাই একপেষে। সরকার যেহেতু উন্নয়ন করে যাচ্ছে, তাই তারা সরকারের সঙ্গে থাকতে চান। এজন্য সরকার দলীয় প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয় পাইয়ে দিতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। ভোটারদের যুক্তি জাহাঙ্গীর আলমের দল ক্ষমতায় রয়েছে। তিনি মেয়র হলে গাজীপুরের উন্নয়ন ঘটবে। তাতে কোন সন্দেহ নেই। বিশেষ করে রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ সিস্টেমসহ নানা বিষয়ে উন্নয়ন ঘটবে। এছাড়া মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের আস্তানা গুড়িয়ে যাবে। ভোটারা বলছেন, বিগত দিনে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে জঙ্গীবাদের ভয়াবহ উত্থান ঘটেছিল। সেই সব জঙ্গী সংগঠন নিষিদ্ধ হয়েছে। তাদের আজও তৎপরতা কমেনি। গাজীপুরে গত দশ বছরে বেশ কয়েকটি দুর্ধর্ষ জঙ্গী হামলার ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে গাজীপুরে সংবাদ সম্মেলন করার সময় এক জঙ্গীর সেখানে বোমা ছুড়ে মারা। গাজীপুর কারাগার থেকে নেয়ার সময় জেলাটি লাগোয়া ময়মনসিংহের ত্রিশালে বহুল আলোচিত তিন দুর্ধর্ষ জঙ্গীকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া বহুল আলোচিত ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার অপারেশনাল কমান্ডার মুফতি মাইনুদ্দিন ওরফে আবু জান্দাল গাজীপুরের বানিয়াচালা মেম্বারবাড়ি জামে মসজিদ থেকে গ্রেফতার হয় র‌্যাবের হাতে। গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী নিহত এবং অন্তত ৫ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। আবু জান্দাল বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের প্রত্যক্ষ মদদে গাজীপুরে আত্মগোপনে ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, শুধু আবু জান্দাল নয়, গাজীপুর থেকে গত দশ বছরে অন্তত দেড় শতাধিক জঙ্গী গ্রেফতার হয়েছে। গাজীপুরে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের প্রভাব থাকায় এবং অপেক্ষাকৃত দুর্গম এলাকা হওয়ায় জঙ্গীরা জেলাটির বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেয়। বিশেষ করে ঢাকায় বড় ধরনের নাশকতা চালানোর জন্য দেশের বিভিন্ন জেলার জঙ্গীদের গাজীপুরে এনে আশ্রয় দেয়া হয়। বেহাল রাস্তাঘাটের কারণে অনেক সময়ই তাদের সঠিকভাবে মনিটরিং ও গ্রেফতার করা সম্ভব হয় না। এছাড়া জেলাটিতে অধিক পরিমাণে কলকারখানা থাকায় এবং তাতে বহু মানুষ কর্মরত থাকায় তাদের আড়ালে লুকিয়ে থাকে জঙ্গীরা। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট সূত্র বলছে, গাজীপুরে দুর্গম জায়গা থাকার সুযোগ নেয় জঙ্গীরা। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বড় ধরনের নাশকতা চালিয়ে গাজীপুরে আশ্রয় নেয়। তাদের আশ্রয়প্রশ্রয় দেয়ার জন্য গাজীপুরে বিএনপি-জামায়াত-শিবির নানাভাবে তৎপর রয়েছে। জঙ্গীদের কাছে গাজীপুর নিরাপদ জায়গা। এজন্য তারা অপারেশন চালানোর পর গাজীপুরে আশ্রয় নেয়। সর্বশেষ তার প্রমাণ মিলেছে লেখক ও ব্লগার শাহজাহান বাচ্চু হত্যাকা-ের পর। গত ১২ জুন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে মোটরসাইকেল-যোগে জেএমবি সদস্যরা শাহজাহান বাচ্চুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর এক জঙ্গী আশ্রয় নেয় গাজীপুরে। হত্যাকা-ের ১২ দিন পর গত ২৪ জুন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পশ্চিমখ-ের একটি বাড়ি থেকে হত্যাকা-ে জড়িত জঙ্গী আব্দুর রহমানকে (৩৫) একটি বিদেশী অত্যাধুনিক পিস্তল ও চারটি বোমাসহ গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। এছাড়া সোমবার দুপুরে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে এক পলাতক জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতারকৃত জঙ্গী এবং সর্বশেষ দুই দিনে আরও দুই জঙ্গীর প্রসঙ্গ তুলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অনেক ভোটারই বলছেন, বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী পাস করলে গাজীপুরে আবারও জঙ্গীদের আস্তানা গড়ে উঠবে। তাতে কোন সন্দেহ নেই। জঙ্গীবাদের অভিশাপ থেকে আমরা কোনদিনই মুক্ত হতে পারব না। গাজীপুরে তারা আর কোন জঙ্গী আস্তানা দেখতে চান না। জঙ্গীরা আর যাতে গাজীপুরে কোন দিনই আস্তানা গাড়তে না পারে এজন্য জঙ্গীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে, এমন কোন দলের প্রার্থীকে তারা আর ভোট দেবেন না। শুধু মেয়র নয়, কাউন্সিলর প্রার্থীদের ক্ষেত্রেও তার প্রভাব পড়বে। যারা জঙ্গীবাদের পক্ষের দলের প্রার্থী ভোটে তাদেরও ভরাডুবি হতে পারে। গাজীপুর সিটির অলিতে গলিতে এখন শুধুই ভোটের কথা। কে হচ্ছেন নগরপিতা। ভোটারদের ভাষ্য, নৌকা মার্কার প্রার্থীই হচ্ছেন নগরপিতা। তাতে কোন সন্দেহ নেই। সরকারের উন্নয়নের কারণে তার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে বিএনপি দাবি করেছে, তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তবে এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলছেন জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। দুই মেয়র প্রার্থী যেখানে ভোট দেবেন ॥ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের প্রার্থী এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মঙ্গলবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কানাইয়াই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সকালেই ভোট দেবেন। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার সকালে ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের টঙ্গীর বশির উদ্দিন উদয়ন একাডেমি কেন্দ্রে ভোট দেবেন। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩১ মার্চ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৫ মে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতাকে কেন্দ্র করে হাইকোর্ট গত ৬ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেয়। এতে স্থগিত হয়ে যায় নির্বাচনী সব ধরনের কার্যক্রম। পরে হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগে আপীল করেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী এবং নির্বাচন কমিশন। শুনানি শেষে ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার আদেশ দেন উচ্চ আদালত। উচ্চ আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ তারিফুজ্জামান জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীসহ ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে ৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়াও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৫৭ সাধারণ ওয়ার্ডের সাধারণ আসনে কাউন্সিলর পদে ২৫৪ এবং ১৯ সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৮৪ প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারের নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে একজন প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৫৭ সাধারণ ও ১৯ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ এবং নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মোট আয়তন ৩২৯ দশমিক ৫৩ বর্গকিলোমিটার। ভোটকেন্দ্র ৪২৫। ৩৩৭টি গুরুত্বপূর্ণ। বাকি ৮৮ সাধারণ। গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ জনকণ্ঠকে জানান, সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে কড়া নির্দেশ দিয়েছে। নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য কাজ করছি। জামায়াত-শিবির-জঙ্গীরা বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের লোক সেজে কাজ করার বিষয়ে তাদের কাছে প্রাথমিক তথ্য আছে। সে মোতাবেক গোয়েন্দা নজরদারি ও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। প্রার্থীদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অনেকের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। নির্বাচনে নাশকতার কোন আশঙ্কা নেই। তবে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে কোন কোন জায়গায় হালকা ঝগড়া বিবাদ হওয়ার আশঙ্কা আছে। কেন্দ্রগুলো পুরোপুরি ভোটের জন্য প্রস্তুত। আবহাওয়া পক্ষে থাকলে আশা করছি, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা তাদের অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। র‌্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জনকণ্ঠকে বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট করতে যা যা করণীয় তা সবই করা হচ্ছে। যেকোন ধরনের নাশকতা মোকাবেলায় র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। পুরো নির্বাচনের উপর তারা নজরদারি অব্যাহত রেখেছেন। ভোটাররা যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পারেন, এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে তাদের।
×