ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

১/১১ নিয়ে বক্তব্য

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলাম ॥ ড. ইউনূস

প্রকাশিত: ০৮:০৬, ২৫ জুন ২০১৮

   তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলাম ॥ ড. ইউনূস

বিডিনিউজ ॥ ২০০৭ সালে জরুরী অবস্থা জারির পর গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের দায়িত্ব নেয়ার প্রস্তাব পেয়েও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন বলে দাবি করেছেন মুহাম্মদ ইউনূস। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আলোচিত ওই সময়কার ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকের ঈদ সংখ্যায় প্রকাশিত মহিউদ্দিন আহমদের একটি প্রবন্ধের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে এই দাবি করেন তিনি। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এমডি ও নোবেলজয়ী ইউনূস বলেছেন, সেনা নিয়ন্ত্রিত ওই সরকারে দায়িত্ব না নেয়ার কারণ হিসেবে ‘কল্পনাপ্রসূত’ কথা লেখা হয়েছে মহিউদ্দিন আহমদের প্রবন্ধে। মহিউদ্দিনের লেখায় সেনাবাহিনীর তৎকালীন দুই প্রভাবশালী কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছিল, ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ‘দুই বছরের কাঠামোয় সীমাবদ্ধ থাকায় তার শীর্ষ পদ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ইউনূস’। মুহাম্মদ ইউনূস বিবৃতিতে ইউনূস বলেন, ‘সেনাবাহিনীর প্রস্তাবে আমি কেন রাজি হইনি, এ বিষয়ে তারা যে কারণের কথা উল্লেখ করেছেন, তা একেবারে কল্পনাপ্রসূত। ‘একেবারে হদ্দ বোকা না হলে একজন অরাজনৈতিক বেসামরিক ব্যক্তি সেনাবাহিনীর নিকট তাকে দীর্ঘমেয়াদের জন্য একটি সরকারের প্রধানের পদে রাখার এ রকম আবদার করার কথা চিন্তাই করতে পারবে না।’ ’৯৬ সালে বিচারপতি হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ইউনূস জরুরী অবস্থার মধ্যে একটি রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তবে পরে পিছিয়ে যান। ২০০৬ সালে বিএনপির শাসনকাল অবসানের পর রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ায় ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেন তিনি, এরপর দায়িত্ব নেয় ফখরুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই সরকার দুই বছর ক্ষমতায় ছিল, তারপর ২০০৮ সালের শেষে এসে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ফেরে বাংলাদেশে। ইউনূসের বিবৃতি অনুযায়ী, ২০০৭ সালে জরুরী অবস্থা জারির আগের দিন ১০ জানুয়ারি বিকেলে টেলিফোন করে তাকে দায়িত্ব নিতে বলেছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদ। তিনি ‘না’ বলার পরও পরদিন তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তৎকালীন সেনা কর্মকর্তা মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এবং এ টি এম আমিন। ইউনূস বলেছেন, টেলিফোন করে তারা দেখা করতে আসতে চেয়েছিলেন। ‘না করার উপায় ছিল না’ বলে তাদের সাক্ষাত দিয়েছিলেন তিনি। বিবৃতিতে ১০ জানুয়ারি ফোন পাওয়া থেকে শুরু করে তাকে ‘রাজি করাতে’ চেষ্টা এবং কীভাবে তিনি অসম্মতি জানিয়েছিলেন, তা তুলে ধরেন ইউনূস।
×