স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিয়মিত পর্যবেক্ষণের আওতায় আসছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালকরা। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই অনুষ্ঠানে এ কথা জানানো হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রবিবার চুক্তিটি সই হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অধীনস্ত বিভিন্ন দফতর এবং সংস্থা চুক্তি করে।
সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি আনতে অধীনস্ত দফতর এবং সংস্থার সঙ্গে এপিএ সই করছে। গত কয়েক বছরে সরকারের এই উদ্যোগে সন্তোষজনক সাড়াও মিলেছে। এপিএর আওতায় বিভিন্ন দফতর বাৎসরিক হিসাব দেয় তাদের কাজের। কোন কোন মন্ত্রণালয় অবশ্য বছরের পরিবর্তে মাসে হিসাব নিয়ে থাকে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় নৌপথ খনন, ড্রেজার সংগ্রহ, স্টিমার আদলের জাহাজ সংগ্রহ, সমুদ্রগামী জাহাজ সংগ্রহ, নৌ-নিরাপত্তাসহ স্থলবন্দরগুলোর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ৮ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এ পর্যন্ত এক হাজার ৫০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হয়েছে। মালিক, শ্রমিক যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় এ বছরও ঈদে বড় ধরনের নৌ দুর্ঘটনা থেকে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের সফলতা নির্ভর করে দফতর ও সংস্থাগুলোর কাজ এবং সময়মতো প্রকল্প সম্পাদনের ওপর। আর সফলতা অর্জনের জন্য সকলকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। অর্থবছরের শুরুতেই কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করে নিয়মিত চেকলিস্টের মাধ্যমে কাজ করতে হবে, তাহলেই সফলতা আসবে। এক্ষেত্রে সংস্থা ও দফতর প্রধানগণকে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১২টি দফতর ও সংস্থা প্রধানগণ এপিএতে স্বাক্ষর করেন। সংস্থাগুলো হলো- বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি); বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি); বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ (বাস্থবক); চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক); মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ (মোবক); পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ (পাবক); নৌপরিবহন অধিদফতর; বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি; ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সচিব মোঃ আবদুস সামাদ এবং দফতর ও সংস্থার পক্ষে সংস্থা প্রধানগণ এপিএ- তে স্ব স্ব পক্ষে সই করেন।
