ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আব্বাসকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ২৬ জুন ২০১৮

আব্বাসকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিনের উর্ধতন এক মধ্যস্থতাকারী দাবি করেছেন, ফিলিস্তিন-ইসরাইল শান্তি প্রক্রিয়ার সম্ভাব্য ভূমিকা থেকে ওয়াশিংটন নিজেকে অযোগ্য পরিণত করেছে বলে এখন মাহমুদ আব্বাসের সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও সিনিয়র উপদেষ্টা জেরাড কুশনারের মন্তব্যের পর রবিবার সায়েব এরেকাত দাবিটি করেন। খবর আলজাজিরার। শান্তি প্রচেষ্টা এগিয়ে নিয়ে যেতে জেরাড কুশনার, হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি জেসর গ্রিনব্লাট সপ্তাহব্যাপী মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে ইসরাইল, জর্দান, কাতার, মিসর ও সৌদি আরব সফর করেছেন। তারা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। রবিবার আরবী ভাষায় প্রকাশিত আল-কুদস পত্রিকায় প্রকাশিত এক সাক্ষাতকারে কুশনার জানান, মার্কিন প্রশাসন শীঘ্রই ইসরাইল-ফিলিস্তিনী শান্তি পরিকল্পনা উপস্থাপন করবে। শান্তি প্রক্রিয়ায় ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্টের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আব্বাস ছাড়া অন্য যে কারও সঙ্গে আলোচনার জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছেন। রামাল্লায় সাংবাদিকদের এরেকাত বলেন, কুশনারের সাক্ষাতকারটি আরও স্পষ্ট করেছে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন আসলে সমঝোতার পথ পরিহার করে নির্দেশনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা এখন নির্দেশিত পথে সমাধান খুঁজছেন। তারা এখন কাজ করছেন ও চেষ্টা চালাচ্ছেন ক্ষমতার পালাবদল করতে। কেননা ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন নেতৃত্ব চাচ্ছে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী প্রকৃত, দীর্ঘস্থায়ী ও ব্যাপক শান্তি। গত বছর ডিসেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসন ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দেয়ার পর ফিলিস্তিনী প্রেসিডেন্ট আব্বাস যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন। ফিলিস্তিনী নেতৃত্ব পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের ভবিষ্যত রাজধানী করতে চায়। যদিও বিষয়টি ফিলিস্তিনী ও ইসরাইলের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে করার জন্য তারা বদ্ধপরিকর। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরাইল ও ফিলিস্তিনীদের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তির মাধ্যমে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। যেজন্য কুশনারের পরিকল্পনা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আল-কুদস পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাতকারে কুশনার বলেন, তারা পরিকল্পনা প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছেন। কয়েকটি বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, শুধু হোয়াইট হাউসই ফিলিস্তিনী অঞ্চল ও ওই অঞ্চলের জন্য বিশাল অর্থনৈতিক বিনিয়োগ পরিকল্পনা উপস্থাপন করবে। তার বিরল সাক্ষাতকারে কুশনারকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি চুক্তির বিষয়ে আব্বাসের ক্ষমতা ও তার সম্মতি সম্পর্কে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট আব্বাস জানিয়েছেন যে তিনি শান্তির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি মনে করি না তাকে বিশ্বাস করার কোন কারণ আছে। তবে আমি প্রশ্ন করি তার কতটুকু ক্ষমতা আছে বা সম্মতি আছে, যা নিয়ে তিনি আলোচনা করবেন। গত ২৫ বছরে তার কথাবার্তা পরিবর্তিত হয়নি। সেই সময় এজন্য কোন শান্তি চুক্তি অর্জিত হয়নি। একটি চুক্তি করতে উভয়পক্ষকে একটি ধাপ পেরোতে হয়। তাদের নির্দিষ্ট অবস্থানের মধ্যে কোথাও না কোথাও মিলে যাবে। আমি নিশ্চিত না প্রেসিডেন্ট আব্বাসের ক্ষমতা আছে তা করতে। ফিলিস্তিনী নেতারা আতঙ্কিত হয়ে আছেন যে ফিলিস্তিনী জনগণের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি উদ্যোগকে অনুমোদন করতে পারা নিয়ে। ফিলিস্তিনীরা আগে কখনও দেখেনি যে তাদের নেতৃত্ব কোন একটি পরিকল্পনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
×