ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় রেলের প্লট বরাদ্দের টেন্ডারে অনিয়ম

প্রকাশিত: ০৪:২১, ২৬ জুন ২০১৮

বগুড়ায় রেলের প্লট বরাদ্দের টেন্ডারে অনিয়ম

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়ায় রেলওয়ের জমিতে বিপুল সংখ্যক দোকান নির্মাণে প্লট বরাদ্দের (বার্ষিক নবায়নের ভিত্তিতে ভূমি ব্যবহারের অস্থায়ী লাইসেন্স) দরপত্রে অনিয়ম ও কারসাজির অভিযোগ ওঠেছে। দরপত্র আহ্বানের পর মাসের পর বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখার পর আকস্মিকভাবে চলতি মাসের শেষে বরাদ্দপত্র (লাইসেন্সের জন্য চাহিদাপত্র) দেয়াসহ সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে আবার লাইসেন্স ফি জমা দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সার্বিক দরপত্র ও প্লটের লাইসেন্স দেয়ার চাহিদাপত্র ইস্যু নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। অভিযোগ ওঠেছে দরপত্র জমা নেয়ার পর দীর্ঘ সময় সর্বোচ্চ দরদাতার নামে বরাদ্দপত্র ইস্যু করার বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখে অনিয়ম ও কারসাজির পথ তৈরি করা হয়। বরাদ্দের তালিকায় দেখা গেছে, রেলওয়ে সম্পত্তি দখল করায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে প্রায় পৌনে দু’শ প্লটের লাইসেন্স বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এতেও দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন ও রহস্য। তবে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের ভূ-সম্পত্তি বিভাগ দরপত্রে অনিয়ম ও প্লট বরাদ্দে কারসাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, বগুড়া স্টেশন এলাকায় ৩৩৬টি বাণিজ্যিক প্লট বার্ষিক নবায়নের ভিত্তিতে অস্থায়ী লাইসেন্স প্রদানের জন্য চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের চীফ এস্টেট অফিসারের স্বাক্ষরে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে দরপত্র গ্রহণের তারিখ ছিল ২৭ ফেব্রুয়ারি আর খোলার কথা ছিল পরের দিন অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারি। রেলওয়ের বাণিজ্যিক ভূমির লাইসেন্স প্রদানের এই দরপত্র আহ্বান করার পর রেলের ভূমি দখলকারী একটি গ্রুপ সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই চক্রের সঙ্গে এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তার যোগাযোগের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। দরপত্র বিক্রি ও জমা নির্ধারিত সময়ে হলেও এটি খোলা হয় এক দিন পর এমন অভিযোগ দরপত্রে অংশ নেয়া এক ব্যক্তির। এর পর শুরু হয় এই দরপত্র ঝুলিয়ে রাখার পালা। অভিযোগ ওঠেছে মূলত অধিকাংশ প্লটের লাইসেন্স একটি চিহ্নিত গ্রুপকে পাইয়ে দিতে এই বিলম্ব করা হয়েছে। চাহিদা দরপত্র গ্রহণের ৩ মাসেরও বেশি সময় পর চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে আহ্বানকৃত দরপত্রের বিপরীতে প্লটের লাইসেন্সের জন্য চাহিদাপত্র ইস্যু করা হয়। এমনকি দরপত্র খোলার পর এক দরদাতার নামে ১১ টি প্লটের জন্য সর্বোচ্চ দর দেখা গেলেও চাহিদাপত্রে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। বগুড়া রেলওয়ের কানুনগো আব্দুল কাদের জানিয়েছেন, ২১ জুন তার অফিসে চাহিদাপত্র এসে পৌঁছে। তিনি এক ব্যক্তির ও তার পরিবারের অনুকূলে ১৭৫টি প্লটের লাইসেন্স প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করেন। ইস্যুকৃত চাহিদাপত্রে তারিখ দেখানো হয়েছে জুনের প্রথম সপ্তাহে। রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের চীফ এস্টেট অফিসার আব্দুল মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বাণিজ্যিক প্লটের লাইসেন্স প্রদানের দরপত্রে অনিয়ম ও কারসাজির কোন ঘটনা হয়নি বা তারা এ ধরনের কোন অভিযোগ পাননি। কেউ অভিযোগ করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×