ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তুরস্কে নতুন প্রেসিডেন্ট ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী হবেন

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২৫ জুন ২০১৮

তুরস্কে নতুন প্রেসিডেন্ট ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী হবেন

তুরস্কে রবিবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যিনি জিতবেন তিনি ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী হবেন। কারণ গত বছর সংবিধান সংশোধন করার প্রেসিডেন্ট বিস্তৃত ক্ষমতা লাভ করেছেন। এই নির্বাচনের পর থেকে সংশোধিত সংবিধান কার্যকর হবে। এতে নির্বাহী ক্ষমতা পার্লামেন্টের কাছ থেকে প্রেসিডেন্টের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। খরব ইয়াহু নিউজের। তুরস্কে এখন যে সংবিধানটি বহাল আছে সেটি চালু হয়েছিল ১৯৮২ সালে। ১৯৮০ সালে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর তারা ওই সংবিধান দিয়েছিল। বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান গত বছর এপ্রিলে গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করেন। সমালোচকদের মতে, সংশোধিত সংবিধান এক ব্যক্তির শাসনের পথ খুলে দিয়েছে। নতুন সংবিধান বলবত হলে দেশটির শাসন ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। নতুন সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট মন্ত্রীসহ শীর্ষ সরকারী কর্মকর্তাদের ওপর সরাসরি নিজের নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। প্রেসিডেন্ট কয়েকজন ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দিতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রীর পদটি বিলুপ্ত হবে। বিনালি ইলদিরিম এখনও পর্যন্ত এ পদে আছেন। প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট যৌথভাবে সুপ্রীম বোর্ড অব জাজেস এ্যান্ড প্রসিকিউটরসের (এইচএসওয়াইকে) চারজন সদস্য নিয়োগ দিতে পারবে। এটি দেশটির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিচারবিভাগীয় পরিষদ যারা বিচার বিভাগের যেকোন সদস্যকে নিয়োগ প্রদান অথবা অপসারণ করতে পারে। সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী পার্লামেন্ট নিজেই বোর্ড অব জাজেস এ্যান্ড প্রসিকিউটরসের সাতজন সদস্য নিয়োগ দিতে পারবে এবং বোর্ডের নাম সংশোধান করে এইচএসকে রাখা হবে। সামরিক আদালতগুলো ইতিপূর্বে বেসামরিক লোকজনের বিচার করেছে, ভবিষ্যতে এর কোন অনুমতি থাকবে না। ১৯৬০ সালের অভ্যুত্থানের পর সামরিক আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী আদনান মেন্ডেরেসকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল। সংশোধিত সংবিধান সরকারবিরোধী আন্দোলন দমনে জরুরী অবস্থা জারির প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট যদি মনে করেন ‘স্বদেশ ভূমির বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে’ অথবা ‘দেশে বিভক্তকারী কোন সহিংসতা হচ্ছে’ তবে তিনি পার্লামেন্টকে জরুরী অবস্থা জারি করা হবে কি হবে না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে পার্লামেন্টকে প্রযোজনীয় পক্ষেপ গ্রহণের জন্য বলবেন। এক্ষেত্রে জরুরী অবস্থার মেয়াদ হবে ছয় মাস। বিদ্যমান সংবিধানে তিন মাসের কথা বলা হয়েছে। ২০১৬ সালের জুলাইতে এরদোগানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান হওয়ার পর জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছিল।
×